1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কারাগারেই থাকতে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১২ ডিসেম্বর ২০১৯

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কি শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হবে? তার কি জামিন আবেদন বা জামিন পাওয়ার আর কোনো সুযোগ আছে?

ফাইল ছবিছবি: Bdnews24.com

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন নাকচ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ৷ আরেকটি মামলা আপিল বিভাগে থাকলেও এখনো জামিন আবেদন করা হয়নি৷ আইনজীবীরা বলছেন সর্বশেষ আপিল বিভাগ জামিন না দেয়ায় খালেদা জিয়ার আপাতত জামিনে মুক্তির সম্ভাবনা কম৷ তবে সুযোগ একেবারে শেষ হয়ে যায়নি৷

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জমিন আবেদন এর আগে নাকচ করেন হাইকোর্ট৷ আর সেই আদেশকেই বৃহস্পতিবার বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ৷ আইনজীবীরা বলছেন, ফলে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ ছাড়া আপিল বিভাগে আর কোনো আইনি সুযোগ নেই৷ তবে এই মামলাটির আপিল শুনানি এখনো হাইকোর্টে শুরু হয়নি। শুরু হলে সেখানে আবার জামিন আবেদনের সুযোগ থাকবে৷

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন আদালত৷ এটি ছিলো দ্বিতীয় মামলার রায়৷ প্রথম মামলার রায় হয় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি৷ জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্টের ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়৷ রায়ের পর ওইদিনই তাকে কারাগোরে পাঠানো হয়৷ কিন্তু এই মামলার পাঁচ বছরের সাজার বিরুদ্ধে দুদকের রিভিশন আবেদনে গত বছরের ৩০ অক্টোবর তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর  করেন হাইকোর্ট৷ ফলে দুই মামলায় এখন খালেদা জিয়া ১৭ বছরের দণ্ড নিয়ে কারাগারে আছেন৷

খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাগর হোসেন লিয়ন জানান, ‘‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলায় আমাদের আপিল গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। সাধারণভাবে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করলে জামিন দেয়ার রীতি আছে৷ কিন্তু আমরা পেলাম না৷ এখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব আপিল বিভাগে রিভিউ করব কিনা৷ তবে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শুরু হলে আমরা আবার জামিন আবেদনের সুযোগ পাব৷ হাইকোর্টে আবার জামিন আবেদনে কোনো বাধা নেই৷''

মো. আসাদুজ্জামান

This browser does not support the audio element.

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের মামলায় শাস্তি বাড়ানোর বিরুদ্ধেও আপিল বিভাগে আপিলের আবেদন করা হয়েছে খালেদা জিয়ার পক্ষে৷ সাগর হোসেন লিয়ন জানান, ‘‘আমরা এখনও আবেদনটি মেনশন করিনি৷ মেনশন করলে তারপর শুনানির মাধ্যমে ঠিক হবে আপিলের গ্রহণযোগ্যতা৷ তখন ওই মামলায়ও জামিন আবেদনের সুযোগ থাকবে৷''

একই ধরণের আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘‘আপিল যখন হাইকোর্টে পেন্ডিং থাকে তখন বার বার জামিন চাওয়া যায়৷ তাতে জামিন আবেদন যতবারই নাকচ হোক না কেন৷ ফলে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে মামলায় আপিল বিভাগে রিভিউ ছাড়াও খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে আবারো জামিন চাওয়া যাবে৷ এতে আইনগত কোনো বাধা নেই৷ কারণ ওই মামলাটির আপিল হাইকোর্টে এখনও পেন্ডিং আছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘তবে আপিল নিষ্পত্তি হয়ে গেলে এখতিয়ার আপিল বিভাগের কাছে চলে যাবে৷ তখন সেখানে আবার জামিন চাওয়া যাবে৷''

তবে এই মামলায় দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘‘জামিন যেকোনো সময়ই চাওয়া যায়৷ এই মামলায় খালেদা জিয়ার  জামিন নাকচ করেছে আপিল বিভাগ৷ এটা সর্বোচ্চ আদালত৷ তারা হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন৷ ফলে ফের হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলেও জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ৷ মেরিট বিবেচনা করলে তিনি এই মামলায় আর জামিন পাবেন বলে মনে হয় না৷ তবে তিনি আপিল বিভাগের আদেশের ব্যাপারে রিভিউ আবেদন করতে পারেন৷''

খুরশিদ আলম খান

This browser does not support the audio element.

তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখন এই মামলায় হাইকোর্টে আপিল শুনানি শুরুর পদক্ষেপ নেব৷''

কারাগারে আটক খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে ১ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন৷ খালেদার আইনজীবীরা তার চিকিৎসার জন্যই জামিন চাচ্ছিলেন৷ আপিল বিভাগ জামিন না দিলেও খালেদা জিয়ার সম্মতি সাপেক্ষে উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন৷

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলার মধ্যে ৩৪টি মামলায়ই তিনি জামিন পেয়েছেন৷ তার আইনজীবীরা আশা করছিলেন এই দু'টি মামলায় জামিন পেলেই তিনি মুক্তি পাবেন৷ কিন্তু আপাতত তাদের সে আশা পুরণ হচ্ছে না৷

আর প্যারোলের মুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি সরকারের এখতিয়ার বলে আইনজীবীরা জানা৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় চাইলে বিশেষ কোনো কারণে আটক কাউকে সাময়িকভাবে এই প্যারোল মুক্তি দিতে পারে৷ খালেদা জিয়ার জন্য এই প্যারোল চেষ্টাও এখন পর্যন্ত সফল হয়নি৷

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান প্যারেলে মুক্তি নিয়েই চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গিয়ে আর ফিরে আসেননি৷ পরে তার প্যারোল বাতিল করা হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ