1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কার্লসরুয়ে শহরে ইতিহাস ও আধুনিকতার ছোঁয়া

এলিজাবেট ইয়রক ফন ভারটেনবুর্গ/এসবি২৪ আগস্ট ২০১৫

জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমে কার্লসরুয়ে শহর সম্পর্কে বেশিরভাগ বিদেশি পর্যটকদের তেমন ধারণা না থাকলেও শহরটির আকর্ষণ কম নয়৷ ৩০০ বছরের ইতিহাসের অনেক সাক্ষী এখনো অক্ষত রয়েছে৷ সেইসঙ্গে চলছে আধুনিক অবকাঠামো গড়ার কাজও৷

Das Karlsruher Schloss
ছবি: picture-alliance/Friedel Giert

কার্লসরুয়ে শহরের প্রায় সব পথই এক কেন্দ্রস্থলের সঙ্গে যুক্ত৷ আর সেখানেই রয়েছে বারক আমলের মারগ্রেভ কার্ল ভিলহেল্ম-এর কেল্লা৷ প্রায় ৩০০ বছর আগে একেবারে নির্জন এই স্থানে তিনি তাঁর বসতবাড়ি গড়ে তোলেন৷

সম্পত্তি নিয়ে লড়াইয়ের কারণে ভিটেমাটি হারিয়ে তাঁর সমসাময়িক অনেক শাসক নতুন কেল্লা গড়ে তুলেছিলেন৷ ডুয়রলাখ এলাকায় কার্ল ভিলহেল্ম-এর বসতবাড়িও রক্ষা পায় নি৷ ফরাসি স্থাপত্যরীতির অনুকরণে তিনি নতুন ভবন গড়তে চেয়েছিলেন৷ প্রদর্শনীর কিউরেটর জাকলিন মাল্টৎসান-রেডলিং বলেন, ‘‘সে সময়ে বারক-রীতি অনুযায়ী একের পর এক সম্প্রসারিত অংশ তৈরি করা হত৷ কার্ল ভিলহেল্ম সম্ভবত সেগুলি সোজা না করে কোণাকুণি সাজাতে চেয়েছিলেন৷ কেল্লা তৈরির সময় শাখাগুলি যেখানে ছড়িয়ে পড়েছিল, ঠিক সেখানেই শহরটি গড়ে ওঠে৷''

শহরের কেন্দ্রস্থলে এক চত্বরে শোভা পাচ্ছে কার্লসরুয়ে পিরামিড...ছবি: picture-alliance/dpa

১৭১৮ সালে কার্ল ভিলহেল্ম তাঁর উপপত্নীদের নিয়ে নতুন বাসস্থানে প্রবেশ করেন৷ স্ত্রীকে অবশ্য ডুয়রলাখ-এই ছেড়ে এসেছিলেন৷ পরে বাডেন অঞ্চলের অভিজাত শাসকরা কার্লসরুয়ে শহরকে বাসস্থান হিসেবে বেছে নেন৷ আজ সেই কেল্লায় বাডেন আঞ্চলিক মিউজিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে৷ শহরের পত্তন দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে৷

কার্লসরুয়ে শহরে বারক যুগের বেশি কিছু অবশিষ্ট নেই৷ তবে তা সত্ত্বেও সুন্দর ভবনের অভাব নেই৷ যেমন গটেসআউয়ে কেল্লায় সংগীত বিশ্ববিদ্যালয়৷ শহরে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো৷ রাজপথে অনেক ট্রাম দেখা যায়৷ ভবিষ্যতে অবশ্য সেগুলি নাকি সুড়ঙ্গের মধ্যেই বেশি চলাচল করবে৷ তাই শহরে প্রচুর নির্মাণকার্য চলছে৷ শহরের কেন্দ্রস্থলে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে আরও কিছুটা সময় লাগবে৷

শহরের কেন্দ্রস্থলে এক চত্বরে শোভা পাচ্ছে কার্লসরুয়ে পিরামিড – যা আসলে শহরের প্রতিষ্ঠাতা কার্ল ভিলহেল্ম-এর সমাধি৷ এই মুহূর্তে সেটি একটি মোড়কের মধ্যে রয়েছে৷ শুধু পোস্টকার্ডেই তার আসল রূপ দেখা যাচ্ছে৷ পাশেই শহরের টাউন হল৷ সেই সঙ্গে শহরের প্রধান প্রোটেস্টান্ট গির্জা৷ ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে গ্রিক মন্দিরের আদলে এটি তৈরি করা হয়েছিল৷

শিল্পের অনুরাগীদের জন্য কার্লসরুয়ে শহরে অনেক আকর্ষণ রয়েছে৷ শিল্প সংগ্রহশালা জার্মানির প্রাচীনতম মিউজিয়ামগুলির অন্যতম৷ এককালে বাডেন অঞ্চলের শাসকদের সংগ্রহশালা ছিল এটি৷

অতীতের এক অস্ত্র কারখানার ভবনে ডিজিটাল যুগের উপযোগী ‘সেন্টার ফর আর্ট অ্যান্ড মিডিয়া' গড়ে তোলা হয়েছে৷ ১৯৯৭ সাল থেকে সেখানে চিন্তার আদান-প্রদান ও পরীক্ষা-নীরিক্ষার ব্যবস্থা এবং একটি মিউজিয়ামও চালু হয়েছে৷ শহরের ৩০০ বছর উপলক্ষ্যে সেখানে বিশেষ প্রদর্শনীর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷ পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য পেটার ভাইবেল বলেন, ‘‘কার্লসরুয়ে অত্যন্ত সুন্দর এক শহর, সবুজ শহর৷ এই মুহূর্তে শহরটা নির্মাণস্থল হয়ে উঠেছে৷ মিউজিয়ামের মধ্যে আমরা বড় প্রদর্শনী করছি বটে, কিন্তু শহরটিকেও বাদ দিচ্ছি না৷ আমি সব সময় বলি, এই শহর আসলে এক স্টার৷ আমরা শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি৷ তাঁরা এসে নির্মাণস্থলগুলিকেই শিল্পের ইনস্টলেশন করে তুলতে পারেন৷''

তৈরি হয়েছে একটা কৃত্রিম মেঘ – যা প্রদর্শনীর একটা মূল আকর্ষণ৷ এই শিল্প প্রকল্পের নাম ‘ক্লাউডস্কেপস'৷

গ্রীষ্মকাল জুড়ে কার্লসরুয়ে জন্মদিন পালন করবে৷ ৩০০ বছর আগে কার্ল ভিলহেল্ম এখানেই নিজের বসতবাড়ি – তথা গোটা শহরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ