ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন তুরস্কের আলোচনায় জট খুলছে। কিন্তু রাশিয়ার সেনাকে বিশ্বাস করছে না ইউক্রেনের সেনা।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সারজাই কিসলিতসা জানিয়েছেন, রাশিয়া কিয়েভ থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে। বস্তুত, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান বন্ধ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ইউক্রেন অভিযানে রাশিয়ার যা ক্ষতি হয়েছে, তা সোভিয়েতের আফগানিস্তানে ক্ষতির সমতূল্য।
ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষের জন্য ইইউ-র নীতি
রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলিতে চলে এসেছেন প্রায় ৬০ লাখ মানুষ। শেষপর্যন্ত কোথায় আশ্রয় পাবেন তারা?
ছবি: Fabrizio Bensch/REUTERS
প্রথমে প্রতিদিন এক লাখ করে
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রথমদিকে দিনে এক লাখ করে মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। প্রাণ বাঁচাতে তারা চলে গেছেন প্রতিবেশী দেশগুলিতে। উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পোল্যান্ডের একটি স্টেশনে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের সাময়িকভাবে রাখা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার ফর হোম অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, এখন দিনে ৪০ হাজার মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে ইউরোপের দেশগুলিতে আসছে।
ছবি: Fanny Facsar/DW
অর্ধেক বাচ্চা
যারা ইউক্রেন ছেড়ে ইউরোপের দেশগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছেন, তাদের অর্ধেকই বাচ্চা। আসলে বহু পুরুষ ও নারী হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। তারা বয়স্ক ও বাচ্চাদের পাঠিয়ে দিয়েছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। উপরের ছবিটি স্লোভানিয়ায় ইউক্রেন থেকে আসা বাচ্চাদের।
ছবি: Robert Nemeti/AA/picture alliance
সবচেয়ে বেশি মানুষ পোল্যান্ডে
পোল্যান্ডেই ২২ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পোল্যান্ড জানিয়েছে, এত কম সময়ের মধ্যে এত মানুষ আশ্রয় নেয়ায় তাদের অভিবাসন নীতি ভেঙে পড়ার মুখে।
ছবি: Sergei Grits/AP/picture alliance
জার্মানিতে তিন লাখ
জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস জানিয়েছেন, ইউক্রেন থেকে তিন লাখ মানুষ জার্মানিতে এসেছেন। উপরের ছবিতে বার্লিনের সেন্ট্রাল স্টেশনের সামনে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষরা।
ছবি: Michael Kuenne/PRESSCOV/Zuma/picture alliance
জার্মানির প্রস্তাব
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্রেজার চিঠি লিখে পোল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন ছেড়ে আসা প্রত্যেকের জন্য ইইউ-র সদস্য দেশগুলি এক হাজার ইউরো করে দিক। ছবিতে পোল্যান্ডের একটি স্টেডিয়ামে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের প্রবেশের জন্য লম্বা লাইন।
ছবি: Beata Zawrzel/NurPhoto/picture alliance
ইইউ-র সিদ্ধান্ত
ইইউ-র মন্ত্রীরা সোমবার বৈঠকে বসে ১০ দফা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। তাদের যাতায়াত ও পরিবহণের জন্য একটি হাব তৈরি করা হবে। ইইউ কমিশন সেফ হোম নীতি নেবে। তার ফলে যেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন, সেখান থেকে অন্য দেশে কিছু মানুষকে নিয়ে যাওয়া হবে।
ছবি: Hannibal Hanschke/Getty Images
সহযোগিতার সিদ্ধান্ত
ইইউ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিভিন্ন দেশে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সাহায্য করা হবে। এই মানুষদের পাশে দাঁড়াবে সব দেশ। প্রতিটি দেশকে সাধ্যমতো শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বলা হয়েছে। উপরের ছবিতে ওয়ারশর একটি স্টেডিয়ামে ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। অ্যামেরিকাও ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়াবে বলে জানিয়েছে।
ছবি: Evan Vucci/AP/picture alliance
কোটায় আপত্তি
কোটা ব্যবস্থায় আপত্তি আছে জার্মানির। তারা চায়, ইউক্রেন থেকে আসা মানুদের বিভিন্ন দেশে ভাগ করে রাখা হোক। সব দেশ যেন ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের প্রতি সমর্থন জানায়।
ছবি: Hannibal Hanschke/Getty Images
9 ছবি1 | 9
রাষ্ট্রদূতের দাবি
রাষ্ট্রদূত সারজাই জানিয়েছেন, ইউক্রেনের লড়াইয়ে রাশিয়ার ১৭ হাজার সেনা নিহত হয়েছে। যার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরের অফিসারের সংখ্যা অনেক। এছাড়াও এক হাজার সাতশ আর্মার্ড ভেহিক্যাল বা সাঁজোয়া গাড়ি, ছয়শ ট্যাঙ্ক, তিনশ আর্টিলারি সিস্টেম, ১২৭টি বিমান, ১২৯টি হেলিকপ্টার, প্রায় একশটি রকেট লঞ্চার সিস্টেম, ৫৪টি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সাতটি যুদ্ধ জাহাজ নষ্ট হয়েছে বলে দাবি সারজাইয়ের। রাশিয়ার এই ক্ষতিকে আফগানিস্তানে সোভিয়েতের ক্ষতির সঙ্গে তুলনা করেছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত। সরাসরি জয়ের কথা না বললেও, তার দাবি এই বিপুল ক্ষতির কারণেই ইউক্রেন থেকে ধীরে ধীরে সৈন্য প্রত্যাহার করছে রাশিয়া।
জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্যের এখনো পর্যন্ত কোনো উত্তর দেয়নি রাশিয়া। ক্ষতির পরিমাণ নিয়েও তারা কোনো তথ্য দেয়নি। বস্তুত, এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও একাধিকবার দাবি করেছেন, লড়াইয়ে ১৫ হাজার রাশিয়ার সেনার মৃত্যু হয়েছে। রাশিয়া তখন জানিয়েছিল সব মিলিয়ে তাদের ৪৯৭ জন সেনা নিহত হয়েছেন।
রাশিয়ার উপর কে, কত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে
ইউক্রেনে হামলার পর থেকে রাশিয়ার উপর দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে পশ্চিমা দেশগুলো৷ সঙ্গে যোগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান৷ পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে রাশিয়াও৷ ছবিঘরে জানুন বিস্তারিত৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Smialowski
শীর্ষে যুক্তরাজ্য
রাশিয়ার উপর কারা কত নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে তার হালনাগাদ পরিসংখ্যান রাখছে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকি ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট কাস্টেলাম ডট এআই৷ তাদের হিসাবে ইউক্রেনে হামলার পর থেকে ক্রেমলিনের উপর সবচেয়ে বেশি ৮৭৮টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য৷ এই তালিকায় রুশ ব্যাংক, ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে আব্রাহোমোভিচের (ছবি) মতো ধনকুবের কিংবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লেভরভের সৎ কন্যাও রয়েছেন৷
ছবি: Mike Egerton/empics/picture alliance
সম্পদ জব্দ করছে সুইজারল্যান্ড
নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ার ৬১৭ কোটি ডলারের সম্পদ এরই মধ্যে জব্দ করেছে সুইজারল্যান্ড, যা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার৷ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার উপর সুইজারল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞার সংখ্যা ৭৭৪টি৷
ছবি: Jean-Christophe Bott/EPA-EFE
আরো বাড়াতে চায় ইইউ
ইউক্রেনে হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো একযোগে রাশিয়ার বিভিন্ন খাত, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ কয়েক দফায় সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৭০৫-এ, যা আরো বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে৷ এছাড়া ফ্রান্সের অর্থ বিভাগ নিজেরাও আলাদাভাবে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার তালিকা করেছে, যার সংখ্যা ৬৯৬৷
ছবি: IAN LANGSDON/AFP/Getty Images
টার্গেটে মিডিয়া ব্যাক্তিত্বরাও
ক্যানাডার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরাও৷ চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়ার গণমাধ্যম নির্বাহীসহ দশ জনের একটি তালিকা ঘোষণা করে দেশটি৷ তাদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ান টেলিভিশন নিউজ নেটওয়ার্ক আরটির প্রধান সম্পাদক মার্গারিটা সিমোনিয়ানও৷ সব মিলিয়ে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫২৬ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ক্যানাডা৷
ছবি: Muhammed Ibrahim Ali/IMAGESLIVE via ZUMA Press Wire/picture alliance
বিনিয়োগকারীরাও ছাড় পাচ্ছে না
অস্ট্রেলিয়ায় সম্পদ আছে রাশিয়ার এমন ধনকুবেরদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে দেশটি৷ গত সপ্তাহে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন কুইন্সল্যান্ডে অ্যালুমিনা পরিশোধনাগারের বিনিয়োগকারী ওলেগ দেরিপাস্কা (ছবি)৷ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার উপর ৪৭৯টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি৷
ছবি: picture.alliance/dpa/Tass/V. Smirnov
অন্যদের চেয়ে কম যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে মিত্র দেশগুলোর তুলনায় এখনও তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকাটি ছোট৷ কাস্টেলাম এর হিসাবে হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ক্রেমলিনের উপর ২৯৩ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন৷ তবে ২৪ মার্চ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার পার্লামেন্ট ডুমা ও এর ৩২৮ সদস্য এবং ৪৮টি প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Brendan Smialowski/AFP
তৎপর জাপানও
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে শুরু থেকেই সরব জাপান৷ রাশিয়ার রাজনীতিবিদ, তাদের স্বজনদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে দেশটি৷ তার মধ্যে আছেন ডুমার ১১ সদস্য, ব্যাংকার, শিল্পপতিও৷ ২২ ফেব্রুয়ারির পর এখন পর্যন্ত মোট ৮৮টি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে তারা৷
ছবি: The Yomiuri Shimbun/AP Images/picture alliance
নিষেধাজ্ঞায় শীর্ষে রাশিয়া
রাশিয়া এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়া দেশ৷ মোট সাত হাজার ৩৮৬টি নিষেধাজ্ঞার বোঝা বিশ্বের অন্যতম এই পরাশক্তির কাঁধে৷ এর মধ্যে চার হাজার ৩৬২টি দেয়া হয়েছে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরে৷ এর আগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দেশের তালিকায় শীর্ষে ছিল ইরান (৩৬১৬৷ এরপর রয়েছে সিরিয়া (২৬০৮), উত্তর কোরিয়া (২০৭৭), ভেনেজুয়েলা (৬৫১), মিয়ানমার (৫১০) ও কিউবা (২০৮)৷
ছবি: Mikhail Klimentyev/AP/picture alliance
নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য
২২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত চার হাজার ৩৬২টি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বেশিরভাগই দেয়া হয়েছে ব্যক্তির উপরে৷ তিন হাজার ৯১৫টি নিষেধাজ্ঞাই এ সংক্রান্ত৷ আর বাকি ৪৩৭টি দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের উপরে৷
ছবি: Anton Novoderezhkin/Tass/imago images
রাশিয়ার পাল্টা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ক্রেমলিন৷ অন্যদিকে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোসহ ৩১৩ জনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ এছাড়াও মার্চের শুরুতে রাশিয়া ‘অবন্ধুসুলভ’ ৪৮ দেশের তালিকা প্রকাশ করে৷ বুধবার পুটিন ঘোষণা দিয়েছেন দেশগুলোকে রাশিয়ার গ্যাসের মূল্য শোধ করতে হবে রুবলে৷
ছবি: Bai Xueqi/ Xinhua News Agency/picture alliance
10 ছবি1 | 10
আলোচনায় আশার আলো
তুরস্কে মস্কো এবং কিয়েভের বৈঠক শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। এই প্রথম আলোচনায় খানিকটা হলেও আশার আলো দেখা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, কিয়েভ এবং উত্তর ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর চেরনিহিভ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ দ্রুত শুরু হবে। অর্থাৎ, রাজধানী কিয়েভ এবং উত্তর ইউক্রেনকে আর লড়াইয়ের ময়দান হিসেবে দেখছে না তারা। পূর্ব ইউক্রেন নিয়ে অবশ্য এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি। এই ঘোষণার পাশাপাশি জেলেনস্কি সতর্কবার্তাও দিয়েছেন। তার বক্তব্য, এখনই রাশিয়ার প্রতিনিধিদের এই দাবি পুরোপুরি বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। রাশিয়া যে আবার আক্রমণ চালাবে না, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ইউক্রেন সেনার দাবি
ইউক্রেন সেনার প্রধানও সাংবাদিকদের একই কথা বলেছেন। তার বক্তব্য, এখনই রাশিয়ার এই বক্তব্যকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। যেভাবে কিয়েভ অঞ্চল থেকে রাশিয়ার সেনা পিছোচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, তারা শিফট বদল করছে। একদল সেনাকে প্রত্যাহার করে নতুন সেনা সেখানে পাঠানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেনা প্রত্যাহারের নামে পরিশ্রান্ত সেনাদের পরিবর্তন করে রাশিয়া ফের আক্রান্ত শানাতে পারে তার আশঙ্কা। বস্তুত, সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে পরিশ্রান্ত সেনাদের ফিরে যাওয়ার সেফ প্যাসেজ তৈরি করা হলো বলে তার ধারণা।
ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে সিরীয়দের সংহতি
02:59
ফের বৈঠক
মঙ্গলবারের পর বুধবারও তুরস্কে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসবেন। এদিন আরো কিছু বিষয়ে আশার আলো দেখার সম্ভাবনা আছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তবে ইউক্রেন আগেই জানিয়ে দিয়েছে, এই বৈঠকে তাদের ন্যূনতম এজেন্ডা মানবাধিকার এবং সর্বোচ্চ এজেন্ডা যুদ্ধবিরতি। শান্তিচুক্তির বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি।
আক্রমণ অব্যাহত
তুরস্কে যখন দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে, তখনো ইউক্রেনের একাধিক শহরে লাগাতার হামলা চালিয়ে গেছে রাশিয়া। ইউক্রেনও পাল্টা জবাব দিয়েছে। মঙ্গলবার মাইকোলেইভে সরকারি ভবনে হামলা চালায় রাশিয়া। প্রাথমিকভাবে ইউক্রেন জানিয়েছিল, ওই ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে জানানো হয়, ১২ জন নিহত। ২২ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি। ভবনটি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে বলে জানানো হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনো কেউ আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।