1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কার্বন-নিরপেক্ষ সিমেন্ট উৎপাদন করছে হোলসিম

৩১ জুলাই ২০২৩

বিশ্বের মোট কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমণের ছয় থেকে সাত শতাংশের জন্য দায়ী সিমেন্ট উৎপাদন৷ এই প্রক্রিয়া পরিবেশবান্ধব করতে একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে হোলসিম সিমেন্ট৷

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa/D.Fei

হোলসিমের কারখানায় চুল্লিতে প্রায় দেড় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চুনাপাথর থেকে সিমেন্ট তৈরি হয়৷ এতে অনেক কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়৷ এই ক্ষতিকারক কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে না ছেড়ে তা প্রক্রিয়াজাত করে পাইপলাইনের মাধ্যমে শিল্পখাতের ক্রেতাদের কাছে পাঠানো হয়৷

হোলসিম কর্মকর্তা আর্নে স্টেখার বলছেন, বর্তমানে তাদের কারখানায় আশেপাশের বাতাস ব্যবহার করে জ্বালানি পোড়ানো হচ্ছে৷ তবে ভবিষ্যতে খাঁটি অক্সিজেন ব্যবহার করা হবে৷ ‘‘এটি এমন এক বিষয় যা স্কুলে শেখানো হয়- খাঁটি অক্সিজেন ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়,'' বলেন তিনি৷

স্টেখার জানান, শিগগিরই তাদের দুটি বড় কারখানা নির্মাণ করতে হবে৷ প্রথমটি হলো, ইলেক্ট্রোলাইসিস ফ্যাক্টরি৷ এটি হাইড্রোজেন তৈরি করবে, যা হাইব্রিড যানে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ আর বর্জ্য হিসেবে খাঁটি অক্সিজেন পাওয়া যাবে৷ এই প্রকল্পের পুরো বিদ্যুৎ আসবে বায়ুশক্তি থেকে, কারণ এটি কার্বন-নিরপেক্ষ শক্তি উৎপাদনের সবচেয়ে ভালো উৎস৷ বর্জ্য হিসেবে পাওয়া অক্সিজেন পাইপলাইনের মাধ্যমে সিমেন্ট কারখানায় পাঠানো হয়৷ সিমেন্ট উৎপাদনের সময় সবচেয়ে ভালো দহন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে অক্সিজেন৷

হোলসিমের পরিবেশবান্ধব সিমেন্ট

04:29

This browser does not support the video element.

দহনের সময় উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড আর চিমনি দিয়ে বের করে দেয়া হয় না৷

এর পরিবর্তে রিফাইনারিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড দিয়ে অনেক কিছু, যেমন বায়োমিথানল তৈরি করা হয়৷ বিকল্প এই জ্বালানি গাড়িতে ব্যবহার করা যায়৷

আর্নে স্টেখার জানান, ‘‘নতুন ধরনের চুল্লি তৈরি ও দহন কাজে অক্সিজেন ব্যবহার করতে আমরা বিনিয়োগ করছি৷ এটি একটি পাইলট প্রকল্প৷ এতে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হচ্ছে৷ ইইউ থেকে আমরা ১০০ মিলিয়ন ইউরো পাচ্ছি, মানে মোট বিনিয়োগের ২০ শতাংশ৷''

সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে সিমেন্ট তৈরি শুরু হয়ে গেছে৷ প্যাকেটের রং সবুজ এবং অন্য সিমেন্টের চেয়ে এই সিমেন্টের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কিছুটা ভালো৷

তবে এখনও বেশিরভাগ সিমেন্ট আগের পদ্ধতিতেই তৈরি হচ্ছে-  বছরে প্রায় ১৩ লাখ টন৷

শতভাগ সবুজ সিমেন্ট তৈরি করতে কত খরচ হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ সব সিমেন্ট কারখানা কার্বন-নিরপেক্ষ করতে কতদিন লাগবে, তা-ও নিশ্চিত নয়৷ তবে এখানে থাকা চুনাপাথর আরো অনেক দশক ব্যবহার করা যাবে৷

ক্রিস্টিয়ান প্রিসেলিয়ুস/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ