1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্লগার হত্যার পরিকল্পনা!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ আগস্ট ২০১৫

বাংলাদেশে ব্লগার অভিজিৎ ও অনন্ত হত্যার তিনজন পরিকল্পনকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র‌্যাব৷ এরা হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা তৌহিদুর রহমান, সাদেক আলি মিঠু এবং মো. আমিনুল মল্লিক৷

Bangladesch Festnahme von drei Islamisten nach Mord an Bloggern
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman

র‌্যাব-এর মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রধানত তৌহিদুর রহমানই হলেন অভিজিৎ রায় এবং অনন্ত বিজয় দাস – এই দুই ব্লগার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী৷ তিনি কাশিমপুর কারাগারে আটক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দিন রহমানির নির্দেশেই এ হত্যা পরিকল্পনা করেন৷''

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার নীলক্ষেত থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য সাদেক আলী মিঠুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩৷ তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে রাত ১২টার পর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা ব্রিটিশ নাগরিক তৌহিদুর রহমান ও মো. আমিনুল মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ প্রসঙ্গত, মিঠু এই দুই ব্লগার হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন৷

গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি একুশের বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় খুন হন লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়৷ এরপর গত ১২ই মে সিলেট শহরের সুবিদবাজার এলাকার বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসকে

র‌্যাব-এর মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ আবারো বলেন, ‘‘কাশিমপুর কারাগারে থাকা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সংগঠক জসিম উদ্দিন রহমানির নির্দেশেই মূলত হত্যাকাণ্ড হয়েছে৷ জসিম উদ্দিন রহমানির আপন ছোট ভাই আবুল বাশার কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করে তৌহিদুরসহ সংগঠনের অন্য সদস্যদের পরিকল্পনার কথা জানায়৷ আর তারপরই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা করে তৌহিদুর রহমান৷

মুফতি মাহমুদ জানান, ‘‘অভিজিৎ ও অনন্ত বিজয় হত্যাকাণ্ডে পাঁচজন অংশ নেয়৷ এরা হলেন – রমজান সিয়াম, নাঈম, জুলহাস বিশ্বাস, জাফরান আল হাসান ও সাদেক আলী মিঠু৷ এদের মধ্যে সাদেক র‌্যাব-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে৷''

আটক সাদেক আলী মিঠু আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দিন রহমানির বইয়ের প্রকাশক ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা৷ মিঠু প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করেন৷ মিঠুর সঙ্গে জসিম উদ্দিন রাহমানির পরিচয় হয় ২০০৭ সালে৷ পরে সাদেক আলী রাহমানির মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ও আস্থাভাজন হয়ে উঠে৷

র‌্যাব জানিয়েছে, তৌহিদুর রহমান এক সময় বাংলাদেশ বিমানে চাকরি করতেন৷ তিনি ১৯৯০ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান৷ আইটি বিষয়ে পড়াশোনা শেষে সেদেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন৷ যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দিন রহমানির সঙ্গে তার পরিচয় হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর ফেসবুক ও বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের মধ্যে যোগাযোগ হতো৷ যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি বিভিন্ন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে অর্থায়ন করেছেন৷ কাকে কাকে হত্যা করতে হবে, তা তৌহিদ নির্ধারণ করতেন৷ আইটি বিশেষজ্ঞ হওয়ায় তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও ব্লগে বিভিন্ন জনের লেখা পর্যবেক্ষণ করতেন তিনি৷ জসিম উদ্দিন রহমানি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তৌহিদুর ২০১২ সালের দিকে বাংলাদেশে আসেন৷ গ্রেপ্তার অপর আসামি আমিনুল মল্লিকও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একজন সক্রিয় সদস্য ও সংগঠনের যে সকল সদস্য আত্মগোপনে ও পালিয়ে দেশের বাহিরে যেতে চায় তাদেরকে বিভিন্ন নামে পাসপোর্ট তৈরি করে দিত৷

র‌্যাব-এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান ডয়চে ভেলেকে জানান, এই তিনজনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ব্লগার অভিজিৎ এবং অনন্ত হত্যার বিষয়টি স্পষ্ট হলো৷ জানা গেল কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং তাদেরও উদ্দেশ্য৷

প্রসঙ্গত, ব্লগার অভিজিৎ হত্যাতাণ্ডের তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)৷ তারা এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি৷ এছাড়া অনন্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে সিআইডি৷ তারাও জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি৷

গত সাড়ে পাঁচ মাসে বাংলাদেশে চারজন ব্লগারকে হত্যা করা হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ