কাম্বোডিয়ার শেষ সারস পাখিদের বাঁচাতে গেলে আগে বার্ড স্যাংকচুয়ারির আশপাশের চাষিদের শেখাতে হবে, তারা যেন মোষ চরিয়ে ঘাস কাটে; এছাড়া কীটনাশক বা সারের ব্যবহারও কমাতে হবে৷
বিজ্ঞাপন
কাম্বোডিয়ার শেষ সারস পাখি
05:22
কাম্বোডিয়ার এক বার্ড স্যাংকচুয়ারি৷ হউর পক একটি প্রকৃতি সুরক্ষা সংগঠনের হয়ে কাজ করেন৷ মাঝে মাঝেই তিনি এই ছোট্ট, দূরের গ্রামটিতে আসেন৷ এখানকার মুক্ত প্রান্তর সারস পাখিদের পক্ষে আদর্শ৷ কাজেই এখানে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে৷
অনেক জায়গাতে ঘাস এখনও খুব উঁচু৷ প্রকল্পটা হলো: এই ঘাস না কেটে, মোষ চরিয়ে সেই ঘাস ছেঁটে ফেলা৷ চাষিরা প্রকৃতি সুরক্ষা সংগঠনের কাছ থেকে সাতটি মোষ পেয়েছেন৷ এর মধ্যে তিনটি মোষের বাচ্চাও জন্ম নিয়েছে৷ মোষরা যেন পালিয়ে না যায়, সেজন্য ইলেকট্রিকের বেড়া লাগানো হয়েছে৷
ওয়াইল্ডফাউল অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ডস ট্রাস্ট-এর কর্মী হউর পক জানালেন, ‘‘আমরা এখানে মোষগুলোকে চরতে দিই৷ ওরা উঁচু ঘাস খায় বা মাড়িয়ে ফেলে – যা আবার সারস পাখিদের পক্ষে খুব ভালো, কেননা তাদের চাই নীচু ঘাস৷ সারস পাখিরা কন্দ, পোকামাকড়, ছোটখাটো জীবজন্তু খেতে ভালোবাসে৷ কাজেই মোষেরা সারসপাখিদের খাবার খোঁজার জায়গা বাড়িয়ে দেয়৷’’
চাষিদেরও তা-তে লাভ আছে৷ অন্য কোনোভাবে এই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে প্রকৃতি সংরক্ষণের ধারণা ছড়ানো সম্ভব নয়৷ কেননা মানুষজনের রোজগারের পথ এখানে খুব বেশি নেই৷ সবাই মোটামুটি গরিব৷
ধানচাষি
কয়েক কিলোমিটার দূরে আরেকটি গ্রাম৷ এখানে বিশেষ করে ধানচাষিদের বাস৷ ধানচাষিদেরও শিখতে হবে, এমনভাবে চাষ করতে, যাতে প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি না হয়; যাতে কীটনাশকের বিষ বার্ড স্যাংকচুয়ারিতে না গিয়ে পড়ে৷ মজার কথা: তা থেকে চাষিদের লাভই হয়, সাশ্রয় হয়! ধানচাষি কর্ন তং বলেন, ‘‘সত্যিই একটা বিরাট তফাৎ৷ ফসল আগের মতোই হচ্ছে, কিন্তু আমরা আরো কম রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে, আরো কম কীটনাশক, আরো কম বীজধান ব্যবহার করতে শিখেছি৷ আগে প্রতি হেক্টারে তিনশ কিলো বীজধান লাগত; আজ লাগে তার অর্ধেক৷ এছাড়া আমরা নিজেরাই সেই বীজধান উৎপাদন করতে পারি৷ আগে আমাদের বীজধান কিনতে হতো; আজ আর কিনতে হয় না৷’’
‘‘শেষে তোমরা সবাই লাখপতি হবে’’, বলছেন ট্রেনার৷ সবার অবশ্য তা ঠিক বিশ্বাস হয় না৷ গোটা এলাকা জুড়ে মানুষজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷ দিচ্ছে স্থানীয় এনজিও-রা, যাদের অনেকেই জার্মান আন্তর্জাতিক জলবায়ু সুরক্ষা উদ্যোগের কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে থাকে৷ জলবায়ু পরিবর্তন আর অস্বীকার করার উপায় নেই৷ বর্ষাকাল আসছে দেরিতে৷ অথবা হঠাৎ বৃষ্টিতে দেশ ভেসে যাচ্ছে৷ কাজেই চাষিরা আরো জোরদার চাষ করতে শুরু করেছিলেন: আরো বেশি কীটনাশক, আরো বেশি রাসায়নিক সার৷ কিন্তু এখন চাষিরা শিখছেন: পোকামাকড় দেখলেই বিষ স্প্রে করে তার দফারফা করার কোনো প্রয়োজন নেই – দেশের অনেক জায়গায় যা আজও করা হচ্ছে৷ ধানচাষি নিয়েৎ তিদা বলেন, ‘‘গতবছর ধানের ক্ষেতে অনেক বেশি অসুখবিসুখ করেছে, কারণ বৃষ্টি কম হয়েছে৷ বর্ষার জলে ধুয়ে ধানক্ষেতে যে পলি এসে পড়ে, তা-ও কম ছিল৷’’
বিপন্ন প্রজাতি
এখন চেষ্টা চলেছে রাসায়নিক বর্জিত, পরিবেশ বান্ধব কৃষিকাজ চালু করার৷ স্কুলেও পরিবেশ সুরক্ষা ক্রমেই আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে৷ আজ এই ছেলে-মেয়েরা এসেছে সারস পাখি দেখতে৷ কচিকাঁচাদের অধিকাংশ চাষি পরিবারের সন্তান৷ অনেকে জানেই না যে, সারস পাখিরা একটা বিপন্ন প্রজাতি৷ অথবা তাদের বাবা-মায়ের পেশা – অর্থাৎ চাষবাসের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক থাকতে পারে৷ কাজেই চাই প্রচারণা, যেমন একটা কুইজ কিংবা একটা ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা৷ ছোটরা শিখছে যে, এত বড়ো এই পাখিটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমোয়৷ আগে নাকি আরো অনেক সারস পাখি ছিল৷ আরো আশ্চর্যের ব্যাপার হলো:
‘‘সারস পাখি নাকি পৃথিবীর সব ক্রেন পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে বড়৷’’
ধীরে ধীরে তারা সারস পাখিকে চিনতে আর বুঝতে শিখছে৷ হউর পক বলেন, ‘‘ওরা বাড়ি গিয়ে বাড়ির লোকজনকেও এ কথা বলবে৷ ওরা সবাই বার্ড স্যাংকচুয়ারির চারপাশেই থাকে৷ এভাবেই ওরা শিখছে যে, পরিবেশ সুরক্ষা ওদের ভবিষ্যৎ জীবনের একটা গুরুত্বপূ্র্ণ অঙ্গ হবে৷’’
বিশ্বের যত জলাভূমির অর্ধেকই নিশ্চিহ্ন হয়েছে৷ শুধুমাত্র যারা এই অনন্য প্রাকৃতিক পরিবেশের মূল্য বুঝতে শিখেছে, তারাই এর সুরক্ষার জন্য কিছু একটা করতে প্রস্তুত থাকবে৷ একমাত্র সেভাবেই ভবিষ্যতেও মেকং নদীর বদ্বীপের দক্ষিণাংশে সারস পাখিদের দেখা পাওয়া সম্ভব হবে৷
সুন্দর পাঁচটি গানের পাখি
চড়ুইয়ের কিচিরমিচির কে না শুনেছে? চড়ুইয়ের ওই কিচিরমিচিরই কিন্তু গান৷ হ্যাঁ, চড়ুই আসলে এক ধরণের গানের পাখি৷ মন দিয়ে শুনলে বোঝা যায়, ওই কিচিরমিচিরেও আছে ছন্দোবদ্ধ সুর৷ এই গানের পাখিগুলো কি চেনেন আপনি?
ছবি: picture-alliance / OKAPIA KG
চড়ুই
এই পাখিটি বিশ্বের প্রায় সব দেশেই আছে৷ লোকালয়েই থাকতে পছন্দ করে ছোট্ট এই পাখি৷ মানুষের ঘরের ছাদের কোনো কোণেই খড়কুটো দিয়ে ঘর বানিয়ে দিব্যি সংসার পেতে বসে চড়ুই৷ তারপর সারা দিনমান চলে কিচিরমিচির, কিচিরমিচির গান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
কোকিল
এই ধরণের কোকিল পূর্ব অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং নিউ গিনিতে বেশি পাওয়া যায়৷ বসন্ত এলে এরা গানে গানে মুখর করে তোলে পরিবেশ৷ এশিয়ার কোকিল দেখতে একটু অন্যরকম৷ তবে তারাও ‘কুহু কুহু’ গান গায় আর অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/R. Lammers
ক্যানারি
স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে বেশি পাওয়া যায় বলে এই পাখির নামই হয়ে গেছে ক্যানারি৷ মিষ্টি সুরে গান গায় বলে ১৭ শতক থেকেই এরা অনেক দেশের জনপ্রিয় পোষাপাখি৷
ছবি: picture-alliance / OKAPIA KG
নাইটিঙ্গেল
এই পাখি নাকি ২৫০ রকম গান গাইতে পারে৷ এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে পাওয়া যায় এই ধরণের পাখি৷ সাধারণত সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি বড় হয় নাইটিঙ্গেল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
টিয়া পাখি
বাংলাদেশসহ এশিয়ার সব দেশেই এ ধরণের পাখি খুব পরিচিত৷ পোষাও হয় এই পাখি৷ এ ধরণের টিয়া গান তো গায়ই, মানুষকে অনুকরণ করে কথাও বলে৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images GmbH/Tuns
5 ছবি1 | 5
বহুগামী পাখিদের কথা
পাখিদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই একগামী হয়ে থাকে৷ অর্থাৎ বাকি দশ শতাংশের স্বভাব একটু ভিন্ন৷ ছবিঘরে জেনে নিন এমন কয়েকটি পাখির কথা৷
ছবি: Imago
সঙ্গী যখন ঘুমে, উনি তখন খোঁজে
দেখতে সুন্দর এই ব্লুটিট পাখির স্বভাব একটু উড়ু-উড়ু৷ সকালবেলায় পুরুষ সঙ্গীটি যখন ঘুমে বিভোর তখন তিনি আশেপাশে বেরিয়ে পড়েন৷ তখন যদি অন্য কোনো পুরুষ পাখিকে গান গাইতে দেখেন তাহলে কিছুক্ষণের জন্য তার সঙ্গে একটু, মানে একটুখানি আনন্দ করে নেন!
ছবি: picture alliance/Arco Images GmbH
রাজহাঁসের কথা
ছবিই বলে দিচ্ছে রাজহাঁস এমনিতে দীর্ঘদিনের জন্য সম্পর্কে জড়াতে আগ্রহী৷ কিন্তু মাঝেমধ্যে যে ‘বিবাহবহির্ভূত’ সম্পর্কে জড়ানোর অভ্যাস কারও কারও নেই সেটা কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না!
ছবি: Otto Durst/Fotolia
ঝাঁক পছন্দ তাদের
তোতাপাখিরা সবসময় এক ঝাঁক হয়ে থাকতে পছন্দ করে৷ ঝাঁকের মধ্যেই এই পাখিরা একজন আরেকজনকে বেছে নিয়ে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলে৷ উদ্দেশ্য থাকে অনেকদিন একসঙ্গে থাকার৷ কিন্তু তারপরও রাজহাঁসের মতোই তাদেরও কারও কারও এক-আধটু মনে স্বাদ জাগে অন্যকিছু করার!
ছবি: Fotolia/H.Lange
ধারণা ছিল ভুল
একসময় বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল সারস পাখিরা বোধ হয় একগামী হয়ে থাকে৷ কিন্তু পরে জানা গেছে, সেটি সত্যি নয়৷ মাইগ্রেশনের সময় তারা নাকি অন্য কোনো সঙ্গীকে সঙ্গে নিতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Rössler
সব পেঙ্গুইন এক নয়
ছবিতে গালাপাগোস পেঙ্গুইনদের দেখতে পাচ্ছেন৷ মনে হচ্ছে যেন তারা একে অপরের জন্যই জন্মেছে৷ কিন্তু আসলেই কি তাই? উত্তর – হয়ত কিংবা হয়ত নয়৷ কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, রকহপার পেঙ্গুইন একগামী হয়ে থাকে৷ অর্থাৎ এই জাতের পেঙ্গুইন জোড়াদের একজন আরেকজনের চেয়ে কয়েক হাজার মাইল দূরে থাকলেও একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/McPHOTO
5 ছবি1 | 5
পাখি আমার রঙিন পাখি
শুধু পুরুষ পাখিরাই নয়, পক্ষিজগতে স্ত্রী পাখিরাও কিছু কম যায় না৷ পুরুষ পাখিরা সাধারণত একটু বেশি রংচঙে হয়, স্ত্রী পাখিদের আকৃষ্ট করার জন্য৷ রংয়ের বাহারে কিন্তু স্ত্রী পাখিরাও কম যায় না, বলছেন গবেষকরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P.Pleul
স্কারলেট ম্যাকাউ
দক্ষিণ অ্যামেরিকার ম্যাকাউ পাখিদের সঙ্গে রংয়ের বাহারে পাল্লা দিতে পারে, এমন টিয়া খুব কমই আছে৷ ওদের আবার স্ত্রী আর পুরুষের মধ্যে পালকের কোনো ফারাক নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P.Pleul
একই অঙ্গে দু’টি রূপ
সাধারণত পুরুষ পাখিরা বেশি রঙিন হয়, কেননা তাদের স্ত্রী পাখিদের মন ভোলাতে হয়৷ মধ্য অ্যামেরিকার এই ‘শাইনিং হানিক্রিপার’ পাখিগুলোকে দেখলে তা বোঝা যায়৷ বলুন তো পুরুষ পাখি কোনটি? ঠিক ধরেছেন, ডানদিকেরটা!
ছবি: Bill Holsten
পুরোপুরি আলাদা
কখনো-সখনো বিশ্বাস করা শক্ত হয় যে, পুরুষ আর স্ত্রী পাখি দু’টি একই প্রজাতির! ‘স্কারলেট-রাম্পড ট্যানেজার’ পাখিদের মধ্যে পুরুষ পাখিটা মূলত কালো, এক পিছনের দিকটা লাল হওয়া ছাড়া; সেই সঙ্গে রুপালি ঠোঁট আর ঘন লাল চোখের মণি৷ স্ত্রী পাখিগুলোর কিন্তু মাথাটা ধূসর, শরীরের ওপরের দিকটা জলপাই রংয়ের আর পাখাগুলো বাদামি৷
ছবি: Bill Holsten
নখের আমি, নখের তুমি
দুনিয়ার অর্ধেক পাখি আসলে পাসিফর্মেস গোত্রের, অর্থাৎ যাদের পায়ের তিনটে নখর থাকে সামনের দিকে আর একটি থাকে পিছনের দিকে – ফলে দাঁড়ে বসতে সুবিধা হয়৷ এই প্যাসেরাইন পাখিদের বহু প্রজাতির স্ত্রী পাখিরা খুবই সাদামাটা, আবার কোনো কোনো প্রজাতিতে নয়৷
ছবি: Bill Holsten
প্রতিযোগী
পাখি আকারে যতো বড়ো হবে, ততোই নাকি সেই প্রজাতির স্ত্রী পাখিদের রংচঙে হবার সম্ভাবনা বাড়বে, বলছেন গবেষকরা৷ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে স্ত্রী পাখিদের বাহার বেশি হয়, কেননা তাদের পুরুষ পাখিদের মন জয় করার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়৷
ছবি: Bill Holsten
স্বর্গের পাখি
নামই হল বার্ডস অফ প্যারাডাইস৷ এদের ক্ষেত্রে পুরুষ পাখিরা হয় যেমন রংচঙে, তেমনই তাদের লেজে দু’টি লম্বা পালক থাকে৷ স্ত্রী পাখিদের মন জয় করার জন্য পুরুষ স্বর্গের পাখিদের নাচ একটা দেখার মতো জিনিস: লেজের পালক ঘোরানোটাও যেন অস্ট্রিচ ফেদার ঘোরানোর মতো৷ আবার গালগলা ফুলিয়ে গোল তুলোর বল হয়ে যাওয়াটাও তার মধ্যে পড়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P.Schulze
শিখিপুচ্ছ
পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা – ময়ূরকে সে কথা বলে দিতে হবে না৷ বর্ষা এলে, মেঘ ঘনালে ময়ূরের পেখম তুলে নৃত্য উপমহাদেশের একটি সুপরিচিত ও সুপ্রাচীন দৃশ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U.Anspach
শকুন রাজা
দক্ষিণ অ্যামেরিকার ‘কিং ভালচার’-এর বাকি শরীরটা সাদা, ছাইরং আর কালো পালক দিয়ে ঢাকা৷ কিন্তু তাদের মাথাটা খুবই রংচঙে৷ নাম ‘শকুন রাজা’ হয়েছে সম্ভবত এই কিং ভালচার ছোটখাটো শকুনদের মড়ির কাছে ঘেঁষতে দেয় না বলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Lopez
চঞ্চু মানেও ঠোঁট
কথা হচ্ছে ধনেশ পাখিদের নিয়ে৷ এদের ঠোঁট হয় আশ্চর্য ধরনের: মোটা, পুরু, রংচঙে৷ সেই ঠোঁটের দরুন এদের শিকারও করা হয়েছে বহুদিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.Jensen
চিংড়ি খেয়ে লাল
ফ্লেমিঙ্গো পাখিরা লাল হয় কী খেয়ে জানেন? বাঁকানো ঠোঁট দিয়ে মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জলের ওপর থেকে লাল চিংড়ি আর প্ল্যাঙ্কটন ছেঁকে নেয় ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’-এর গল্ফ খেলার এই পাখিগুলো৷ লাল চিংড়ি খায়, তাই তাদের পালকের রং হয়ে যায় লাল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Hiekel
স্টারলিং ইজ এ স্টার
জার্মানিতে স্টারলিং-রা কালো-বাদামি, খুব বিশেষত্ব নেই তাদের৷ কিন্তু বিশ্বের অন্যত্র তাদের রং খোলে, যেমন পূর্ব আফ্রিকার এই ‘সুপার্ব স্টারলিং’-দের৷ হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, পাখিটার নামই সুপার্ব স্টারলিং৷ দেখতেও সুপার্ব!