1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তর কোরিয়া

১৫ এপ্রিল ২০১২

উত্তর কোরিয়ার নতুন শীর্ষ নেতা এই প্রথমবার সরাসরি টেলিভিশনে ভাষণ দিলেন৷ কিম জং উনের সেই ভাষণে প্রাধান্য পেল সেনাবাহিনীর গরিমাই বিশেষ করে৷ দেশের প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং-এর শততম জন্মদিনের উৎসবে হাজির ছিল বিশাল সেনাবাহিনীও৷

North Korean leader Kim Jong-un (2nd L) applauds next to President of the Presidium of the Supreme People's Assembly of North Korea Kim Yong-nam (3rd L) during a mass parade to celebrate founder Kim Il-sung's 100th birthday in Pyongyang in this still image taken from video April 15, 2012. Kim Jong-un led celebrations on Sunday to mark the centenary of the birth of his grandfather, the founder of the world's only Stalinist monarchy, "Eternal President" Kim Il-sung. REUTERS/KRT via Reuters TV (NORTH KOREA - Tags: MILITARY POLITICS ANNIVERSARY TPX IMAGES OF THE DAY) FOR EDITORIAL USE ONLY. NOT FOR SALE FOR MARKETING OR ADVERTISING CAMPAIGNS. THIS IMAGE HAS BEEN SUPPLIED BY A THIRD PARTY. IT IS DISTRIBUTED, EXACTLY AS RECEIVED BY REUTERS, AS A SERVICE TO CLIENTS. NORTH KOREA OUT. NO COMMERCIAL OR EDITORIAL SALES INNORTH KOREA
Kim Jong-un Nordkorea Paradeছবি: Reuters

কিম ইল সুং ছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সেইসঙ্গে প্রথম প্রেসিডেন্ট৷ সেই পরিবারের পারিবারিক ঐতিহ্য সমানে বহমান৷ বর্তমানে তাঁর দৌহিত্র কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার পদে আসীন৷ সম্প্রতি গত ডিসেম্বরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর পিতা তথা দেশের প্রাক্তন নেতা কিম জং ইল-এর৷

রাজধানী পিয়ংইয়ং-এর সেন্ট্রাল স্কোয়্যারে রবিবার কিম জং উন-এর ভাষণে প্রপিতামহ কিম ইল সুং আর পিতা কিম জং ইলের প্রশংসা তাই অনেকখানি জায়গা দখল করে রেখেছে৷ হাজির ছিল কম্যুনিস্ট এবং রহস্যময় এই দেশটির বিশাল সেনাবাহিনীর একাংশ৷ মাত্র কয়েকদিন আগেই রকেট উৎক্ষেপণের পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে উত্তর কোরিয়ার৷ যে রকেট উৎক্ষেপণ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা করেছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ বারেবারে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া আসলে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র বানিয়েছে, এ আসলে তারই পরীক্ষা৷ আরও বলা হয়েছে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে চায় উত্তর কোরিয়া৷

পিয়ংইয়ং এর বিশাল প্যারেডছবি: Reuters

পরীক্ষা হোক বা না হোক, পশ্চিমা বিশ্বকে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে রেখেই নিজের প্রথম টিভি ভাষণ দিলেন রবিবার নতুন নেতা কিম জং উন৷ তাঁর পিতা বা পিতামহের মত ক্যারিশমা অর্জন করতে কিছুটা সময় তাঁর লাগবে তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু নিজের বিচক্ষণতা বোঝাতে কসুর ছিল না কিম জং উন- এর৷ তাঁর ভাষণে তাই প্রাধান্য পেয়েছে দেশের সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা আর যৌক্তিকতা৷ পাশাপাশি এই উৎসব উপলক্ষ্যে সেনাবাহিনীর যে বিশাল প্যারেড দেখা গেছে রাজধানীতে, নিজেদের শক্তির পরিমাপটা বোঝাতে তাও অনেকখানি বলে ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল৷

প্রায় বিশ মিনিট ধরে ভাষণ দিয়েছেন কিম জং উন৷ ভাষণের প্রায় পুরো সময়টা ধরে উপস্থিত হাজার হাজার জনতা হাততালি দিয়ে তাঁকে উৎসাহিত করেছে৷ দেশের মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম ভাষণেই তাঁর বক্তব্য, শান্তির প্রয়োজন আছে ঠিকই কিন্তু তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন দেশের গরিমা বজায় রাখা৷ আর সে কাজে সকলকে মনোযোগ দিতে হবে বলে কিম জং উনের নির্দেশ৷

জাতীয়তাবাদী এই ধরণের ভাষণ উত্তর কোরিয়ার নেতাদের কাছে নতুন কিছু প্রত্যাশা নয় সেদেশের মানুষের জন্য৷ তবে, নতুন তরুণ নেতা এক পা এগিয়ে যেকথা বলেছেন, তাহল, সেই সময় এসে গেছে, যখন পারমাণবিক শক্তিধর অন্যান্য দেশের তাঁর দেশের প্রতি হুমকি আর ব্ল্যাকমেইল করার সময় চিরতরে শেষ৷ আর বলা বাহুল্য, কিম জং উনের এই মন্তব্যের মধ্যে অন্য ধারার ইঙ্গিত খুঁজবে এখন পশ্চিমা বিশ্ব৷ সুতরাং কিম জং উনের ভাষণের ব্যবচ্ছেদ এবং মূল্যায়ণ শুরু হল বলে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় (রয়টার্স, ডিপিএ)

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ