কায়রোতে আবারও সেনা জনতা সংঘর্ষ
১৭ ডিসেম্বর ২০১১তাহরির চত্ত্বর সেনাদের দখলে
গত শুক্রবার শুরু হওয়া সংঘর্ষের পর এখন পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সরকার৷ এছাড়া আহত হয়েছে তিন শতাধিক মানুষ৷ এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ত্রিশজন রয়েছে বলে জানা গেছে৷ বার্তা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে জানা গেছে, শুক্রবারের মত শনিবারও কায়রোর প্রধান সড়কে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জনতা৷ এই সময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর চড়াও হয় নিরাপত্তা বাহিনী৷ নির্বিচারে লাঠিপেটার পাশাপাশি ব্যাপক কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ ও সেনারা৷ উভয় পক্ষের মধ্যে চলেছে ইটপাটকেল নিক্ষেপ৷ তাহরির চত্বরে থাকা প্রতিবাদকারীদের তাবুগুলো এই সময় জ্বালিয়ে দিয়েছে সেনা সদস্যরা৷ তাহরির চত্বরের আশেপাশের এলাকাতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ মোট কথা, শুক্রবারের পর শনিবারও ব্যাপক উত্তপ্ত কায়রো৷ উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর নির্বাচনের আগেও সপ্তাহব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কায়রো৷ সেই সময় ৪২ জন নিহত হয়েছিল সেনা-জনতা সংঘর্ষে৷
তুচ্ছ কারণে সংঘর্ষের সূত্রপাত
নির্বাচনের পর বেশ কয়েকদিন ধরে শান্ত ছিল পরিস্থিতি৷ হঠাৎ করেই এই সংঘর্ষ শুরুর সুনির্দিষ্ট কারণ আসলে এখনও জানা যায়নি৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স সরকারি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সংসদ ভবন চত্বর থেকে এই গন্ডগোল শুরু হয়৷ শুক্রবার কিছু লোক সেখানে ফুটবল খেলছিলো৷ খেলার মধ্যেই ফুটবলটি সেখানকার দায়িত্বরত পাহারাদার পুলিশের কাছে গিয়ে পড়ে৷ এক ব্যক্তি ফুটবলটি ফেরত আনতে গেলে তাকে মারধর করে পুলিশ৷ আবার আরও কিছু লোক জানিয়েছে ভিন্ন ঘটনা৷ এক ব্যক্তি সংসদ ভবন চত্বরে জোর করে তাবু খাটাতে যায়৷ এই সময় তাকে বাধা দেয় পুলিশ৷ এরপরই শুরু হয় গন্ডগোল৷
জনতাকে দোষারোপ
এই সংঘর্ষের জন্য প্রতিবাদকারীদেরই দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী কামাল আল গানজুরি৷ তিনি বলেছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যারা অভ্যুত্থান করেছিলো তাদের বিরোধীরাই এই সংঘর্ষ শুরু করেছে৷ তিনি দাবি করেন, যখনই পরিস্থিতি একটু শান্ত হয়ে আসে তখন দেশীয় এবং বিদেশি একটি মহল পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করে৷ কামাল গানজুরি বলেন, শুক্রবার যা হয়েছে তার সঙ্গে ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের কোন সম্পর্ক নেই৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই