1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাল থেকে পাঠশালা বন্ধ

স্যমন্তক ঘোষ নতুন দিল্লি
২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে। তাই বন্ধ রাখতে হবে কোচিং সেন্টারও। দিল্লি পুলিশের একটি ভিডিও ঘিরে ফের উত্তেজনা শহরে। যদিও ভিডিওটি কারচুপি করে বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের।

ছবি: AFP/P. Singh

অনেকটা 'হীরক রাজার দেশে'র মতো দৃশ্য। সেখানে রাজার সেপাই বরকন্দাজরা পাঠশালায় গিয়ে বলেছিলেন-- 'কাল থেকে পাঠশালা বন্ধ।' আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লি পুলিশ একটি কোচিং সেন্টারের সামনে গিয়ে বলছে, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত কোচিং সেন্টার, পিজি (পেইং গেস্ট অ্যাকোমডেশন) সব বন্ধ থাকবে। সকলে যেন বাড়ি চলে যায়।

মুখার্জি নগর দিল্লির শিক্ষা হাব নামে পরিচিত। সেখানে অলি গলিতে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ছোট বড় কোচিং সেন্টার। গোটা দেশ থেকে ছেলে মেয়েরা এসে নানা ধরনের চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন সেখানে। ফলে কোচিংয়ের পাশাপাশি রয়েছে অসংখ্য পিজি। ২৫ তারিখ সেই অঞ্চলেরই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় পুলিশ অফিসার এলাকার একটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছেন, ২৪ থেকে ২ তারিখ পর্যন্ত সব বন্ধ থাকবে। কেউ যেন শাটার না খোলেন। খুললে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। এরপরেই ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সকলে টিকিট কেটে বাড়ি চলে যান। কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করলে পেশাদার জীবনে দাগ লেগে যাবে।

দিল্লি পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে দিল্লি জুড়ে বিক্ষোভ চলছে। সে কারণে বেশ কয়েকবার ওই সব অঞ্চলে তাদের যেতে হয়েছে। কিন্তু যে ভিডিওটি দেখা যাচ্ছে সেটি ঠিক নয়। কারচুপি আছে। এ বিষয়ে টুইটারকেও তারা লিখিত ভাবে জানিয়েছে, যাতে সেখান থেকে ভিডিওটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, দিল্লি পুলিশ একটি নোটিসও বিলি করেছে এলাকায়। যদিও সেই নোটিসের কথাও অস্বীকার করছে পুলিশ।

পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করলেও, বুধ এবং বৃহস্পতিবার এলাকার প্রায় সমস্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ ছিল। বেশ কয়েকটি সেন্টারের শাটারে নোটিস ঝুলিয়ে বলা হয়েছে, ২ তারিখের পর কোচিং সেন্টার খুলবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কিছু সেন্টার মালিক এবং পিজির মালিক জানিয়েছেন, পুলিশ একবার নয়, বার বার এসে তাঁদের সাবধান করে দিয়ে গিয়েছে। সেন্টার খোলা রাখলে ফাইন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। একই বক্তব্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু ছাত্রের। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ এসে তাঁদের বলে গিয়েছে, আন্দোলন হরতালে তাঁদের দেখা গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে তাঁদের পেশাদার জীবনে দাগ লেগে যাবে।

সপ্তাহখানেক আগে সিএএ নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। যার জেরে মাঝরাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। লাইব্রেরিতে ঢুকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। তার কিছু দিন আগে জেএনইউ এর ছাত্রদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফলে দিল্লি পুলিশের 'বর্বরোচিত' আচরণ নিয়ে অনেক দিন ধরেই প্রশ্ন রয়েছে। সিএএ, এনআরসি-র পাশাপাশি পুলিশের আচরণ নিয়েও লাগাতার আন্দোলন চলছে। তারই মধ্যে এই ঘটনা আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য। 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ