1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সন্ত্রাসবাদভারত

কাশ্মীরে নিরাপত্তার নতুন বিপদ ‘হাইব্রিড'-রা?

গৌতম হোড় শ্রীনগর | স্যমন্তক ঘোষ শ্রীনগর
৮ এপ্রিল ২০২৪

ভোটের কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘হাইব্রিড' সন্ত্রাসীরা।

শ্রীনগরের লালচক এলাকায় ব্যস্ত জনজীবন।
শ্রীনগরে এখন সন্ত্রাসের ঘটনা এখন অনেকটাই কমে গেছে। পর্যটকে ভরে গেছে কাশ্মীর। ছবি: Goutam Hore/DW

হাইব্রিডরা চেনা সন্ত্রাসবাদী নয়, পুলিশের খাতায় তাদের নাম নেই। তারা এমনিতে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। সেরকম কিছু মানুষের হাতে সাময়িকভাবে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা। সহিংমসতার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। তারা চুপচাপ সেই কাজটা করে চলে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবনে। এদেরই বলা হচ্ছে ‘হাইব্রিড'।

কাশ্মীরের সর্বত্র মোতায়েন রয়েছে আধা সেনা বাহিনী। একটু দূরে দূরেই রাস্তায়, গুরুত্বপূর্ণ ভবনের সামনে, ছাদে চোখে পড়বে তাদের। রাস্তায় সমানে চক্কর দিচ্ছে সিআরপিএফের গাড়ি। নিরাপত্তার এই আবহে সহিংসতা আগের তুলনায় অনেকটাই কম।

সূত্র জানাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে কৌশল বদল করছে সন্ত্রাসবাদীরা। তারা সন্ত্রাসের কাজে যুক্ত করছে হাইব্রিডদের। এই হাইব্রিডরা অনেকটা সুপারি কিলারের মতো। তাদের উপর নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা কাজ শেষ করে অস্ত্র ফেরত দিয়ে দিচ্ছে। তারপর পেশাগত কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে করছে। সময় কাটাচ্ছে পরিবারের সঙ্গে।

আগে কাশ্মীরের তরুণরা সন্ত্রাসবাদী হলে রীতিমতো সামাজিক মাধ্যমে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার ছবি দিয়ে ঘোষণা করে দিত, তারা সন্ত্রাসে, সহিংসতায় দীক্ষিত হয়েছে। ফলে তাদের চিহ্নিত করতে, তাদের মোকাবিলা করতে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছুটা সুবিধা হত। এখন হাইব্রিডদের ক্ষেত্রে সেই সুবিধা নেই।

শ্রীনগরের এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি এরকম দুইটি ঘটনা ঘটেছে। দুইটি ক্ষেত্রেই কয়েকদিনের মধ্যে পুলিশ হাইব্রিডকে চিহ্নিত করে, তাকে ধরতে পেরেছে। শুধু কয়েকদিন সময় লেগেছে।

বিরোধী রাজনীতিকরা হাইব্রিডদের প্রসঙ্গ তুলছেন। তারা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো হয়েছে, এটা ঠিক, তবে শান্তি এসেছে এটা বলা যাবে না। সিপিএমের ইউসুফ তারিগামি, এনসি-র ইমরান নবি ডর, পিডিপি-র মোহিত ভান, পণ্ডিতদের নেতা সঞ্জয় টিক্কু সকলেই এবিষয়ে একমত। তাদের অনেকেই হাইব্রিড-দের প্রসঙ্গ তুলে জানিয়েছেন, ভালো পেশার সঙ্গে যুক্ত, শিক্ষিত এই অজানা সন্ত্রাসীরা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কাশ্মীরের এই আপাত শান্তির পিছনে অশান্তির মেঘও আছে।

কিন্তু কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, হাইব্রিডদের সহিংসতার খুব বেশি ঘটনা ঘটেনি। ভোটের কাশ্মীরেও সহিংসতার ঘটনা নেই বললেই চলে। তারা অবশ্যই সতর্ক। কিন্তু এখনই অ্যালার্ম বেল বাজানোর কারণ ঘটেনি।

তারিগামির দাবি, কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেকটা ঝড়ের আগের শান্তির মতো। পণ্ডিতদের নেতা সঞ্জয় টিক্কু বলছেন, ‘'পর্যটক হিসাবে ঘুরে দেখলে​​​​​​​ মনে হবে, সব ঠিক। আমরা যারা এখানে আছি, তাদের কাছে পরিস্থিতিটা চিন্তার। কার পকেটে রিভলভার আছে তা কে জানে?''

এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর একটা জায়গা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। দু-একটা জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ হয়েছে। শ্রীনগর ও আশপাশের এলাকা কার্যত ঘটনাশূন্য। কিন্তু সীমান্তের দিকে কিছু উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা এখনো আছে। সেই এলাকাও অনেকটা শান্ত। যেহেতু কাশ্মীরে নিরাপত্তা নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স' নীতি নেয়া হয়েছে। তাই হাইব্রিড-দের নিয়ে চিন্তা তো আছেই।

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ