1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিভিতে মহিমান্বিত নির্যাতন

১৪ মে ২০১৪

নির্যাতনবিরোধী জাতিসংঘ সনদ পাসের ৩০ বছর পরও পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন বেড়েই চলেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সেটা ‘ডালভাতে’ পরিণত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

Syrien Folter Mißbrauch Symbolbild MIT BEDACHT VERWENDEN
ছবি: JAMES LAWLER DUGGAN/AFP/GettyImages

লন্ডনভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, ‘হোমল্যান্ড' বা ‘টোয়েন্টিফোর'-এর মতো টেলিভিশন অনুষ্ঠান এ সব নির্যাতনের ঘটনাকে প্রকারান্তরে ‘মহিমান্বিত' করছে৷

অ্যামনেস্টি বলছে, তাঁদের কাছে বিশ্বের ১৪১টি দেশের বিভিন্ন নির্যাতনের ঘটনার তথ্য রয়েছে, যার মধ্যে নির্যাতনবিরোধী জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষরকারী ৭৯টি দেশও আছে৷ মোট ১৫৫টি দেশ ১৯৮৪ সালে ওই সনদে স্বাক্ষর করে৷

এ প্রতিবেদন তৈরি করতে ২১টি দেশের ২১ হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৪ শতাংশ বলেছেন, কোনো কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যেতে হলে সেখানে নির্যাতন চালানো হবে তাঁদের আশঙ্কা৷

উত্তরদাতাদের এক তৃতীয়াংশ মনে করেন, তথ্য আদায়ের জন্য কখনো কখনো নির্যাতনের বিকল্প থাকে না৷ এ সব ক্ষেত্রে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য বলেই তাঁরা মনে করেন৷

নিউ ইয়র্কের রাস্তায় মানবাধিকার কর্মীরা দেখাচ্ছেন, তথ্য আদায়ের নামে কীভাবে চলে নির্যাতনছবি: AP

অ্যামনেস্টির মহাসচিব সলিল শেঠি বলেন, ‘‘অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে নির্যাতন এখন একটি মামুলি বিষয়, এ যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে৷''

এ ধরনের নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার লন্ডনে এক সাংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে অ্যামনেস্টির ‘স্টপ টর্চার' কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি৷

সলিল শেঠি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধের সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার প্রভাব বলয়ের দেশগুলোতে হেফাজতে নির্যাতন এতটাই বেড়েছে, যেন এটা জাতীয় নিরাপত্তারই অংশ৷''

এর মধ্য দিয়ে নির্যাতনের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতাও তৈরি হয়েছে৷ ‘গ্লোবস্ক্যান' জরিপে চীন ও ভারতের ৭৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তথ্য আদায়ের প্রয়োজনে নির্যাতনকে তাঁরা সমর্থন করেন৷ অন্যদিকে গ্রিসে এই হার ১২ শতাংশ, আর্জেন্টিনায় ১৫ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ২৯ শতাংশ৷

ব্রাজিলে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের প্রতিবাদছবি: Imago/Fotoarena

যুক্তরাজ্যে অ্যামনেস্টির কান্ট্রি ডিরেক্টর কেট অ্যালেন বলেন, ‘‘হোমল্যান্ড ও টোয়েন্টিফোর-এর মতো টেলিভিশন সিরিয়াল যেভাবে সহিংসতার ঘটনা উপস্থাপন করে তাতে একটি প্রজন্মের কাছে হেফাজতে বা কারাবন্দি অবস্থায় নির্যাতনের বিষয়টি কার্যত ‘মহিমান্বিত' হয়েছে৷ কিন্তু চিত্রনাট্যের নাটকীয়তা এবং বাস্তবের টর্চার চেম্বারে সরকারি লোকের হাতে নির্যাতন এক বিষয় নয়৷''

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার কয়েকটি দেশে পুলিশের নির্যাতন যেন জীবনেরই অংশ৷ আফ্রিকার অন্তত ৩০টি দেশে এ ধরনের নির্যাতনের দায়ে কোনো শাস্তি হয় না৷

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দিদের ওপর নির্যাতন, মধ্যপ্রাচ্যে বিচারের নামে পাথর ছুড়ে হত্যা এবং ইউরোপে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার বিষয়গুলোও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন সলিল শেঠি৷

তিনি জানান, ‘স্টপ টর্চার' কর্মসূচিতে প্রাথমিকভাবে মেক্সিকো, ফিলিপাইন, মরক্কো ও পশ্চিম সাহারা, নাইজেরিয়া এবং উজবেকিস্তানকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, কারণ এসব দেশেই নির্যাতনের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি৷

সলিল শেঠি বলেন, ‘‘সরকারগুলো তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করছে না৷ আর এ কারণে লাখ লাখ মানুষকে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে৷''

জেকে/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ