1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কারাবন্দি ডেসটিনির এমডির বিরুদ্ধে ‘জুম মিটিং' করার অভিযোগ

২ জুলাই ২০২১

কারাবন্দি অবস্থাতেই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ‘মোবাইলে ভার্চুয়াল মিটিং' করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ একজন কারাবন্দি অনুমতি ছাড়া কীভাবে মোবাইল পেলেন তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা অধিদপ্তর৷

ফাইল ছবিছবি: bdnews24.com

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিআইজি তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ তাদের সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি জানান, ‘‘কমিটি গঠনের পাশাপাশি হাসপাতালে আট জন কারারক্ষীকে সরিয়ে অন্য সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেসব কারারক্ষীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷''

দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি রফিকুল আমীন এখন কারা তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আছেন৷ সেখান থেকেই তিনি ভার্চুয়াল বৈঠক করে ‘নতুন এমএলএম ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা' করেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷

ডায়াবেটিসজনিত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দুই মাস আগে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রিজন সেলে ভর্তি হন রফিকুল আমীন৷ বলা হচ্ছে, সম্প্রতি এক জুম মিটিংয়ে রফিকুল আমীন বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক দিক-নির্দেশনা দেন এবং দেশের বাইরে থেকে টাকা আনার বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন৷ ডেসটিনির কয়েকজন কর্মকর্তাও সেখানে যুক্ত ছিলেন৷

কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, ‘‘কোনো কারাবন্দির অনুমতি ছাড়া বাইরে কারো সাথে কথা বলার সুযোগ নেই৷ কীভাবে তিনি মোবাইল জোগাড় করে কথা বললেন তা খতিয়ে দেখতেই তদন্ত কমিটি করা হয়েছে৷''

বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কবে সেই জুম মিটিং হয়েছে, তা এখনও তারা জানেন না৷ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেই বিস্তারিত জানা যাবে৷

‘ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড' নামে একটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি দিয়ে ২০০০ সালে ডেসটিনি গ্রুপের যাত্রা শুরু৷ এক দশকের মধ্যে বিমান পরিবহন, আবাসন, কোল্ডস্টোরেজ, জুট মিল, মিডিয়া, বনায়নসহ বিভিন্ন খাতে ৩৪টি কোম্পানি খোলে এই গ্রুপ৷

কিন্তু মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের নামে ২০ লাখের বেশি মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালে মামলা হয়৷ সে বছরের অক্টোবরে রফিকুল আমীনসহ কোম্পানির অধিকাংশ শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হন, বাকিরা পলাতক আছেন৷

এনএস/জেডএইচ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ