1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে ১৪ মাস পরে মুক্ত মেহবুবা মুফতি

১৪ অক্টোবর ২০২০

প্রায় ১৪ মাস পরে মুক্তি পেলেন মেহবুবা মুফতি। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর তাঁকে আটক করা হয়েছিল।

ছবি: Getty Images/S. Hussain

দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেছিল, আর কতদিন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে বন্দি করে রাখা হবে? সর্বোচ্চ আদালতের এই প্রশ্নের পর মঙ্গলবার মুক্তি দেয়া হলো পিডিপি নেতা মেহবুবা মুফতিকে। জম্মু ও কাশ্মীরে গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন মেহবুবা। সেই মেহবুবাকেই ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর আটক করা হয়।  মঙ্গলবার রাত নয়টা ১৭ মিনিটে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি টুইট করে বলেন, মেহবুবাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

মুক্তি পাওয়ার পর মেহবুবাও একটি অডিও বার্তা টুইট করেন। তিনি বলেছেন, ''এক বছরেরও বেশি সময় পরে আমি মুক্তি পেলাম। ২০১৯ সালের ৪ অগাস্টের পর থেকে কাশ্মীরে কালো দিন চলছে, যা আমার আত্মাকে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছনা করছে। আমার বিশ্বাস জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষও একই রকম ভাবছেন। ওই দিন আমাদের যে অপমান করা হয়েছে তা ভুলতে পারব না।'' ২০১৯-এর ৫ অগাস্ট কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কি শুধুই কাশ্মীর?

47:08

This browser does not support the video element.

মেহবুবা বলেছেন, ''আমাদের মনে রাখতে হবে, দিল্লি দরবার বেআইনি ও অগণতান্ত্রিকভাবে আমাদের কাছ থেকে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। কাশ্মীরের জেলে বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।''

এর আগে দীর্ঘদিন আটক থাকার পর ফারুখ আবদুল্লাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মুক্তি পেয়েছেন তাঁর ছেলে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তারপরেও মেহবুবাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। তঁর মেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সর্বোচ্চ আদালত জানতে চায়, আর কতদিন মেহবুবাকে আটক করে রাখা হবে? সুপ্রিম কোর্টে সেই জবাবদিহি করতে হতো জম্মু ও কাশ্মীর এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার আগেই তাঁকে মুক্তি দেয়া হলো।

কাশ্মীর এখনো অশান্ত। মাঝে মাঝেই সেখানে হামলা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজেপি নেতারা আক্রান্ত হচ্ছেন। এখনো শ্রীনগর সহ কাশ্মীরের অন্যত্র প্রচুর নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা আছে। মোবাইল পরিষেবা চালু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু একটি জেলা বাদে বাকি সব জায়গায় ২জি পরিষেবা দেয়া হচ্ছে। 

এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে মেহবুবাকে মুক্তি দিতে কার্যত বাধ্য হলো কেন্দ্র এবং জম্মু ও কাশ্মীর সরকার।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ