1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কায়রোয় বিক্ষোভ অব্যাহত, আরো ৩০ জন আহত

২২ নভেম্বর ২০১১

সোমবার নির্বাচনের শুরু, অথচ মিশরের পরিস্থিতি অশান্ত৷ জেনারেল আর রাজনীতিকরা যা হোক একটা সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছেন বটে, কিন্তু তরুণ বিপ্লবী জনতা আর কোনো মেকি আপোষে সন্তুষ্ট নয়৷

Protesters gather in Tahrir Square in Cairo, Egypt, Monday, Nov. 21, 2011. Security forces fired tear gas and clashed Monday with several thousand protesters in Cairo's Tahrir Square in the third straight day of violence that has killed dozens of people and has turned into the most sustained challenge yet to the rule of Egypt's military.(Foto:Khalil Hamra/AP/dapd)
তাহরির চত্বরে বিক্ষোভকারীদের একাংশছবি: dapd

মঙ্গলবার সকালেও শত শত বিক্ষোভকারী তাহরির চত্বরের দিকে আসতে শুরু করে৷ সেখানে হাজার হাজার মানুষ রাত কাটিয়েছে তাঁবু গেড়ে, কিংবা ঘাসের ওপরে গায়ে কম্বল জড়িয়ে৷ পুলিশ শত চেষ্টা করেও তাদের সরাতে পারেনি৷ সোমবার প্রধানমন্ত্রী এসাম শরাফের মন্ত্রীসভা পদত্যাগ দাখিল করলেও, শাসক সামরিক পরিষদ এখনো পর্যন্ত সে পদত্যাগ গ্রহণ করেনি৷ ওদিকে ‘‘মিশরের ত্রাণ'' নামধারী বিক্ষোভে সামিল জনতা চায়, খোদ জেনারেলরা পদত্যাগ করুন৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আর তাহরির চত্বরের মধ্যে মোহামেদ মাহমুদ স্ট্রিটে নিরাপত্তা বাহিনী আর বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে৷ এদিকে পাথর ছোঁড়া, ওদিকে কাঁদানে গ্যাস৷ ৩০ জন আহত৷ কিন্তু এ'সব হল পথের দাবি৷ জেনারেলরা রাজনীতিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে চেয়েছিলেন: রাজনীতিকরা বলছেন, সংসদীয় নির্বাচন ঠিক সময়েই হওয়া চাই৷

কায়রোয় সহিংসতার খণ্ডচিত্রছবি: Amira Rahman

রাজপথের সংঘর্ষে শনিবার যাবৎ অন্তত ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছে৷ ওদিকে নির্বাচনও একদিনের নয়, খেপে খেপে, ধাপে ধাপে৷ নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আগামী বছরের মার্চ মাস হয়ে যাবে৷ তা নিয়ে যে সকলের মাথাব্যথা আছে, এমন নয়৷ নির্বাচন নিয়ে, পূর্ণ গণতন্ত্রে উত্তরণের সময় এবং নির্ঘণ্ট নিয়ে সকলের তাড়া কিংবা তাড়না তো এক নয়৷ সেই সঙ্গে রয়েছে নির্বাচন থেকে কোন দল কি গোষ্ঠী কতোটা সাফল্য, প্রভাব এবং সুযোগ-সুবিধা আশা করছে৷ মুসলিম ভ্রাতৃত্ব এবং চারটি অপর দল জেনারেলদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বসতে রাজি৷ মুসলিম ভ্রাতৃত্ব নির্বাচনে বেশ ভালো ফল করবে বলেই প্রত্যাশা করছে৷ তাদের সাধারণ সম্পাদক সাদ আল-কাতাৎনি বলেছেন, নির্বাচন ঠিক সময়ে হতে হবে এবং ২০১২ সালের মাঝামাঝি কিংবা তার আগে বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে হবে৷

উদারপন্থি ওয়াফ্দ্ দল, ইসলামপন্থি সালাফি নুর দল, সকলেই তাই বলছে৷ কিন্তু সামরিক প্রশাসকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন সংসদ একটি ১০০ সদস্য বিশিষ্ট কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি নির্বাচন করবে৷ সেই সাংবিধানিক সম্মেলন ছ'মাসের মধ্যে একটি নতুন সংবিধানের খসড়া পেশ করবে৷ তারপর একটি গণভোটে সেই খসড়া অনুমেদিত হলে, তবেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে৷ যার মানে এই যে, জেনারেলরা ২০১২'র শেষ কিংবা ২০১৩'র সূচনা পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন৷ সুতরাং তরুণ বিপ্লবীরা বলছে, সামরিক পরিষদের সঙ্গে কোনো রুদ্ধদ্বার আলোচনা নয়৷ আসল সংলাপ চলেছে তাহরির চত্বরে৷ যেখানে এ'যাত্রার শুরু৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ