শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব কম নয়৷ সে দেশের একটি হোটেল চেন পুরোপুরি কার্বন-নিরপেক্ষ হবার চেষ্টা করছে: দারচিনি গাছের কাঠ থেকে শুরু করে সোলার প্যানেল পর্যন্ত সে এক অভিনব প্রচেষ্টা৷
বিজ্ঞাপন
এক সবুজ ভবিষ্যতের স্বপ্ন: ২০২০ সালের মধ্যে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় হোটেল চেন শুধুমাত্র নবায়নযোগ্য জ্বালানিশক্তি ব্যবহার করবে৷
জেটউইং কোম্পানির ৩০টি হোটেল আছে, অভিজাত হোটেল, সারা বিশ্ব থেকে অতিথিরা আসেন৷ জেটউইং-এর চেয়ারম্যান হিরন কুরে বলেন, ‘‘মানুষ আর আমাদের পৃথিবীর কথা মনে না রাখলে, কোনো ব্যবসাই দীর্ঘকাল চলতে পারে না৷''
পন্থা হল আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, যার রসদ হবে প্রাকৃতিক কাঁচামাল, যেমন দারচিনি গাছের বাকল ছাড়িয়ে নেওয়ার পর যে ডালগুলো বাকি থাকে৷ অপরদিকে একটি হোটেল সংস্থার পক্ষে নিজেদের জ্বালানি শক্তি সরবরাহের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেওয়া একটা ঝুঁকি বৈকি৷ কুরে-র ভাষায়: ‘‘আমরা একটা রোল মডেল হতে পারি – কিংবা গিনিপিগ!''
‘‘আয়ুবোয়ান, স্বাগতম, দীর্ঘজীবী হোন৷ ভেতরে আসুন'' – স্বাগত জানালেন কুরে তাঁর বাসভবনে৷ জেটউইং-এর প্রধান শ্রীলঙ্কার পর্যটন শিল্পের চাঁই হিসেবে গণ্য৷ তাঁর বাবা হারবার্ট সত্তরের দশকে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ তখনই পরিবেশের কথা ভাবা হয়েছিল৷ কুরে শোনালেন: ‘‘আমার বাবা চিরকাল বিশ্বাস করতেন যে, আমরা যেখানেই হোটেল তৈরি করি না কেন, আমরা সেখানে অপরিচিত৷ কাজেই পরিবেশের দিকে নজর রাখা আর স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে হোটেল থেকে উপকৃত হন, তার খেয়াল রাখা তাঁর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷''
কোম্পানিটি পারিবারিক; কুরে-এর তিন পুত্রের মধ্যে দু'জন নিজেদের কোম্পানিতে কাজ করেন৷ ব্যক্তিগত পর্যায়েও পরিবেশবান্ধব চিন্তাধারা: বাড়ির প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ আসে সোলার প্যানেল থেকে৷
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে পরিবেশবান্ধব উপকরণ
রান্নাঘর, বাথরুম, আসবাবপত্র কিংবা সংসারের অন্যান্য জিনিস পরিষ্কার করতে আমরা রাসায়নিকযুক্ত পদার্থের দিকে হাত বাড়াই, যা শরীর ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর৷ ছবিঘরে পাবেন জার্মানদের দেয়া পরিবেশবান্ধব কিছু টিপস৷
ছবি: Fotolia/Pixelwolf
বেসিন পরিষ্কার রাখে কফির গুঁড়ো
প্রায়ই দেখা যায় রান্নাঘর বা বাথরুমের বেসিনে পানি জমে যায়৷ এই অবস্থা যাতে না হয়, তার জন্য আগে থেকেই মাঝে মাঝে বেসিনে কফির গুঁড়ো ঢেলে দিন আর সঙ্গে দিন যথেষ্ট পানি৷ কফির গুঁড়ো নিয়মিত বেসিনে দিলে বেসিনের পাইপ পরিষ্কার থাকবে৷ তবে পানি একবার জমে যাওয়ার পর কফির গুঁড়ো দিলে কিন্তু ফল হবে বিপরীত৷
ছবি: picture-alliance/ dpa
সিরকা
এক লিটার পানিতে এক কাপ সিরকা ঢেলে দিন৷ তারপর সেই পানি দিয়ে রান্নাঘর, বাথরুমের মেঝে মুছে ফেলুন৷ দেখবেন তেলভাব চলে গিয়ে কী সুন্দর ঝকঝক করছে সব কিছু৷
ছবি: Fotolia/fovito
কাঠের আসবাবপত্রের জন্য আখরোট
কাঠের ফার্নিচার একটু পুরোনো হলে বা অযত্নে থাকলে অনেকসময় তাতে হালকা ক্ষত হয় অথবা তা মলিন হয়ে যায়৷ তাই কাঠের চাকচিক্য ফিরিয়ে আনতে এবং হালকা ক্ষত দূর করতে আখরোট খুব উপকারী৷ আখরোটের শক্ত খোসা ফেলে দিয়ে ভেতরের বাদামটাকে আস্তে আস্তে কাঠের ওপর ঘষলে অসমতল জায়গা আবার সমতল হবে এবং কাঠ পুরোনো সৌন্দর্য ফিরে পাবে৷
ছবি: Colourbox
লেবুর তুলনা শুধু লেবুই
রান্নাঘর, বাথরুম, কাচের জানালা কিংবা টেবিল যাই হোক না কেন, এগুলো ঝকঝক করতে লেবুর কোনো তুলনা নেই৷ কুসুম গরম পানিতে বাসন ধোয়ার সামান্য তরল সাবান এবং কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন৷ এই পানি দিয়ে এ সব পরিষ্কার করলে তা কোনোরকম দাগ ছাড়াই ঝকঝকে দেখাবে৷ শুধু তাই নয় পুরো বাড়িতে একটা মিষ্টি সুগন্ধ ছড়িয়ে দেবে লেবু৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পুড়ে যাওয়া হাড়ির জন্য চাই লবণ
রান্না করার সময় পুড়ে যাওয়া লোহার হাড়ি বা কড়াই পরিষ্কার করতে কি করবেন? হ্যাঁ, হাড়িটিতে এক চা চামচ লবণ দিয়ে সামান্য গরম করে নিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন৷ দেখবেন আবার আগের মতোই হয়ে গেছে লোহার কড়াইটি৷
ছবি: Colourbox/Haivoronska_Y
5 ছবি1 | 5
নেগোম্বো শ্রীলঙ্কার পশ্চিম উপকূলের একটি সুদৃশ্য বন্দরনগরী৷ এখানে কাছাকাছি মোট পাঁচটি জেটউইং হোটেল আছে৷ যে গ্রিড থেকে এই সব হোটেলের বিদ্যুৎ আসে, তা দেখলে মান্ধাতার আমলের মনে হতে পারে; কিন্তু শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রায় ৩০ শতাংশ আসে নবায়নযোগ্য উৎস, যেমন জলবিদ্যুৎ থেকে৷ কাজেই কার্বন-নিরপেক্ষ হবার জন্য জেটউইং-কে শূন্য থেকে শুরু করতে হবে না৷
হোটেলগুলোর অর্ধেক বিদ্যুৎ খরচ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের দরুণ৷ এয়ারকন্ডিশনিং সাধারণত চলে বিদ্যুতে ও বাতাস ঠান্ডা করার রেফ্রিজারেন্টে৷ জেটউইং-এর পাঁচটি হোটেলে এক নতুন ধরনের এয়ারকন্ডিশনিং ব্যবহার করা হচ্ছে, যা বাষ্প থেকে শৈত্য সৃষ্টি করতে পারে – অর্থাৎ এক পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি৷ মেকানিকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে জার্মান জিআইজেড আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা৷
ছোট্ট একটা ভালো বাসা
বড় চিন্তা থেকে ছোট ছোট বাড়ি - পরিবেশ সচেতন ইউরোপীয়রা এই ভাবনা নিয়েই সাজিয়ে তুলছেন চারপাশ৷ পরিবেশবান্ধব বাসা তৈরি করতে গিয়ে তাঁরা এমন সব ভাবনা কাজে লাগাচ্ছেন, না দেখলে বিশ্বাসই হবেনা৷ দেখুন সেরকম কয়েকটি বাড়ি৷
ছবি: Colourbox
হবিট হাউজ
‘হবিট’ নাম শুনলেই মনে পড়ে জে. আর. আর. টলকিনের অনন্য সৃষ্টি ‘দ্য হবিট’-এর কথা৷ ছবির এই বাড়িটিও যেন রূপকথার রাজ্য থেকেই নেমে এসেছে৷ পাহাড়ে গর্ত খুঁড়ে জায়গা তৈরি, সেই জায়গায় পাশের বন থেকে খড়কুটো, গাছের ডাল ইত্যাদি জোগাড় করে গড়ে তোলা হয়েছে দারুণ এক শান্তির নীড়৷ বাড়ির মেঝে বা দেয়ালেও ইট-শুড়কির চিহ্নমাত্র নেই, সবই খাঁটি মাটির তৈরি৷
ছবি: cc-by-nc-sa/Simon & Jasmine Dale
নৌকাঘর
জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দের ছন্দ অনেকের চোখেই ঘুম নিয়ে আসে৷ সেই শব্দের কাছে থাকতে চাইলে নদীতেই ঘর বানাতে পারেন৷ এমন ঘর অনেক আছে ইউরোপে৷ ছোট ছোট ঘরগুলো যেন নদীর জলে নৌকার মতো ভাসছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/JOKER
সার্কাস গাড়ি
দালান কোঠা বানানোয় ঝামেলা অনেক, খরচও প্রচুর৷ কার্বন নিঃসরণ কমানোয় ভূমিকা রাখতে আগ্রহীরা তাই নানা উপায়ে সেই ঝামেলা এড়িয়ে কম খরচেই বানাচ্ছেন বাড়ি৷ সার্কাসের দল যে ধরণের ওয়াগন নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতো, আজকাল সেইগুলোতেও গড়া হচ্ছে বাড়ি৷ পূর্ণাঙ্গ বাড়ির সব সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এসব বাড়ি যখন যেখানে খুশি নিয়েও যাওয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অন্যরকম গ্রাম
বার্লিনে তখন পর্যটক এবং ছাত্ররা সবে দলে দলে আসতে শুরু করেছে৷ সেই তুলনায় বাড়ি-ঘর বেশ কম৷ স্থানীয় এক আবাসন বিশেষজ্ঞের মাথায় কম খরচে অভিনব বাড়ি বানানোর একটা বুদ্ধি এলো৷ পুরোনো কন্টেইনার জড়ো করলেন সবুজ শ্যামলিমায় ঘেরা একটা জায়গায়৷ কয়েকদিনের মধ্যেই সেই কন্টেইনারগুলোই হয়ে গেল আলাদা আলাদা বাড়ি৷ সব বাড়ি মিলিয়ে গড়ে উঠল অন্যরকম এক গ্রাম৷ অভিনব এই গ্রামের সব অধিবাসীই শিক্ষার্থী৷
ছবি: Jorg Duske
বাক্সবাড়ি
বাক্স না বলে, এগুলোকে জাহাজের কন্টেইনারের মতো বলাই বোধহয় ভালো৷ পার্থক্য হলো, জাহাজের কন্টেইনার আড়াআড়ি হলেও এই ধরণের বাক্সবাড়ি দাঁড়ায় খাড়াখাড়ি৷ সব মিলিয়ে তিন তলা৷ ছোট ছোট তিনটি কামরায় কম চাহিদার আধুনিক জীবনের জন্য দরকারি সবকিছুই আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গাছবাড়ি
ইউরোপের বনে বনে ছড়িয়ে পড়ছে এ ধরণের বাড়ি৷ অনেকটাই ধাতব পদার্থের তৈরি হলেও ‘পরিবেশবান্ধব ছোট ঘর’এর ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়েই তৈরি এসব বাড়ি৷ প্রকৃতির বুকে থাকার লোভনীয় অভিজ্ঞতার আকর্ষণে আজকাল এমন বাড়ি তৈরির দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই৷
ছবি: Andreas Wenning
অপরূপ কাচঘর
এক জার্মান ডিজাইনারের অপরূপ সৃষ্টি এটি৷ ঘরের ছাদ, সাগর তীর, খেলার মাঠ- মোট কথা যেখানেই একটু ফাঁকা জায়গা, সেখানেই এই বাড়ি বসিয়ে শুরু করতে পারেন বসবাস৷ চারপাশ কাচের বলে সারাদিন আলোকিত থাকে এই ঘর৷ ‘লফটকিউব’ দেখতেও দারুণ, তাইনা?
ছবি: picture-alliance/dpa
বাগানবাড়ি
জার্মানির প্রায় সব শহরেই দেখা যায় এ ধরণের বাড়ি৷ এটাও পরিবেশবান্ধব৷ ছোট্ট একটু জায়গার ওপর এই বাড়ি তৈরির সময় আশপাশে বাগান করার জায়গাও রাখা হয়৷ সেখানে কেউ ফুলের বাগান করেন, কেউ বা সযত্নে করেন শাকসবজির ক্ষেত৷
ছবি: Colourbox
8 ছবি1 | 8
‘বায়োমাস' বা জৈব পদার্থ দাহের মাধ্যমে জ্বালানি শক্তি উৎপন্ন করা হয়৷ প্রাথমিকভাবে এই নতুন মেশিনগুলির দাম পুরনো মেশিনের দ্বিগুণ, নতুন মেশিনগুলি চালানোও শক্ত৷ কিন্তু ধীরে ধীরে তা পুষিয়ে যাবে৷ জেটউইং-এর ডাইরেক্টর জুড কস্তুরি আরাচ্ছি জানালেন, ‘‘বায়োমাস বয়লারটায় একটানা জ্বালানি ঢুকিয়ে যেতে হয়৷ সারাক্ষণ প্রেসার ৮ ‘বার'-এ রাখতে হয়৷ এভাবে জ্বালানি ঢোকাতে লোক লাগে, হাতে করে ঢোকাতে হয়, মাঝেমধ্যে প্রতি আধঘণ্টা অন্তর৷''
দারুচিনি দ্বীপ
দারচিনি তৈরিতে যে কাঠ বাকি থাকে, মেশিনের বয়লারে সেই কাঠ ব্যবহার করা হয়৷ এর ফলে যে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়, গাছটা বাড়ার সময় বাতাস থেকে ঠিক সেই পরিমাণ সিওটু শুষে নিয়েছিল৷ কাজেই সবটা কার্বন-নিরপেক্ষ৷ এছাড়া জেটউইং-কে এখন তাদের নিজেদের বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে৷
দারচিনি তৈরির মুখ্য এলাকা নেগোম্বোর ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে৷ এখানকার মানুষ চিরাচরিত প্রথায় দারচিনি গাছের বাকল থেকে দারচিনি তৈরি করে থাকেন৷ দারচিনি থেকে বাড়তি রোজগারটুকু ছাড়া অনেকেরই সংসার চলত না৷
পরিবেশ বান্ধব হাইব্রিড গাড়ি
গাড়ি তৈরির প্রযুক্তি এখন দু’টি বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে৷ প্রথমত, কত কম জ্বালানি খরচ করবে, দ্বিতীয়ত, এ গাড়ি কতটা পরিবেশবান্ধব৷ হাইব্রিড গাড়ি পরিবেশ বান্ধব৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হাইব্রিড গাড়ির পাশে ম্যার্কেল
দু বছর আগে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ফ্রাঙ্কফুর্টে গিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক গাড়ি প্রদর্শনী উদ্বোধন করতে৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই গাড়ি প্রদর্শনীতে জার্মানির গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি ডাইমলার-এর সিইও ডিটার সেচে-র সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তাঁকে৷ তাঁরা দাঁড়িয়েছেন কিন্তু মার্সিডিজের এফ ১২৫ মডেলের হাইব্রিড গাড়ির সামনে৷
ছবি: Patrik Stollarz/AFP/Getty Images
বিএমডব্লিউ-র নতুন উপহার
জার্মানির আরেক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিএমডব্লিউ৷ গত মাসে হয়ে গেল ফ্রাঙ্কফুর্ট প্রদর্শনীর ৬৫তম আয়োজন৷ সেখানে বিএমডব্লিউ-র হাইব্রিড গাড়ির নবতম সংযোজন ইড্রাইভ এক্সফাইভ মডেলটিও ছিল৷
ছবি: JOHANNES EISELE/AFP/Getty Images
পর্শে-র গর্বিত সিইও
ভালো কিছু উপহার দিতে পারলে কে না খুশি হয়! মাটিয়াস ম্যুলারও খুব খুশি৷ এবারের ফ্রাঙ্কফুট প্রদর্শনীর আকর্ষণ বাড়িয়েছে পর্শে ৯১৮ স্পাইডার হাইব্রিড গাড়ি৷ পর্শে কোম্পানির সিইও মাটিয়াস ম্যুলার-কে তাই দেখা গেল নতুন মডেলের পরিবেশবান্ধব গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে ছবি তুলতে৷
ছবি: Reuters
ফলক্সভাগেনের হাইব্রিড
জেনেভার গাড়ি প্রদর্শনীতে নিজেদের সেরা হাইব্রিড গাড়িটি পাঠাতে চায় বলে গত মার্চে ছোট আঙ্গিকের এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল জার্মানির ফলক্সভাগেন৷ সেখানে এভাবেই হাজির করা হয় এক্সএলওয়ান মডেলের হাইব্রিড গাড়িটি৷
ছবি: Fabrice Coffrini/AFP/Getty Images
হোটেলে হাইব্রিড গাড়ি
টোকিওর হোটেলেও দেখা গেল হাইব্রিড গাড়ি৷ নতুন গাড়ি খদ্দেরদের দেখাতে ফাইভ স্টার হোটেলে নিয়ে হাজির করা অবশ্য নতুন কিছু নয়৷ জাপানের হন্ডা কোম্পানি টোকিওর এক হোটেলে এই গাড়িটি দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শাংহাইয়ের প্রদর্শনীতে...
দু বছর আগের শাংহাইয়ের আন্তর্জাতিক গাড়ি শিল্প প্রদর্শনী৷ সেদিন ছিল ‘মিডিয়া ডে’৷ গণমাধ্যমের শত শত ক্যামেরা সামনে হাজির লেক্সাস ইএস২৪০ মডেলের হাইব্রিড গাড়ি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
6 ছবি1 | 6
দারচিনি তৈরির পর যে কাঠটা পড়ে থাকে, তা জেটউইং-কে বিক্রি করে আজ আরো কিছু আয় হয়৷ কিন্তু এ সব মিলিয়ে যে পরিমাণ ‘বায়োমাস' পাওয়া যায়, জেটউইং-এর চাহিদা ইতিমধ্যেই তার বেশি৷ কাজেই ২০২০ সালের মধ্যে তাঁর হোটেলগুলোকে কার্বন-নিরপেক্ষ করতে হলে হিরন কুরে-কে আরো একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথ ধরতে হবে: ফোটোভোল্টেইক সেল বা সৌরশক্তি৷ তিনি এখনই সৌরশক্তি ব্যবহার করছেন, কিন্তু ভবিষ্যতে এই খাতে আরো বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়বে৷ কুরে বললেন,‘‘আমাদের জমি কিনতে হবে, কেননা সৈকতাবাসের কাছে জমির দাম অনেক বেশি আর সেই জমি সোলার পার্কে পরিণত করাও সম্ভব নয়৷ কিন্তু ভিতরের দিকে অনেক জমি আছে, যা সস্তায় কেনা সম্ভব৷ সেখানে আমরা বড় সোলার পার্ক তৈরি করতে পারব৷''
পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব একটি হোটেল চেন শুধু শ্রীলঙ্কাতেই নয়, অন্যত্রও দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা যায়৷