ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর এক ব্যক্তির কাটা পা নিয়ে প্রতিপক্ষের ‘উল্লাস ও স্লোগানের' ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
ওই ভিডিওতে নানা বয়সের একদল লোককে ধারালো অস্ত্র, বল্লম ও লাঠি হাতে ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দিতে শোনা যায়৷ তাদের একজন ‘গোড়ালির উপর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা রক্তাক্ত একটি পা' হাতে নিয়ে চলছিল৷ পাশে আরেকজনকে ‘মাথা কেটে নেওয়ার' কথা বলতে শোনা যায়৷
টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা নিশ্চিত করেন নবীনগর থানার ওসি রঞ্জিত রায়৷
তিনি বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বীরগাঁও ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সাত/আটটি গ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে৷ রোববার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মোবারক নামে এক ব্যক্তির পা কেটে ফেলে৷
‘‘উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতল থেকে মোবারককে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে৷
‘‘পুলিশ দুই পক্ষের দুই নেতা কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান এবং অপর পক্ষের নেতা আবু কাউসার মোল্লাসহ ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷’’
ঢাকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, জিল্লুর রহমানকে ঢাকার কলাবাগান এলাকা থেকে এবং আবু কাউসারকে আশুগঞ্জ উপজেলার বায়েক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ আবু কাউসার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামের ‘সর্দার’ হিসেবে পরিচিত৷
এছাড়া, রোববার দুপুর থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলার সময় তখনও গ্রেপ্তার অভিযান চলছে বলে জানান ওসি রঞ্জিত৷
দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের এক এসআই ও দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন৷ এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও পুলিশের বরাত দিয়ে জানায় স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম৷
আরআর/এসএনএল/কেএম
লকডাউন মানাতে দেশে দেশে পুলিশের তৎপরতা
অসচেতনতা এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই কিছু মানুষ বাইরে ঘোরাফেরা করে সবার জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছে পুলিশ। দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/P. Ravikumar
মোগাদিসু, সোমালিয়া
আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার কিছু মানুষ এখনো করোনা ভাইরাসের বিপদটা ঠিক বুঝতে পারছেন না। লকডাউন না মেনে তাই অনেকে আনন্দে মেতেছিলেন রাজধানী মোগাদিসুর লিডো সৈকতে। তাদের অস্ত্র উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে ঘরে পাঠায় পুলিশ।
ছবি: Reuters/F. Omar
জেরুসালেম
জেরুসালেমে কট্টর ইহুদিরাও লকডাউন মানতে চাননি। তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর হতে হয়েছে পুলিশকে।
ছবি: Reuters/R. Zvulun
ব্রাইটন, ব্রিটেন
বৃটেনের ব্রাইটন শহরে লকডাউন না মানা একজনকে বুঝিয়ে ঘরে পাঠাচ্ছে পুলিশ।
ছবি: Reuters/P. Cziborra
গুয়াতেমালা সিটি, গুয়াতেমালা
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির কিছু মানুষ আরো বেপরোয়া। কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন তারা। হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।
ছবি: Reuters/L. Echeverria
লস এঞ্জেলেস, যুক্তরাষ্ট্র
করোনা ভাইরাসের কাছে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রও বড় অসহায়। মৃত্যুর মিছিল নেমেছে সে দেশে। তারপরও টনক নড়েনি অনেকের। নিজের প্রতি, দেশের প্রতি দুর্যোগের সময়ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে ব্যর্থ কিছু মানুষকে তিরস্কার করছে লসএঞ্জেলেসের পুলিশ।
ছবি: Reuters/K. Grillot
চেন্নাই, ভারত
ভারতের কিছু শহরে লকডাউন না মানা মানুষদের প্রতি পুলিশের আচরণ খুব নির্মম মনে হয়েছে অনেকের কাছে। ছবিতে চেন্নাইয়ের কিছু মানুষকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছে পুলিশ।
ছবি: Reuters/P. Ravikumar
কাঠমান্ডু, নেপাল
নেপালের রাজধানীতেও কিছু মানুষ লকডাউন মানতে নারাজ। করোনা ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই তাদের একজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
আহমেদাবাদ, ভারত
আহমেদাবাদে শুধু পুলিশ দিয়ে কাজ হয়নি। তাই অসচেতন মানুষদের নিয়ম মানতে বাধ্য করার কাজে নেমেছে বিশেষ বাহিনী।
ছবি: Reuters/A. Dave
মস্কো, রাশিয়া
করোনা ভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ এড়াতে রাজধানী মস্কোয় আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছিল রুশ সরকার। রেড স্কয়ারে সে আদেশ অমান্য করা দুই পথচারীর মুখোমুখি এক পুলিশ কর্মকর্তা।
ছবি: Reuters/M. Shemetov
ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডের রাজধানীতেও সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হয়। এক মোটর সাইকেল আরোহীকে লকডাউনের সময়ে যাবতীয় করণীয় বুঝিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
ছবি: Reuters/J. Silva
রিও ডি জেনেইরো, ব্রাজিল
ব্রাজিলের কিছু মানুষ করোনা ভাইরাসকে পাত্তা না দিয়ে সূর্যস্নান করছিল। এই দুর্যোগের সময় ঘরে স্নান করার উপকারিতা বোঝাচ্ছে পুলিশ!
ছবি: Reuters/L. Landau
কেপটাউন, সাউথ আফ্রিকা
সাউথ আফ্রিকায় সাধারণ মানুষকে লকডাউন মানাতে একসঙ্গে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
ছবি: Reuters/M. Hutchings
ঢাকা, বাংলাদেশ
ঢাকার রাস্তায় এক ব্যক্তিকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছে পুলিশ৷