1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোণঠাসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

অনেক টালবাহানার পর অবশেষে মঙ্গলবার বাৎসরিক ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন' ভাষণ দিতে চলেছেন ট্রাম্প৷ বিভাজনের বীজ পুঁতে ঐক্যের ডাক দিলে তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/K. Larmarque

মার্কিন সংসদ মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর গড়ার অর্থ মঞ্জুর না করায় প্রশাসনের একটা অংশকে এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ রেখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তবে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে চরম সংঘাতের পথে গিয়েও এখনো পর্যন্ত নিজের দাবি আদায় করতে পারেন তিনি৷ সংঘাতে সাময়িক বিরতির সময় মঙ্গলবার সংসদে বিলম্বিত ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন' ভাষণ দিতে চলেছেন তিনি৷ এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর নির্বাচনি টিমের অবৈধ যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প তাঁর লিখিত ভাষণে কী বলেন, তা জানার জন্য বাড়তি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে৷

মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর গড়ার প্রশ্নে এখনো অটল রয়েছেন ট্রাম্প৷ আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিরোধীদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো রফা না হলে তিনি জাতীয় স্তরে জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন৷ তা সত্ত্বেও ডেমোক্র্যাটরা এই প্রশ্নে কোনো আপোশের লক্ষণ দেখাচ্ছে না

হোয়াইট হাউস এই ভাষণের রূপরেখা সম্পর্কে কিছু পূর্বাভাষ দিয়েছে৷ প্রেস সেক্রেটারি সারা সান্ডার্স বলেন, প্রেসিডেন্ট দেশে আশাবাদ ও ঐক্যের উপর জোর দেবেন৷ সেই পূর্বাভাষ অনুযায়ী, শুধু সাফল্যগুলি তুলে ধরে মতপার্থক্যের বিষয়গুলিকে কম গুরুত্ব দিতে চলেছেন তিনি৷ সংঘাত ভুলে দেশের স্বার্থে ভালো কাজ করার আহ্বান জানাতে চান ট্রাম্প৷ বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংস্কার চালিয়ে যেতে নীতি প্রণয়নের উপর জোর দেবেন তিনি৷ ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীকে পুরোপুরি পরাস্ত করার এক পরিকল্পনাও পেশ করতে পারেন তিনি৷

তবে অতীতে তাঁর এমন লিখিত ভাষণের পরের আচরণ কখনোই সুখকর হয়নি৷ টুইটারে ট্রাম্প তাঁর ‘প্রকৃত' মনোভাব উগরে দিয়ে নিজেই তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন৷ এবারেও তার পুনরাবৃত্তি হয় কিনা, সেদিকে সবার নজর থাকবে৷ ট্রাম্প স্বয়ং বলেছেন, ‘‘আপনারা স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শুনবেন৷ তার ঠিক পরে কী ঘটে, সেটাও আপনারা দেখবেন৷''

প্রশাসনে ‘শাটডাউন' বা অচলাবস্থার কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাবমূর্তি আরো ধাক্কা খেয়েছে৷ জনমত সমীক্ষায় তাঁর প্রতি সমর্থন মাত্র ৩৪ শতাংশে নেমে এসেছে৷ রাশিয়া সংক্রান্ত তদন্তের কারণেও তিনি আরো কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন৷ ফলে তাঁর উপদেষ্টারা প্রেসিডেন্টের সুর নরম করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন৷

বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্টের ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ দলের অন্যতম নেতা স্টেসি অ্যাব্রামস দলের পক্ষ থেকে তাঁর বক্তব্য রাখবেন৷

এসবি/এসিবি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ