1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে প্রাণহানি

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৯ জানুয়ারি ২০১৩

জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানি সেনার হাতে দু’জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ৷ যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর৷

FILE - In this July 17, 2006 file photo, Border Security Force soldiers patrol the India-Pakistan border at Kanachak, about 15 kilometers (9 miles) west of Jammu, India. Pakistan and India traded accusations Sunday, Jan. 6, 2013, of violating the cease-fire in the disputed northern region of Kashmir, with Islamabad accusing Indian troops of a cross-border raid that killed one of its soldiers and India charging that Pakistani shelling destroyed a home on its side. (Foto:Channi Anand, File/AP/dapd)
ছবি: dapd

মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্জ জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখার ভেতরে টহলরত দু'জন ভারতীয় সেনার পাকিস্তানি সেনার গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘‘প্ররোচনামূলক'' বলেই দেখছে ভারত৷ শুধু তাই নয়, মৃত সেনার লাশকে বিকৃত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই ঘটনাকে অমানবিক এবং অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেন৷ দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে বিদেশ মন্ত্রকে ডেকে পাঠিয়ে এ বিষয়ে ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়৷

নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় সেনাদেন টহলছবি: dapd

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদ বলেন, এই ঘটনাকে বাড়তে দেয়া হবে না, যেভাবেই হোক৷ পাকিস্তানকে সেই বার্তাই দেয়া হয়েছে৷ পাকিস্তানের কাছ থেকে উত্তরের অপেক্ষা করা হচ্ছে এ মুহূর্তে৷ তবে পাকিস্তান সরকারের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয় যে, নিয়ন্ত্রণরেখায় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এই ধরণের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ ভারতের যদি সন্দেহ থাকে তাহলে তারা তৃতীয়পক্ষ বা নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের দিয়ে তদন্ত করাতে পারে৷

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ আলাদা আলাদাভাবে চেয়ে পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় নিরাত্তা উপদেষ্টা, সেনাবাহিনীর প্রধান এবং সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কাছে৷ এ নিয়ে বৈঠক হবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটিতে৷

এই ঘটনা কিন্তু ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিতটা নাড়িয়ে দিয়েছে৷ আস্থাবর্ধক পদক্ষেপে আবারো বড় বাধা দেখা দিতে পারে৷ যেমনটা হয়েছিল, ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধের পর, ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদ ভবনে জঙ্গি হামলার পর, অথবা ২০০৮ সালে মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার পর৷ সে সময়ে থেমে গিয়েছিল দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্ক৷ যাতে গতি আনতে নেয়া হয়েছিল বিভিন্ন আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ৷ যেমন অস্ত্রবিরতি, ভিসার নিয়ম শিথিল করা, ভারতকে সব থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেয়া ইত্যাদি৷

কেন হচ্ছে এটা বারবার? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ বছরেই পাকিস্তানে নির্বাচন৷ আর তাতে শাসক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি'র জেতার সম্ভাবনা ক্ষীণ৷ তাই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়িয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারেন জারদারি সরকার৷ কারণ, ভারতবিদ্বেষ শাসক দলের একটা পরিচিত রাজনৈতিক হাতিয়ার৷

অন্যদিকে, এই ঘটনায় মনমোহন সিং সরকারও পড়বেন বিপাকে৷ বিরোধীদল সরকারকে চেপে ধরবে সরকারের নরম বিদেশ নীতির জন্য৷ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি শোনা যাচ্ছে৷ কাজেই ভারতকে এমন এক কূটনীতি গ্রহণ করতে হবে যাতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেয়া যায়, বলছেন বিশ্লেষকরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ