শুধু যানবাহন থেকে কার্বন নির্গমন কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করা যে আর সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমাতে অ্যালজিও যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন৷
বিজ্ঞাপন
একেবারে আদি লগ্নে পৃথিবী ছিল বিষাক্ত গ্যাসে ভরা উত্তপ্ত এক খণ্ড৷ প্রাণের কোনো লক্ষণ ছিল না৷ ব্লু অ্যালজি বা সিয়ানোব্যাকটিরিয়া সেই পরিস্থিতি বদলে দিয়েছিল৷ মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবে মোরিৎস কখ বিশেষ গোত্রের এই অ্যালজি নিয়ে গবেষণা করছেন৷ তাঁর মতে, ‘‘আমরা যে আজ এমন জগতে বাস করছি, যেখানকার বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন রয়েছে – সেই রূপান্তরের পেছনে তথাকথিত ‘গ্রেট অক্সিজেনেশন ইভেন্ট'-এর অবদান রয়েছে৷ কয়েক কোটি বছর আগে সিয়ানোব্যাকটিরিয়া অক্সিজেন সৃষ্টির কাজ শুরু করেছিল বলেই আজকের প্রাণবন্ত পৃথিবী গড়ে উঠেছে৷''
সিয়ানোব্যাকটিরিয়া আসলে ক্ষুদ্র মাইক্রো অ্যালজি৷ অন্যদিকে ম্যাক্রো অ্যালজি সমুদ্রে ভেসে সৈকতে এসে পড়ে৷ অনেকে সেটিকে শুধু অ্যালজি বা শৈবাল বলেন৷ সামুদ্রিক ইকোলজিস্ট হিসেবে মার ফার্নান্ডেস-মেন্ডেস বলেন, ‘‘অ্যালজি আসলে সামুদ্রিক উদ্ভিদের মতো৷ মাটির উপরের গাছপালার মতো সেগুলিও সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চালায়৷ কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে সূর্যের আলোর সাহায্যে সেটি রূপান্তরিত করে৷''
অ্যালজি কীভাবে কার্বন আবদ্ধ করে এবং গোটা সামুদ্রিক খাদ্য শৃঙ্খলাকে প্রভাবিত করে, সামুদ্রিক ইকোলজিস্ট হিসেবে মার ফার্নান্ডেস-মেন্ডেস সে বিষয়ে গবেষণা করছেন৷ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘কোনো অ্যালজি যখন সমুদ্রে কার্বন গ্রহণ করে, সেই অভাব পূরণ করতে মহাসাগর সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন শুষে নেয়৷ অর্থাৎ কোনো কিছু সরিয়ে ফেরলে ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে বায়ুমণ্ডল তা পূরণ করে৷''
সামুদ্রিক অ্যালজি প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনের এক চতুর্থাংশ থেকে এক তৃতীয়াংশ শুষে নেয়৷ এমনকি সমুদ্রে না থাকলেও সব অ্যালজি সেই কাজ করে৷ যে কাজেই সেই অ্যালজি ব্যবহার করা হোক না কেন, সেটি চাষ করলে কার্বন ধরা পড়ে৷ কয়েক হাজার বছর ধরে মানুষ অ্যালজি কাজে লাগিয়ে আসছে৷ অ্যামেরিকা ও পূর্ব এশিয়ার আদিবাসীরা সবার আগে অ্যালজি চাষ করেছিল৷ এমনকি সবচেয়ে পুরানো জাপানি কবিতায়ও অ্যালজির উল্লেখ রয়েছে৷
জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে যা যা করতে পারেন
জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, বিশেষ করে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা কমানোর উপায় নিয়ে বছর জুড়েই চলে আলোচনা৷ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের উদ্যোগেরও শেষ নেই৷ ব্যক্তি পর্যায়ের ছোট ছোট কিছু উদ্যোগও কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভালো ফল বয়ে আনতে পারে৷
ছবি: picture alliance/Bildagentur-online
লাইটের বাল্ব বদলে ফেলুন
ঘরে খুব সুন্দর সুন্দর লাইট লাগিয়েছেন? সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি এসব লাইটের বাল্ব অনেক সময় খরচও বাড়ায়৷ বিদ্যুতের খরচ কমাতে চাইলে শিগগির এলইডি বাল্ব লাগিয়ে নিন৷ অন্য সব বাল্বের চেয়ে এলইডি বাল্ব শতকরা ৯০ ভাগ পর্যন্ত কম বিদ্যুৎ খরচ করে৷
ছবি: DW/Gero Rueter
সব কাপড় রোদে-হাওয়ায় শুকান
কাপড় শুকানোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার করেন? যখনই সম্ভব ধোঁয়া কাপড় ড্রায়ারে না দিয়ে বাইরে টানিয়ে দিন৷ একটু সময় লাগলেও এক সময় কাপড়গুলো ঠিকই শুকিয়ে যাবে৷ বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি যত কম ব্যবহার করবেন, ততই উপকার৷ জানেন তো, বিশ্বের উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর? ড্রায়ার আপনার কাপড় শুকায় ঠিকই, পাশাপাশি উষ্ণতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে৷
ছবি: picture-alliance/AP/Hussein Malla
রিসাইক্লিং
বিশ্বকে বাসযোগ্য রাখতে অনেক জিনিসই রিসাইক্লিং, অর্থাৎ পুনর্ব্যবহার করার চল শুরু হয়েছে সারা বিশ্বে৷ তবে রিসাইক্লিংয়ের চর্চা থেকে অনেক মানুষই এখনো দূরে৷ একজন একজন করে শুরু করলেও সংখ্যাটা বাড়বে৷ জলবায়ুর ক্ষতিকর পরিবর্তন রোধের জন্য সেটাও কাম্য৷
ছবি: Fotolia/TrudiDesign
ঠান্ডা পানিতে কাপড় ধোয়া ভালো
আপনি কি গরম পানিতে কাপড় ধুয়ে অভ্যস্ত? তাহলে কিন্তু গ্রিন হা্উ গ্যাস নির্গমন বাড়িয়ে আপনি জলবায়ু পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখছেন৷ ঠান্ডা পানিতে কাপড় ধোয়া মোটেই কঠিন কাজ নয়৷ সহজ এই কাজটি করেও পরিবেশের উপকার করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/Kzenon
হাইব্রিড গাড়ি চালান
গাড়ির ধোঁয়া পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে৷ তাই গাড়ি যদি চালাতেই হয়, তাহলে হাইব্রিড ইলেকট্রিক গাড়ি কিনুন৷ তাতে ক্ষতি কিছুটা কম৷
ছবি: picture-alliance/Photoagency Interpress
গরু, খাশির মাংস কম খান
গরু, খাশি এবং অন্যান্য পশুর মাংস খাওয়া কমিয়ে বা পুরোপুরি বাদ দিয়ে নিরামিষভোজী হলেও পরিবেশের উপকার৷
ছবি: FOX BROADCASTING/The Simpsons
স্বল্প দূরত্বে বিমানযাত্রা কমান
বিমান চলাচলেও পরিবেশের অনেক ক্ষতি৷ ফলে আপনি যদি দেশের ভেতরে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার সময় অন্তত বিমানে না ওঠেন, তা পরিবেশ রক্ষায় কিছুটা ভূমিকা অবশ্যই রাখবে৷
ছবি: picture-alliance/P. Mayall
গাড়ি ছেড়ে বাইসাইকেল
যে কোনো ধরনের গাড়ি বর্জন করে যদি বাইসাইকেলে যাতায়াত করেন তাতে শরীর এবং পরিবেশ দুয়েরই উপকার৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
বেশি সন্তান নয়
জনসংখ্যা বাড়লে পরিবেশের ওপর চাপও বাড়ে৷ ফলে বেশি সন্তান না নেয়াই ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Grubitzsch
9 ছবি1 | 9
আয়ারল্যান্ডের ‘ক্নর্পেলটাং' জাতের অ্যালজি গোটা বিশ্বে ‘ক্যারাজিন' নামের খাদ্যের অ্যাডিটিভ বা সংযোজক হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে৷ সে দেশে ১৮৪০ সালের বিশাল দুর্ভিক্ষের সময়েও অ্যালজি বিকল্প খাদ্য হিসেবে কাজে লেগেছিল৷
বর্তমানে এশিয়া মহাদেশেই সবচেয়ে বেশি অ্যালজি চাষ হয়৷ রান্নার মধ্যেও এই উপকরণের ব্যবহার হয়৷ টুথপেস্ট, কসমেটিক্স ও ওষুধের মধ্যেও এর প্রয়োগ দেখা যায়৷ এই সব পণ্যের জন্য অ্যালজি চাষের সময় কার্বন ধারণ করা হয় বটে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো এমন কৃষিকাজের প্রধান লক্ষ্য ছিল না৷
এবার সেই পরিস্থিতি বদলাতে পারে৷ কারণ পশুর খাদ্য, সার এবং অরগ্যানিক প্লাস্টিক হিসেবে অ্যালজির ব্যবহার বিভিন্ন শিল্পশাখার ক্ষতিকর কার্বন নির্গমন কমিয়ে দেয়৷ অর্থাৎ কার্বন নির্গমন দুই গুণ কমে যায়৷
যেমন প্লাস্টিকের কথাই ধরা যাক৷ কিছু জাতের অ্যালজি পিএইচবি নামের এক অরগ্যানিক প্লাস্টিক সৃষ্টি করে৷ প্রচলিত প্লাস্টিকের দ্বিতীয় প্রধান উপাদান পলিপ্রোপিলিনের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে এই পদার্থ৷ এক যুগান্তকারী গবেষণার মাধ্যমে মোরিৎস ও অন্যান্য গবেষকরা নীল-সবুজ মাইক্রো অ্যালজি বা সিয়ানোব্যাকটেরিয়ায় রূপান্তর ঘটিয়ে এর উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হচ্ছেন৷ মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবে মোরিৎস কখ বলেন, ‘‘কিছু মেটাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে আমরা উৎপাদনের পরিমাণ দশ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বাড়াতে পেরেছি৷ বলতে গেলে আমরা অরগ্যানিক প্লাস্টিকের এমন ব্যাকটিরিয়া সৃষ্টি করেছি, যা মূলত অরগ্যানিক প্লাস্টিক দিয়েই গঠিত৷''
রঙে রঙিন বিচিত্র শৈবালের জগত
খুব অপ্রত্যাশিত জায়গায় এদের জন্ম, বা গজিয়ে ওঠা৷ কিন্তু বর্ণ ও বৈচিত্রে এরা অন্যন্য৷ আমরা অনেকেই হয়ত এদের দিকে খেয়াল করি না৷ তাই আসুন এই ছবিঘরের মাধ্যমে তাদের দিকে ফিরে তাকাই...
ছবি: Dorothee Killmann/Uni Graz
ক্ষুদ্র বিস্ময়
অরণ্যের মাটির দিকে ভালোভাবে তাকালে, গাছের গুড়িতে বা স্যাঁতস্যাঁতে দেয়ালে এদের দেখা পাবেন৷ এদের সর্বত্রই দেখা যায়৷ এদের উজ্জ্বল বর্ণ যে কাউকে আকৃষ্ট করবে – এরা সত্যিই ভীষণ সু্ন্দর৷
ছবি: DW/B. Osterath
পাথরের শ্যাওলা
এদের বলা হয় ‘রাইজোকার্পন জিওগ্রাফিকুম’ বা মানচিত্র শেবাল৷ নরওয়ের একটি পাথরের উপর থেকে এই শৈবালের ছবিটি তোলা হয়েছে৷
ছবি: Dorothee Killmann/Uni Koblenz
সহাবস্থান
ফাঙ্গাস আর অ্যালগি থেকে শৈবালের জন্ম৷ এখানে ফাঙ্গাস (বাদামি) অ্যালগি কোষের (সবুজ) সঙ্গে মিশেছে৷ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যালগি কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি থেকে চিনি উৎপাদন করে এবং ফাঙ্গাস সেই খাদ্য খেয়ে বাঁচে৷
ছবি: Frank Bungartz/Arizona State University
রেইন ডিয়ার বা বল্গা হরিণ
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রেইনডিয়ার নামের এই শৈবালকে নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও দেখেছেন? বিভিন্ন গাছে বা ঝোপঝাড়ে ফুলের মতো দেখতে এই শৈবালদের দেখা যায়৷
ছবি: Dorothee Killmann/Uni Koblenz
ক্রোম ইয়েলো
সব শৈবালই পুষ্টিকর খাবার নয়৷ এই সুন্দর রঙের ‘নেকড়ে শৈবাল’ বিষাক্ত শৈবালগুলোর মধ্যে অন্যতম৷ নেকড়ে ও খেঁকশিয়ালরা এর বিষের শিকার হয়৷
ছবি: Martin Grube/Uni Graz
স্পর্শকাতর শৈবাল
শৈবাল দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে টিকতে পারে না৷ এই শৈবালগুলোর ছবি নরওয়ের একটি বন থেকে তোলা৷ জার্মানিতেও এদের দেখা পাওয়া যায়৷ তবে এরা এখন বিলুপ্তির পথে৷
ছবি: Dorothee Killmann/Uni Koblenz
অদম্য শক্তি
কেবলমাত্র স্পর্শকাতর নয় এমন কিছু শৈবাল আছে, যারা শত ঝড়ঝাপ্টাতেও টিকে থাকে৷ অ্যান্টার্কটিকা হোক বা মরুভূমি, তারা ঠিকই বেঁচে থাকে৷ গালাপাগোসের সৈকতে একটা প্লাস্টিকের বোতলে দেখা যাচ্ছে এমন এক ধরনের শৈবাল৷
ছবি: Charles Darwin Foundation/F. Bungartz
আরোগ্য শক্তি
পাতার মতো দেখতে এই শৈবালের নাম ‘আইসল্যান্ড মস’৷ কয়েক ধরনের চা বা ট্যাবলেটে এটি ব্যবহৃত হয়৷
ছবি: Dorothee Killmann/Uni Koblenz
অদ্ভুত ধরন
এটা দেখে মনেই হয় না শৈবাল৷ মনে হয় যেন কোনো শক্ত পাথর৷ ‘আগ্নেয়গিরি শৈবাল’-এর দেখা পাওয়া যায় গালাপাগোসে এবং এরা অন্যদের থেকে একেবারেই ভিন্ন৷
ছবি: Frank Bungartz/Charles Darwin Foundation
বাদামি টুপি
ফাঙ্গাল স্পোর থেকে শৈবালের পুনরুৎপাদন হয়৷ এদের বলা হয় ‘বাদামি টুপি’ শৈবাল৷ ইউরোপ, উত্তর অ্যামেরিকা এবং এশিয়ায় এদের দেখা মেলে৷
ছবি: Dorothee Killmann/Uni Graz
নতুন বিশ্ব
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বে ২০ হাজার প্রজাতির শৈবাল রয়েছে৷ প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রজাতির খোঁজ মিলছে৷ সম্প্রতি এই বিশেষ শৈবালটির খোঁজ পেয়েছেন রুয়ান্ডাতে৷
ছবি: Dorothee Killmann/Uni Graz
11 ছবি1 | 11
পিএইচবি আবর্জনা হিসেবে সহজেই পচে যায় এবং অন্যান্য অরগ্যানিক প্লাস্টিকের মতো পরিবেশে কোনো ক্ষতিকর পদার্থ নিঃসরণ করে না৷ সেই অ্যালজি উৎপাদনের অবকাঠামোও প্রস্তুত রয়েছে৷ কখ বলেন, ‘‘আসলে বর্তমান প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েই নানা ধরনের সিয়ানোব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করা সম্ভব৷ শুধু স্পিরুলিনার মতো খাওয়ার উপযোগী উপকরণই নয়, অরগ্যানিক প্লাস্টিক উৎপাদনও এভাবে করা যায়৷''
পানিভিত্তিক চাষের পদ্ধতি কাজে লাগিয়েও ম্যাক্রো অ্যালজি চাষ করা যেতে পারে৷ অ্যাসপারাগোপসিস টাক্সিফর্মিস নামের বিশেষ একটি জাতের অ্যালজির বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ পশুর খাদ্যে সেটি যোগ করলে গবাদি পশুর কারণে মিথেন নির্গমন ৮২ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব৷
হজমের সময় গবাদি পশুর পেটের মধ্যে মিথেন সৃষ্টি হয়৷ তারপর পশুর শরীর থেকে সেই গ্যাস বেরিয়ে যায়৷ লাল রংয়ের এই অ্যালজির নির্দিষ্ট গুণ সম্ভবত শুরু থেকেই সেই গ্যাস সৃষ্টি হতে দেয় না৷