1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে হাইটেক পার্ক

১২ মার্চ ২০১৪

তথ্য প্রযুক্তি অঙ্গনকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে একটি ‘হাইটেক পার্ক’ বা ‘আইটি ভিলেজ’ গড়ার পরিকল্পনা চলছে সেই ১৯৯৯ সাল থেকে৷ কিন্তু আজও প্রত্যাশিত পার্কটি তৈরি হয়নি৷ কেন এই ব্যর্থতা?

CeBIT 2014 in Hannover
ছবি: picture-alliance/dpa

হানোফারে অনুষ্ঠিত তথ্য প্রযুক্তি মেলা সেবিট-এ এসেছেন বাংলাদেশ ‘হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের' ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে চলতি বছরের মধ্যেই হাইটেক পার্কের কাজ শুরুর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি৷

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ১৯৯৯ সাল থেকে হাইটেক পার্ক তৈরির পরিকল্পনা চললেও গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এখনো অবকাঠামোই পুরোপুরি তৈরি সম্ভব হয়নি৷ কয়েক বছর আগেও সেখানে গরু চরতো৷ বর্তমানে একটি মূল ফটক এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভবন রয়েছে সেখানে৷ কিন্তু মূল কাজ এখনো বাকি৷ তাই চলতি বছরের মধ্যে কীভাবে হাইটেক পার্কের কাজ শুরু হবে সেটাও এক বড় প্রশ্ন৷

হাল ছাড়তে রাজি নন হোসনে আরাছবি: DW/A. Islam

হোসনে আরা ‍অবশ্য হাল ছাড়তে রাজি নন৷ জানালেন, ১৯৯৯ সালে পরিকল্পনা নেয়া হলেও জমি বুঝে পাওয়া থেকে শুরু করে ‘অন্যান্য কাজে' সময় লেগেছে অনেক৷ তবে ২৩২ একর খাস জমি এখন তৈরি৷ প্রয়োজনে আশেপাশের জমিও দিতে প্রস্তুত স্থানীয়রা৷

কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের কাজ এগিয়ে নিতে কয়েক বছর আগে গঠিত হয় ‘হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ৷' ঢাকার বিসিসি ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এই অথরিটি৷ দ্রুত হাইটেক পার্ক তৈরির ব্যাপারে তারা সচেষ্ট হলেও বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে রাজনৈতিক চাপ তাদের পিছিয়ে দিচ্ছে বারবার৷ অভিযোগ রয়েছে, পার্ক নির্মাণের কাজ একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দিতে গত বছর একটি দরপত্র বাতিল করা হয়েছে৷ এখন আবার পুনরায় দরপত্র আহ্বানের কাজ চলছে৷ ফলে পিছিয়ে যাচ্ছে হাইটেক পার্ক তৈরির কাজ৷

[No title]

This browser does not support the audio element.

হোসনে আরা অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বরং জানালেন হাইটেক পার্কের সম্ভাবনার কথা৷ তিনি মনে করেন, তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানের দিক থেকে বাংলাদেশের তরুণরা অন্যান্য দেশের তরুণদের থেকে পিছিয়ে নেই৷ সুবিধাজনক ব্যাপার হচ্ছে, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে থেকে স্বল্প খরচে কাজ করিয়ে নেয়া সম্ভব৷ বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাই হাইটেক পার্কে বাংলাদেশি শ্রমশক্তি কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের কাজ করিয়ে নিতে চাচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷ আর এই আগ্রহ বিবেচনায় এনে দ্রুত হাইটেক পার্ক নির্মাণের দিকে মনোযোগী হোসনে আরা৷

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন শহরে ‘হাইটেক পার্ক' তৈরি হয়েছে বহু আগেই৷ তথ্য প্রযুক্তি বিশ্বে ভারত ইতোমধ্যে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে৷ বাংলাদেশ সে ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে অনেক৷ মেধাশক্তি থাকলেও পরিকাঠামো বড় অন্তরায়৷ এই অন্তরায় কাটিয়ে তুলতে কালিয়াকৈর ছাড়াও বিভিন্ন শহরে তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র বা হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন হোসনে আরা৷ পাশাপাশি বিভিন্ন শহরে সভা, সমাবেশ আয়োজনের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করে হবে বলেও জানান তিনি৷

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সাল থেকে নিয়মিত সেবিটে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ৷ চলতি বছর দশটির বেশি প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধিরা ছাড়াও পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তা মেলায় রয়েছেন৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই তথ্য প্রযুক্তি মেলা চলবে ১৪ মার্চ পর্যন্ত৷

সাক্ষাৎকার: আরাফাতুল ইসলাম, হানোফার থেকে

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ