বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ২ কোটিই ভুগছেন কোনো-না-কোনো কিডনি জটিলতায়৷ কিন্তু এত রোগীর বিপরীতে কিডনি বিশেষজ্ঞের সংখ্যা দুশ' জনেরও কম৷ চিকিৎসকের স্বল্পতা আর চিকিৎসাহীনতায় কিডনি জটিলতা নিয়েই জীবন পার করছেন অনেক মানুষ৷
বিজ্ঞাপন
দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদও স্বীকার করেছেন চিকিৎসকের অপ্রতুলতার কথা৷ তবে এক্ষেত্রে সরকার নানাবিধ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান তিনি৷
‘‘ইউরোলজিস্ট এবং নেফ্রোলজিস্টদের সংখ্যা কম আছে, সেটা সত্যি৷ তবে এটা সামাল দিতে সরকার নানাবিধ উদ্যোগ নিচ্ছে,'' ডয়চে ভেলেকে বলেছেন অধ্যাপক আজাদ৷
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মহাপরিচালক বলেন, ‘‘সরকার জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ডায়ালাইসিস বেড বাড়াচ্ছে৷ এটা সরকারের নির্বাচনি ইশতাহারেও ছিল৷ সরকারি হাসপাতালে জেলা- উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করার কাজ চলছে৷ প্রতিস্থাপন সহজ করতে বিদ্যমান আইনে কিছুটা পরিবর্তনও এনেছে৷''
২ কোটির বিপরীতে ২শ' চিকিৎসক
বাংলাদেশে কিডনি রোগীর মোট সংখ্যা কত সেটার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ঢাকার সাভারে এক জরিপের উপর ভিত্তি করে এই সংখ্যা ২ কোটি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগের পাশাপাশি কোনো-না-কোনো কিডনি প্রদাহে তাঁরা আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷
খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, ব্যাথানাশক এবং নানা ওষুধের কারণেও কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে: রফিকুল আলম
‘‘আমাদের ছোট একটা স্টাডি করা ছিল সাভারে, সেটার ভিত্তিতে আমরা অনুমান করি, বাংলাদেশে দুই কোটি লোক কোনো-না-কোনো কিডনি রোগে ভুগছে,'' ডয়চে ভেলেকে বলেছেন বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ রফিকুল আলম৷
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল নিজেও একজন কিডনি বিশেষজ্ঞ৷ দেশে মোট রোগীর তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা ‘মোটেই পর্যাপ্ত নয়' বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ অধ্যাপক রফিকুল বলেন, ‘‘আমাদের যে ব্যাপক জনসংখ্যা, সে তুলনায় আমাদের ১৬০ থেকে ১৭০ জন নেফ্রোলজিস্ট বা কিডনি বিশেষজ্ঞ আছে৷ সেখানে আমরা যদি কিডনি রোগীকে দেখতে যাই, তাহলে একেকজন ডাক্তারকে দিনে কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৭০০ রোগী দেখতে হবে, কিন্তু সেটা তো কোনোভাবে সম্ভব না৷''
২০১৮ সালের অক্টোবরে ব্রিটিশ চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়, কিডনি ক্যানসার ও বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে বাংলাদেশে ২০১৬ সালে ১৯ হাজার ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল৷ ২০৪০ সালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ২৫০ হবে৷
এত মানুষের মৃত্যুর জন্য চিকিৎসা না পাওয়াকে অন্যতম কারণ হিসাবে উল্লেখ করে অধ্যাপক রফিকুল বলেন, ‘‘আমাদের দেশের যত রোগীর ডায়ালাইসিসের দরকার, তার মধ্যে ১০ থেকে ২০% ডায়ালাইসিসের সুবিধা পায়৷ তাঁদের মধ্যে আর্থিক সংকটের কারণে ৬ মাস পরে বেশিরভাগ লোকই আর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারে না৷ আর আমাদের যে পরিমাণ রোগীর কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হওয়া দরকার, তার মাত্র ৫ থেকে ১০% রোগী এই সুবিধাটা পায়৷''
এই কিডনি বিশেষজ্ঞ জানান, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২ হাজার রোগী কিডনি ডায়ালাইসিস করছে৷ সরকারি প্রতিষ্ঠানে যান মাত্র ৭০০ থেকে এক হাজার৷ বাকিরা ডায়ালাইসিসের জন্য যাচ্ছেন বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে৷
কিডনি ভালো রাখার আটটি উপায়
কিডনি রক্ত ফিলটার করে, মূত্রের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, হর্মোন উৎপাদন করে৷ এই সব ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে তার অর্থ, কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না৷ কিডনি ভালো রাখার পন্থাগুলো দেখা যাক৷
ছবি: Colourbox
সচল থাকুন! সক্রিয় থাকুন!
খেলাধুলা, হাঁটাচলা, এক্সারসাইজ হল ব্লাড প্রেসার কমিয়ে রাখার এবং ডায়াবেটিস রোখার শ্রেষ্ঠ পন্থা৷ ডায়াবেটিস থেকেই কিডনি’র সমস্যা দেখা দেয়৷ ডায়ালিসিস পেশেন্টদের ৩০ শতাংশ হল ডায়াবেটিসের রোগী৷
ছবি: Colourbox/Vincent Hazat/6PA/MAXPPP
ব্লাড সুগার চেক করান!
ব্লাড সুগারের লেভেল স্টেডি থাকা চাই৷ উচ্চ ব্লাড সুগার কিডনির ভেতরের ব্লাড ভেসেল’গুলোর ক্ষতি করে, ফলে ঠিকমতো রক্ত পরিশোধন হয় না৷ ব্লাড সুগার ঠিক থাকলে, কিডনিও ভালো থাকে৷
ছবি: Colourbox/E. Wodicka
ব্লাড প্রেসারের খেয়াল রাখুন!
উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ফেইলিওর-এর দ্বিতীয় প্রধান কারণ৷ দীর্ঘমেয়াদে হাই ব্লাড প্রেসার ব্লাড ভেসেলগুলোর ক্ষতি করতে পারে৷ কিডনির কর্মক্ষমতা অক্ষত রাখার জন্য রক্তচাপ ১৪০/৯০-এর বেশি হলে চলবে না৷ রক্তচাপ কম রাখার জন্য দরকার পড়লে ওষুধ খেতে হবে৷
ছবি: Colourbox
স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন!
কথায় বলে ‘ব্যালেন্সড ডায়েট’, মানে ফলমূল, শাকসবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন৷ বেশি মোটা হওয়ার সঙ্গে রক্তের উচ্চচাপ এবং ডায়াবেটিস, উভয়েরই যোগ আছে৷ যতো কম সম্ভব লবণ খাওয়া উচিত, কেননা অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ কিডনির ক্ষতি করে৷
ছবি: Colourbox
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাবেন!
শরীর থেকে হানিকর পদার্থ ফিলটার করে বার করার জন্য কিডনির পানি লাগে৷ কাজেই দিনে দেড় থেকে দু’লিটার পানি খাওয়া উচিত৷ ক্রীড়াবিদদের আরো বেশি পানি লাগবে৷ ডায়ালিসিস-এর পেশেন্টদের অনেক কমেই কাজ চলে যায়৷
ছবি: Colourbox
ধূমপান ছাড়ুন!
ব্লাড ভেসেল-এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ধূমপান৷ এছাড়া সাধারণভাবেই ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর৷
ছবি: Colourbox
পেইনকিলার বেশিদিন নেবেন না!
বহুদিন ধরে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে কিডনির ক্ষতি হয়৷ আগে থেকেই কিডনির ক্ষতি হয়ে থাকলে, বাজারে কেনা যায়, এমন পেইনকিলার নেওয়াটাও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সর্বক্ষেত্রেই ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে দেখা ভালো৷
ছবি: Colourbox/J. Pavlinec
প্রতি বছর কিডনি চেক করান!
বিশেষ করে যাঁরা বেশি ঝুঁকিতে আছেন: যাঁদের বয়স ষাটের বেশি; যাঁদের ডায়াবেটিস কিংবা হাই ব্লাড প্রেসার আছে; যাঁদের মেদ বেশি অথবা যাঁদের পরিবারের কারুর কিডনি ফেইলিওর হয়েছে৷
ছবি: Colourbox
8 ছবি1 | 8
এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচ হাজার রোগী কিডনি সংযোজিত অবস্থায় আছে বলে জানান অধ্যাপক রফিকুল৷
যেসব কারণে বাড়ছে কিডনি রোগ
বাংলাদেশে কিডনি রোগী বাড়ার পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা৷ তার মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, খাদ্যে ভেজাল ও ব্যাথানাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার ও নেফ্রাইটিসজনিত কিডনি রোগও রয়েছে৷
অধ্যাপক রফিকুল আলম বলেন, ‘‘ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ অসংক্রামক রোগ হলেও এগুলো দিনদিন সারাবিশ্বেই বাড়ছে৷ সে হিসাবে বাংলাদেশেও বাড়ছে৷ সেই প্রেক্ষাপটে কিডনি রোগীও বাড়ছে৷''
এছাড়া খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, ব্যাথানাশক এবং অন্যান্য ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণেও কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
আশা দেখাচ্ছে সরকার
চিকিৎসক ও চিকিৎসা সুবিধার অভাবে মানুষ ভুগতে থাকলেও বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে কিডনি চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো সুবিধাজনক করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আজাদ৷ এর মধ্যে কিডনি রোগীদের স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা, কিডনি প্রতিস্থাপনের আইন সহজ করাসহ বিভিন্ন উদ্যোগের উদাহরণ টানেন তিনি৷
‘‘সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার কাজ শুরু করেছে, এই প্রকল্পের প্রথম ধাপে টাঙ্গাইলের একটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য বীমার কার্ড দরিদ্রদের মাঝে দেয়া হয়েছে৷ তাঁরা প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা পাবে,'' বলেন অধ্যাপক আজাদ৷
‘‘বিভিন্ন হাসপাতালে পাবলিক-প্রাইভেট চুক্তিতে কিডনির সেবা দেয়ারও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে৷ যাতে নিম্নবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্তরা এসব জটিল রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আরো গরিব না হয়ে যায়৷''
কিডনি দানের আইন সহজ করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘‘আত্মীয়দের মধ্যে কেউ যদি কিডনি দান করে, তবে প্রতিস্থাপন সহজ হয়৷ হাসপাতালে কেউ মারা গেলে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যদি সনদ দেয় যে, তাঁর ব্রেন ডেথ হয়েছে, তবে মৃত্যুর দুই ঘন্টার মধ্যে আত্মীয়দের অনুমতি নিয়ে তাঁর কিডনি সংগ্রহ করে সেটা আরেকজনকে প্রতিস্থাপন করা যাবে৷''
এছাড়া প্রত্যেক জেলায় কমপক্ষে ৫০ বেডের ডায়ালাইসিসের চিকিৎসাকেন্দ্র এবং সব সরকারি মেডিকেল কলেজে কিডনি বিভাগ চালুর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম৷
শরীর ও মনকে ফিট রাখার ৯ উপায়
শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ একজন মানুষকেই ফিট বলা যায়৷ সেজন্য স্বাস্থ্যকর খাবার, ব্যায়াম ও মনের খোরাকের দিকেই নজর দিতে হয়৷ নিজেকে ফিট রাখতে যা করবেন জেনে নিন৷
ছবি: Getty Images
মস্তিষ্ক থেকেই শুরু
মানুষের মস্তিষ্কই যদি সুস্থ না থাকে, তাহলে আর সুস্থ থাকার মূল্য কোথায়? সেজন্য নিয়মিত আখরোট খান৷ এতে অনেক বেশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্ককে রোগ থেকে রক্ষা করে৷ আর টমেটো, গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকে রক্ষা করে স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে৷ সামুদ্রিক মাছ আলজইমার রোগের হাত থেকে মস্তিষ্ককে দূরে রাখে৷
ছবি: Fotolia/Printemps
হৃৎপিণ্ড বা হার্ট
যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষেজ্ঞ ডা. বেথ অলিভার বলেন, ‘‘প্রতিদিন, প্রতিবেলায় বিভিন্ন রংয়ের ফল ও সবজি এবং যথেষ্ট পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার, পানি, আপেল ও আখরোট, সূর্যমুখী ফুলের বিচি, ডাল এবং ডিমের হলুদ অংশ খান৷ এসবই হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী৷’’
ছবি: Colourbox
কিডনি ঠিক রাখতে
খেলাধুলা, হাঁটাচলা, ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ডায়াবেটিস রোধ করে৷ কারণ ডায়াবেটিস থেকেই কিডনির নানা সমস্যা দেখা দেয়৷ ফলমূল, শাকসবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন৷ লবণ যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত, কারণ অতিরিক্ত লবণ কিডনির ক্ষতি করে৷ কিডনি পরিষ্কার রাখতে দিনে দেড় থেকে দু’লিটার পানি পান করা প্রয়োজন৷
ছবি: Colourbox
হাড়ের যত্ন
হাড় শক্ত রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা বা বিশেষ ধরনের ব্যায়াম বড় ভূমিকা পালন করতে পারে৷ হাড় নরম বা ভেঙে যাওয়ার জন্য শুধু বয়স বাড়াই একমাত্র কারণ নয়৷ থাইরয়েড, পেটের ক্রনিক সমস্যা বা পাকস্থলির অসুখের কারণেও হাড় নরম বা ক্ষয় হতে পারে৷ আর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার না খাওয়া ও অতিরিক্ত ধূমপান ও নানা ধরনের ওষুধপত্র সেবন হাড়কে নরম করতে পারে৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
পেট বা অন্ত্র ঠিক রাখুন
মানুষের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ অন্ত্র বা পেট যা লম্বায় প্রায় ৮ মিটার৷ শরীরের গ্রহণ করা খাবারগুলো সহজপাচ্য বস্তুতে পরিণত করে অন্ত্র৷ সেখানে সমস্যা দেখা দিলে সবই ওলট-পালট মনে হয়৷ সেকথা মনে হয় কমবেশি সকলেই জানি৷ তাই শরীরকে ফিট রাখতে হলে অবশ্যই পেট ঠিক রাখতে হবে৷ তাই হাঁটাচলা, শষ্যদানা, বিচি, সাদা দই, শাকসবজি, ফলমূল ও সুষম খাবার গ্রহণ খুবই দরকার৷
ছবি: DW
অতিরিক্ত রোদ নয়!
তারুণ্য ধরে রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জুড়ি নেই৷ ফাস্ট ফুড, স্ট্রেস, অতিরিক্ত টেনশন, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি ত্বক নষ্ট করে৷ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে৷ তাই রোদ থেকে দূরে থাকা উচিত৷ শরীর ও মন ভালো এবং ফিট রাখার জন্য শরীরের ভেতরের মতো শরীরের ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকা প্রয়োজন৷ ল্যুবেক বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. বিরগিট কালে বলেন এসব কথা৷
ছবি: picture alliance/Friedel Gierth
হেঁটে পায়ের যত্ন
আমাদের শরীরের সমস্ত ভার বহন করে আমাদের পা দুটো৷ তাই পায়ের স্বাস্থ্য খুব জরুরি৷ পায়ের মাংসপেশি শক্ত করতে ও ফিট থাকতে হাঁটাহাঁটির কোনো বিকল্প নেই৷ হাঁটা যে-কোনো মানুষকে ফিট রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
ব্যায়াম
শরীরচর্চা বা ব্যায়াম ছাড়া শারীরিকভাবে সুন্দর হওয়া সম্ভব নয়৷ তাছাড়াও শারীরিক এবং মানসিকভাবে ফিট থাকার জন্য বছরে অন্তত একবার ‘মেডিকেল চেকআপ’ করিয়ে নেওয়াও অত্যন্ত দরকারি৷
নারীপুরুষ
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পুরুষের সুস্থ সুখী জীবনের জন্য খাওয়া-দাওয়া আর ব্যায়ামের মতো প্রয়োজন সুস্থ যৌনজীবন৷ যৌনজীবনকে সুখকর করতে বিভিন্ন বীজ, তরমুজ, বেদানা, ডুমুর, ডিম ইত্যাদি খাবার বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে বিভিন্ন সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানা গেছে৷ তাছাড়া অ্যামেরিকার টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির মতে, তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে৷