কানকুনে শুরু হয়েছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন
৩০ নভেম্বর ২০১০কোপেনহেগেন সম্মেলনের ব্যর্থতার পর গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে এই সম্মেলন কতখানি ভূমিকা রাখতে পারবে এখন সেটাই দেখার বিষয়৷
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারের প্রতিনিধিরা এসে ভিড় জমিয়েছেন মেক্সিকোর পর্যটন শহর কানকুনে৷ এখানেই শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন৷ প্রায় দু'সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলন শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর৷
গত ডিসেম্বরের কোপেনহেগেন সম্মেলনে হয়েছিলো৷ সেখানে বিশ্বের উষ্ণায়ন রোধে নতুন একটি চুক্তি সম্পাদন নিয়ে আলোচনা তীব্র মতবিরোধের কারণে ভেস্তে যায়৷ আলোচকদের কাছে এই বিষয়টি এখন স্পষ্ট যে, কানকুনের এই সম্মেলনে নতুন করে কোনো চুক্তি হবেনা৷ তবে তাঁরা আশা করছেন, নির্বনীকরণ, প্রযুক্তি ভাগ করে নেয়া এবং বিকাশমুখী দেশগুলিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মোকাবিলা করতে একটি তহবিল গড়ে তোলার মত ইস্যু নিয়ে ঐকমত্য হবে৷
জার্মান পরিবেশমন্ত্রী নর্ব্যার্ট রোয়েটগেন সম্মেলন শুরু হবার ঠিক আগে স্পিগেল ম্যাগাজিনকে বলেছেন, প্রক্রিয়াটি ক্রমান্বয়ে সামনের দিকে এগুচ্ছে বলে খুশি হওয়া উচিৎ৷ তবে তিনি স্বীকার করেন যে আলোচনা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থও হতে পারে৷ এমন সম্ভাবনা রয়েছে৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অবশ্য বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালের মধ্যে ২০০৫ সালের তুলনায় সতেরো শতাংশ কার্বন নি:সরণ কমানোর যে কথা দিয়েছে, সেই কথা রাখতে তিনি এখনও বদ্ধ পরিকর৷
সম্মেলনের সূচনাতেই জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান ক্রিস্টিয়ানা ফিগেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আলোচনায় একের পর এক ফাঁক রেখে কোন কাজ হবেনা৷ চাই ব্যাপক উদ্যোগ৷ শুধুমাত্র আপোশের মাধ্যমেই ফাঁকগুলো পূরণ করা সম্ভব হবে৷
স্বাগতিক দেশ মেক্সিকের প্রেসিডেন্টও অভিন্ন লক্ষ্য সামনে রাখার আবেদন জানান৷ জাতিসংঘের আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেল আইপিসিসিসি'র চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র পাচাউরি বলেন, মানুষের সৃষ্ট কার্বন গ্যাস যত বেশি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে বিশ্বের আবহাওয়া তত বেশি উষ্ণ হতে থাকবে৷ এবং পৃথিবী গ্রহের জন্য তার ফল হবে মারাত্মক৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ টিম গোরে বলছেন, ‘‘একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, চরম আবহাওয়ার কারণে এবছরই মারা গেছেন ২১ হাজার মানুষ, যা ২০০৯ সালের দ্বিগুনের চেয়েও বেশি৷''
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক