1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কারাবন্দিদের জন্য মুক্তি আনবে বিশ্বকাপ

৩ জানুয়ারি ২০১২

ব্রাজিলে ফুটবল হচ্ছে ধর্মের মতো৷ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আনন্দে আত্মহারা ব্রজিলের মানুষ৷ ব্রাজিলের কারাবন্দিদেরও যুক্ত করা হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের আনন্দে৷

This July 12, 2010 file photo shows men working on Vivaldo Lima Stadium, which will be demolished in August 2010 for the construction of Arena Amazonia, in Manaus, Amazonas state, in northern Brazil. Arena Amazonas will be one of the stadiums to host the 2014 FIFA World Cup games. Photos: Alexandre Fonseca/Em Tempo/PAGOS
২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আসরের জন্য স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজের দৃশ্যছবি: picture-alliance / Agencia Estado

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে সবার আগে স্টেডিয়ামগুলোকে ঠিক করা জরুরি৷ ব্রাজিল সেই কাজে নেমে পড়েছে৷ কারাবন্দিদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে স্টেডিয়াম তৈরির কাজে৷ ২৬ বছর বয়স্ক থিয়াগো ফেরেইরা জানাল,‘‘আমার জীবন পাল্টে যাচ্ছে৷'' মাদক পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর থিয়াগোর কারাদণ্ড হয়৷ ব্রাজিলের বেলো হরিজন্টে সকার স্টেডিয়ামে বিভিন্ন ধরণের কাজে থিয়াগো সাহায্য করছে৷ নতুন এই কাজ প্রসঙ্গে সে আরো জানিয়েছে,‘‘এটা হল আমার কারামুক্ত হওয়ার দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় সুযোগ৷'' নতুন করে জীবন গড়ার এই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চায় না থিয়াগো ফেরেইরা৷

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ব্রাজিল সরকারের সঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷ আর তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘স্টেডিয়াম তৈরি অথবা সংস্কারের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত কর্মীদের অন্তত পাঁচ শতাংশ কারাবন্দি নিয়োগ করতে হবে৷ এবং তা করতে হবে বারোটি শহরেই যে শহরগুলোতে খেলা আয়োজিত হবে৷'

নির্মাণাধীন মিনেরাও স্টেডিয়ামের একাংশছবি: picture alliance / Agencia Estado

কীভাবে এবং কিসের ওপর ভিত্তি করে কারাবন্দিদের বাছাই করা হবে তা নিয়ে দিনের পর দিন সমাজ কর্মী, আইনজীবী এবং মনস্তত্ববিদরা কাজ করেছেন৷

মিনাস গেরিয়াস হচ্ছে আরেক কারাবন্দি৷ সে যে কারাগার থেকে এসেছে সেখানে দেড় হাজার বন্দিদের মধ্য থেকে মাত্র ১৬ জনকে বেছে নেয়া হয়েছে৷ প্রতিদিন ভোর চারটায় তাকে ঘুম থেকে উঠতে হয়৷ সে কাজ করছে ৬৭ হাজার আসনের মিনেইরাও স্টেডিয়ামে৷ ২০১২ সালের মধ্যেই এর কাজ সম্পন্ন করতে হবে৷

প্রতিটি কারাবন্দির একটানা তিনদিন কাজ করার বদলে তাদের কারাবাস থেকে একদিন মকুব হবে৷ এভাবেই কমানো হবে তাদের কারাজীবন৷ ফেরেইরা আরো জানাল,‘‘আমরা যারা আধা কারাবন্দি হয়ে আছি আমাদের জন্য এটা হচ্ছে নিজেকে পুরোপুরি মুক্ত করার মোক্ষম এক সুযোগ৷ কারণ অপরাধীদের মুক্ত হওয়ার মাত্র দুটি পথ খোলা থাকে – সারাজীবন হুইল চেয়ারে বসে কাটানো অথবা মাটির নীচে ছয় ফুট গভীরে শুয়ে থাকা৷''

ফেরেইরা দুই বছর পাঁচ মাস ধরে বন্দি জীবন কাটাচ্ছে৷ তবে ফেরেইরাকে প্রতি মাসে বেতনও দেয়া হচ্ছে৷ মাসে আড়াইশো ইউরো৷ তা খুব বেশি নয় কিন্তু ফেরেইরা জানাল, এই টাকা সে তার স্ত্রীর হাতে তুলে দেয়৷

আরো বেশ কিছু আসামিকে সমাজে সুস্থভাবে ফিরে আসার সুযোগ দিচ্ছে ব্রাজিল সরকার৷ উপলক্ষ্য হল ২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন কাপ এবং ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ৷ দণ্ডিত অপরাধীদের সমাজের মূল স্রোতে আবার ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ