কিরঘিজস্তানে জনতার দখলে পার্লামেন্ট
৬ অক্টোবর ২০২০ভোটে কারচুপির অভিযোগে পথে নেমেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা সোজা চলে গেলেন পার্লামন্টের সামনে। পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। কিন্তু কয়েক হাজার জনতার প্রতিবাদের সামনে পুলিশের অবরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রতিবাদকারীরা ঢুকে পড়েন পার্লামেন্ট ভবনে। প্রেসিডেন্টের অফিসও জনতার দখলে।
রেডিও ফ্রি ইউরোপ বেশ কয়েকটি ছবি টুইট করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাজধানী বিশকেক-এ প্রেসিডেন্টের অফিসে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা সেখানে প্রেসিডেন্টের অফিসে বসে ছবিও তুলেছেন।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির বাড়িতে একটি কারাগার থেকে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অ্যালমাজবেক অ্যাটামবেয়িভকেও মুক্ত করে দিয়েছেন। সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কোনো রক্তপাত বা সংঘর্ষ ছাড়াই তাঁরা প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে মুক্ত করেছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরাগভাজন হওয়ায় তাঁকে বন্দি করা হয়েছিল।
কিরঘিজস্তানে গত রোববার পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ হয়। ১২০ জন বিক্ষোভকারীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। বিশকেক-এর সেন্ট্রাল স্কোয়ারে প্রথমে চার হাজারের মতো বিক্ষোভকারী জমা হয়েছিলেন। পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। প্রাথমিকভাবে সরে গেলেও পরে বিক্ষুব্ধ জনতার সামনে পুলিশ আর দাঁড়াতে পারেনি।
বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছেন, ভোটের দিন ভোটদাতাদের ভয় দেখানো হয়েছে, তাঁদের ঘুষ দেয়া হয়েছে। এরপর দেখা গেছে, রুশপন্থী দুই দল ২৬ ও ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বাকি বিরোধীরা একজোট হয়ে একটি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল গঠন করেছে। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে আবার ভোট করাতে হবে।
জিএইচ/এসজি(এপি,এএফপি, রয়টার্স)