1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কানকুন সম্মেলন অনেকটাই সফল : মুক্তা

১০ ডিসেম্বর ২০১০

মেক্সিকোর কানকুনে জাতিসংঘের আয়োজনে ১৬তম জলবায়ু সম্মেলনের আজই শেষ দিন৷ গত বছর কোপেনহেগেন সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর, এবারের সম্মেলন নিয়ে তেমন একটা উচ্চাশা ছিলনা কারোরই৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত সম্মেলনকে সফল বলছেন অনেকেই৷

Cancun
কানকুনে জলবায়ু সম্মেলনে আসা বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরাছবি: DW/Helle Jeppesen

মেক্সিকোর সাগর তীরবর্তী আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র কানকুন৷ সেখানে জমায়েত হয়েছেন প্রায় ২০০টি দেশের পরিবেশমন্ত্রীরা৷ দিন-রাত চলছে বিতর্ক আর আলোচনা৷ সবাই চাইছেন আলোচনা নিজেদের পক্ষে রাখতে৷ তবে সবার লক্ষ্য একটাই৷ সেটা হলো, একটা জলবায়ু চুক্তি৷ যে চুক্তি বাঁচাবে গরিব দেশের মানুষকে৷ বেশ কয়েক বছর ধরেই এই চুক্তির ব্যাপারে কথাবার্তা হচ্ছে৷ কিন্তু ধনী দেশগুলোর আগ্রহ না থাকায় হচ্ছেনা৷ অথচ তাদের আরাম-আয়েশের কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্বের কোটি কোটি দরিদ্র মানুষ৷

গতবছর ডিসেম্বরে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে আসর বসেছিল বিশ্বের সব শীর্ষ নেতাদের৷ তাই গণমাধ্যমগুলোতে পড়ে গিয়েছিল হৈচৈ৷ সবাই আশা করছিল এবার বুঝি একটা চুক্তি হবে৷ কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি৷ যুক্তরাষ্ট্র সহ কয়েকটি দেশের কারণে সম্ভব হয়নি কোনো চুক্তি তৈরি করা৷ এর বদলে সম্মেলনের মান বাঁচাতে কয়েকটি অঙ্গীকারের কথা বলেছিল ধনী দেশগুলো৷ যার মধ্যে একটি ছিল, ২০১০ থেকে ২০১২ - এই তিন বছরে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ত্রিশ বিলিয়ন ডলার দেয়া৷

এমন একটা জলবায়ু চুক্তি প্রয়োজন, যে চুক্তি বাঁচাবে গরিব দেশের মানুষগুলিকেছবি: AP

কিন্তু ঘোষিত তিন বছরের মধ্যে এক বছর পার হয়ে গেলেও দেয়া হয়নি একটি টাকাও৷ তবে আশার কথা, কানকুন সম্মেলনে এই তহবিল কীভাবে এবং কাদেরকে দেয়া হবে সে ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা৷ এখন রাজনীতিবিদ অর্থাৎ পরিবেশমন্ত্রীরা এই বিষয়টি চূড়ান্ত করেন কী না সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে আজ শেষদিন পর্যন্ত৷

সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন অক্সফামের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জিয়াউল হক মুক্তা৷ তিনি বলছেন, ত্রিশ বিলিয়ন ডলার তহবিলের ব্যাপারে মোটামুটি একটা সিদ্ধান্তে আসা গেছে৷ কিন্তু কোপেনহেগেন সম্মেলনে ২০১২ পরবর্তী বছরগুলোর জন্য তহবিল গঠন নিয়ে ধনী ও গরিব দেশের মধ্যে যে মতপার্থক্য ছিল সেটা এখনো থেকে গেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘ধনী দেশগুলো চাইছে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার করে দেয়া৷ কিন্তু গরিব দেশগুলোর দাবি ধনী দেশগুলোর জিডিপি'র ১.৫ শতাংশ৷''

প্রথমে ত্রিশ বিলিয়ন ডলারের কথায় আসি৷ এই তহবিলের অর্থ জোগাড় করতে হবে নিজে নিজে৷ অর্থাৎ টাকা পেতে বাংলাদেশকে ধনী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে৷ তাদেরকে বোঝাতে হবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের মানুষ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ আর এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ এসব বিষয় ভালভাবে তুলে ধরতে পারলে তবেই মিলবে অর্থ৷

টাকা পেতে বাংলাদেশকে ধনী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে : জিয়াউল হক মুক্তাছবি: picture alliance/dpa

বাংলাদেশ এ ব্যাপারে কী করছে? মুক্তা বললেন, কানকুন সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুটো সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেখানে ধনী সহ সব দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ সেমিনারগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের বিপন্নতার মাত্রা ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়৷ এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ডেনমার্ক সহ অন্যান্য ধনী দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা৷

এদিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনকারী দেশ ভারত নির্গমন কমানো বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছে৷ ফলে জলবায়ু চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টা কিছুটা সহজ হলো বলে মনে হচ্ছে৷

কিন্তু কানকুন সম্মেলনে এ ধরণের চুক্তি হবার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন অক্সফাম কর্মকর্তা মুক্তা৷ তবে আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে পরবর্তী যে সম্মেলন হবার কথা রয়েছে সেখানে একটা চুক্তি হবে বলে তিনি আশা করছেন৷ আর সেটারই একটা ভিত্তি তৈরি হতে যাচ্ছে কানকুনে, বলছেন অক্সফামের ঐ কর্মকর্তা৷ তবে এবারের সম্মেলন নিয়ে তাঁকে বেশ আশাবাদী মনে হলো৷ কারণ তিনি বলছেন, ‘‘এবারই প্রথম আলোচক ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে চুক্তির ব্যাপারে একটা ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে৷''

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ