কাশ্মীরে আরো সেনার মৃত্যু
১৫ অক্টোবর ২০২১গত প্রায় পাঁচদিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ভারতীয় সেনার তীব্র লড়াই হচ্ছে। গত ১০ অক্টোবর ডেরা কি গলি অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের হামলায় পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে আরো দুইজন আহত হয়েছেন বলে সেনা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল। তার মধ্যে একজন অফিসার এবং একজন জওয়ান। সকালে তাদের নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে সেনা সূত্র।
সেনা জানিয়েছে, বিপুল অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তান সীমান্ত পার করে ডেরা কি গলি সংলগ্ন জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে কয়েকজন সন্ত্রাসী। তারা লস্কর-ই-তইবার সদস্য হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই সন্ত্রাসীরা সীমান্ত পার করেছে জানতে পেরে ভারতীয় সেনা ওই অঞ্চলে অপারেশন শুরু করে। গত ১০ অক্টোবর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনার তীব্র লড়াই হয়। তাতে ৫ সেনার মৃত্যু হয়।
সেনা সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা অ্যাডভানটেজ পজিশনে আছে। পাহাড়ের উপর থেকে তারা সেনার উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এছাড়াও তারা জঙ্গলকে আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করছে। গত পাঁচদিন ধরে লাগাতার ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনার লড়াই চলছে। সন্ত্রাসীরা জঙ্গলের সুবিধা নিয়ে দ্রুত পজিশন বদলাচ্ছে বলেও জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে একসময় মুখোমুখি হয়ে যায় দুই পক্ষ। শুরু হয় গুলির লড়াই। তখনই সেনার এক অফিসার এবং এক জওয়ান গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা গেছে।
সেনা সূত্র জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের ধরা যায়নি। কতজন সন্ত্রাসী জঙ্গলে আছে, সে কথাও সেনার তরফে জানানো হয়নি।
গত কয়েকমাসে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। বেশ কিছু সেনা এবং পুলিশের মৃত্যু হয়েছে। সাতজন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জায়গায় জায়গায় সেনা ও পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সাতশ জনকে আটক করেছে। তারা সকলেই কোনো না কোনোভাবে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সব মিলিয়ে এক অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
কাশ্মীরের এই অবস্থার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছে রাজ্যের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ফারুক আবদুল্লাহ। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এনএসএ অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টিম পাঠিয়েছে। সেই টিম কাশ্মীরে পৌঁছানোর পরেই ব্যাপক ধরপাকর শুরু হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, সেনা বিবৃতি)