আর্জেন্টিনায় আর্সেনাল-সান লরেঞ্জোর মধ্যে ফুটবল ম্যাচ চলছে৷ খেলা বেশ উত্তেজনাকর অবস্হায়৷ কিন্তু মুহুর্তেই খেলার রং গেলো বদলে৷ হঠাৎই কোথা থেকে মাঠে আর্বিভাব এক কুকুরের৷ সে-ই পাল্টে দিল খেলার চেহারা৷
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি টিওয়াইসি স্পোর্টস টুইটারে এই ভিডিও প্রকাশ করে৷ ভিডিওতে দেখা যায়, ফুটবলারদের চেয়ে কোনো অংশে কম যায়নি সেই কুকুর৷ যেটুকু সময় মাঠে ছিল, দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছে সে৷ এক পর্যায়ে অবশ্য খেলোয়াড়রা এগিয়ে গিয়ে বল ধরলে সে তা ছেড়ে দেয়৷ তবে সীমানার বাইরে গিয়ে আবারো বলের দেখা পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকা খেলোয়াড়ের মতো৷
কুকুরের এই আগমনে স্বাভাবিকভাবেই খেলা থামাতে হয়৷ তবে এই বিরতিতে কেউ মনক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে হয়নি৷ বরং খেলোয়াড়দের হাসতে দেখা গেছে৷ খেলার মধ্যে অপ্রত্যাশিত এই বিরতি তারা বেশ উপভোগই করেছেন বলে মনে হয়েছে৷
১৮ তারিখ টুইটারে প্রকাশ করা টিওয়াইসি স্পোর্টসের এই ভিডিওটিতে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি ‘লাইক’ পড়েছে, আর রিটুইট হয়েছে নয় হাজার বারের বেশি৷
কুকুরের কাণ্ডকিন্তু এখানেই থামেনি৷ স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেল ম্যাচের পরে কুকুরটির সামনে প্রতিক্রিয়া জানার ছলে মাইক্রোফোন ধরলে আবারও এগিয়ে যায় সে এবং টেলিভিশনকে ‘বাইট’ দেয়৷
এএম/এসিবি
চীনে কুকুর, বিড়ালের জন্য আকুপাংচার
শরীরে সুচ ফুটিয়ে চিকিৎসা করার প্রাচীন চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি আকুপাংচার কুকুর আর বেড়ালের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: Reuters/A. Song
চিকিৎসা পদ্ধতি
আকুপাংচার পদ্ধতির চিকিৎসায় শরীরের নির্দিষ্ট কয়েকটি অংশে লম্বা সুচ প্রবেশ করানো হয়৷ এই পদ্ধতির প্রয়োগকারীরা বলছেন, এর ফলে রক্ত প্রবাহে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়ে ব্যথা ও অস্বস্তি কম বা দূর হয়৷
ছবি: Reuters/A. Song
পশু চিকিৎসায় আকুপাংচার
ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাটেরিনারি আকুপাংচার সোসাইটির ওয়েবসাইট বলছে, চীনে হাজার হাজার বছর ধরে পশুদের চিকিৎসায় আকুপাংচাররের ব্যবহার হয়ে আসছে৷
ছবি: Reuters/A. Song
আকুপাংচারে বিশ্বাস
চীনের সাংহাইয়ে একটি ক্লিনিকে বেড়ালকে আকুপাংচার দেবার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন ওয়াং শিজুয়ান৷ তিনি জানান, ‘‘আকুপাংচারের জন্য বিখ্যাত চীন৷ তাই বেড়ালের সমস্যা শুরু হওয়ার পরই আমি তাকে এখানে নিয়ে আসি৷ চারবার থেরাপির পর বিড়াল এখন হাঁটতে পারছে, লাফাতে পারছে, এমনকি অন্য বেড়ালের সঙ্গে মারামারিও করতে পারছে৷’’
ছবি: Reuters/A. Song
জনপ্রিয়তা বাড়ছে
আকুপাংচারের প্রতি আস্থা বাড়ায় চীনা নাগরিকরা তাঁদের পোষা কুকুর ও বেড়ালের ব্যাথা ও অস্বস্তি কমাতে এই পদ্ধতির সহায়তা নিচ্ছেন৷
ছবি: Reuters/A. Song
চার বছরে ২,০০০
সাংহাইয়ের টিসিএম নিউরোলজি অ্যান্ড আকুপাংচার অ্যানিমেল হেল্থ সেন্টারের বিশেষজ্ঞ জিন রিশান বলছেন, চার বছর আগে এই ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি কুকুর ও বিড়ালকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Song
খরচ
৪৫ মিনিটের একটি সেশনের জন্য দিতে হয় ৩৯ ডলার বা তিন হাজার দু’শ’ টাকা৷
ছবি: Reuters/A. Song
সফলতা
জিন রিশান জানান, তাদের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা কুকুর ও বিড়ালের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি কোনো-না-কোনো উপকার পেয়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Song
লক্ষ্য
তবে রিশান আরো জানান, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, পঙ্গু ও একা চলতে না পারা কুকুরকে দাঁড়াতে সমর্থ করা৷