ইউক্রেনের দুই শহরে রুশ বাহিনী
৩ মার্চ ২০২২সামরিক গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, শুরুতে কিয়েভের দিকে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল রুশ বাহিনী৷ তবে ইউক্রেনের বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে অগ্রগতি অনেক মন্থর হয়েছে৷ এখন কিয়েভ থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) দূরে রয়েছে রুশ বাহিনী৷
অন্যান্য শহরেও কঠিন প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে রুশ বাহিনী৷ এ কারণে খারকিভ, চেরনিহিভ এবং মারিউপোলসহ বেশ কিছু শহরের দখল এখনো ধরে রেখেছে ইউক্রেনের বাহিনী৷
তবে দুটি শহরে দেখা গেছে রুশ সেনাদের৷ কিয়েভের ৫৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের বোরোদিয়াঙ্কা শহরে ঢুকে পড়েছে তারা৷ রয়টার্স টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, শেলের আঘাতে শহরটির বেশ কিছু বিধ্বস্ত, কিছু ভবনে আগুনও জ্বলছে৷ এছাড়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অনেক গাড়িও রুশ বাহিনীর হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে বোরোদিয়াঙ্কার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধিবাসী রয়টার্সকে বলেন, ‘‘ওরা (রুশ বাহিনী) সামরিক গাড়ি থেকে বোরোদিয়াঙ্কার কেন্দ্রে, পোস্ট অফিসের কাছের পার্কের দিকে গুলি ছুঁড়ছিল৷ তারপর তারা ট্যাঙ্কগুলো থেকে সুপারমার্কেটের দিকে গোলা ছুঁড়তে শুরু করে৷''
এছাড়া দ্নিপ্রো নদীর তীরবর্তী খারসন শহরের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নিয়েছে রুশ বাহিনী৷ কৌশলগত দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ এ শহরের মেয়র ইগর কোলিখায়েভও রুশ বাহিনীর ঢুকে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন৷ এক বিবৃতিতে জানান, ‘‘শহরের রাস্তায় এখন রুশ বাহিনী টহল দিচ্ছে৷ নগর পরিষদের ভবনে ঢুকে পড়েছে তারা৷ আমি ওদের অনুরোধ করেছি ওরা যেন সাধারণ মানুষের ওপর গুলি না চালায়৷''
বিভিন্ন শহর থেকে রুশ বাহিনীর হামলায় হতাহতের খবর আসছে৷ ইউক্রেনের সংসদের পক্ষ থেকে রয়টার্সকে জানানো হয়, খারকিভের দক্ষিণ-পশ্চিমের ইজিউম শহরে রুশ বাহিনীর শেলের আঘাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে দুজন শিশুও রয়েছে৷ জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৫২৫ জন আহত হয়েছে৷
এসিবি/ কেএম (রয়টার্স)