1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনের দুই শহরে রুশ বাহিনী

৩ মার্চ ২০২২

ইউক্রেনে এক সপ্তাহের হামলায় রাজধানী কিয়েভে প্রবল প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে রুশ বাহিনী৷ তাই কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নিতে এখনো ব্যর্থ তারা৷ তবে অন্য দুটি শহরে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনারা৷

Ukraine Krise Ein Militärpanzer wird auf einer Straße von Cherson gesehen
ছবি: REUTERS

সামরিক গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, শুরুতে কিয়েভের দিকে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল রুশ বাহিনী৷ তবে ইউক্রেনের বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে অগ্রগতি অনেক মন্থর হয়েছে৷ এখন কিয়েভ থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) দূরে রয়েছে রুশ বাহিনী৷

অন্যান্য শহরেও কঠিন প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে রুশ বাহিনী৷ এ কারণে খারকিভ, চেরনিহিভ এবং মারিউপোলসহ বেশ কিছু শহরের দখল এখনো ধরে রেখেছে ইউক্রেনের বাহিনী৷

তবে দুটি শহরে দেখা গেছে রুশ সেনাদের৷ কিয়েভের ৫৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের বোরোদিয়াঙ্কা শহরে ঢুকে পড়েছে তারা৷ রয়টার্স টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, শেলের আঘাতে শহরটির বেশ কিছু বিধ্বস্ত, কিছু ভবনে আগুনও জ্বলছে৷ এছাড়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অনেক গাড়িও রুশ বাহিনীর হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷

পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে বোরোদিয়াঙ্কার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধিবাসী রয়টার্সকে বলেন, ‘‘ওরা (রুশ বাহিনী) সামরিক গাড়ি থেকে বোরোদিয়াঙ্কার কেন্দ্রে, পোস্ট অফিসের কাছের পার্কের দিকে গুলি ছুঁড়ছিল৷ তারপর তারা ট্যাঙ্কগুলো থেকে সুপারমার্কেটের দিকে গোলা ছুঁড়তে শুরু করে৷''

এছাড়া দ্নিপ্রো নদীর তীরবর্তী খারসন শহরের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নিয়েছে রুশ বাহিনী৷ কৌশলগত দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ এ শহরের মেয়র ইগর কোলিখায়েভও রুশ বাহিনীর ঢুকে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন৷ এক বিবৃতিতে জানান, ‘‘শহরের রাস্তায় এখন রুশ বাহিনী টহল দিচ্ছে৷ নগর পরিষদের ভবনে ঢুকে পড়েছে তারা৷ আমি ওদের অনুরোধ করেছি ওরা যেন সাধারণ মানুষের ওপর গুলি না চালায়৷''

বিভিন্ন শহর থেকে রুশ বাহিনীর হামলায় হতাহতের খবর আসছে৷ ইউক্রেনের সংসদের পক্ষ থেকে রয়টার্সকে জানানো হয়, খারকিভের দক্ষিণ-পশ্চিমের ইজিউম শহরে রুশ বাহিনীর শেলের আঘাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে দুজন শিশুও রয়েছে৷ জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৫২৫ জন আহত হয়েছে৷

এসিবি/ কেএম (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ