1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কামারুজ্জামানের রায়ে বিচারপতিদের সই: ফাঁসি যে-কোনো সময়

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৮ এপ্রিল ২০১৫

জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে বুধবার সই করেছেন চার বিচারপতি৷ এর মাধ্যমে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় এখন যে-কোনো সময় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে৷

Mohammad Kamaruzzaman
ছবি: Reuters

গত ৫ই এপ্রিল কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন বাতিল করে আপিল বিভাগ৷

সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. সাব্বির ফয়েজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আপিল বিভাগের চার বিচারপতি রায়ে সই করেছেন৷ সইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তা মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ ট্রাইবুন্যাল থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কারা কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে৷ কারাগারে পৌঁছালেই দণ্ড কার্যকরের শেষ আনুষ্ঠানিকতা সারতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ৷'' খারিজ আদেশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর কাছেও পাঠানো হয়েছে৷

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ফরমান আলি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘কামারুজ্জামানের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করার জন্য আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি৷ আদালতের রায়ের কপি এলেই আমরা সব ব্যবস্থা নেব৷ তবে তার আগে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা তা জানা হবে৷''

এর আগে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ‘‘আমরা কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করতে সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি৷ এখন শুধু রায়ের কপির অপেক্ষা৷''

জানা গেছে, রায়ের চূড়ান্ত কপি তৈরির পর বুধবার সেটিতে সই করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফিরোজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী৷

প্রধান বিচারপতির অনুমোদনক্রমে আপিল বিভাগের কনিষ্ঠ বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী রায়ের খসড়াটি তৈরি করেন৷ ৩৬ পাতার ওই রায়ের কপি তিনি উপস্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার কাছে৷ বিধি অনুসারে রায়টি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছেও পাঠানো হয়৷

এরপর রায় চূড়ান্ত হলে চার বিচারপতি সই করে বুধবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের রেজিস্ট্রারের কাছে তা পাঠিয়ে দেন৷

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল-২ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের আল-বদর বাহিনীর প্রধান কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ দেন৷ গত বছরের ৩রা নভেম্বর ট্রাইবুন্যালের রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ৷

এরপর গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ চার বিচারপতির বেঞ্চ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করেন৷ ১৯শে ফেব্রুয়ারি কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল-২ এর তিন বিচারপতি৷ ট্রাইবুন্যাল থেকে মৃত্যু পরোয়ানা পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আইজিপি (প্রিজন), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে৷ কারাগারে কামারুজ্জামানকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়৷

এরপর কামারুজ্জামানের পক্ষে রিভিউ আবেদন করা হলে আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ ৫ই মার্চ রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন৷ এরপর কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন৷

কামারুজ্জামানের দণ্ড কার্যকর হলে এটি হবে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দ্বিতীয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর৷ এর আগে ২০১৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর একই অপরাধে আরেক জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ