কুড়ামকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অচলাবস্থা কাটেনি
৭ নভেম্বর ২০১১কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয় লোকজন গত ২২দিন ধরে অনশন-অবরোধ চালিয়ে আসছে৷ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা পরমাণু বিশেষজ্ঞ ড. আবদুল কালাম ঐ কেন্দ্র পরিদর্শন এবং কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করার পর রায় দিয়েছেন কুড়ানকুলাম পরমাণু কেন্দ্রে যে থ্রি-সিস্টেম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তা নিরাপদ৷ তবে তিনি কোন মধ্যস্থতা করতে চান না৷ যেখানে এক লিটার পেট্রোল পুড়লে উৎপন্ন হয় দুকেজি কার্বন-ডায়ক্সাইড সেখানে ভবিষ্যতের দূষণমুক্ত বিদ্যুতের উৎস পরমাণু শক্তি, সৌরশক্তি, বায়ু ও জলবিদ্যুৎ, বলেন ড. কালাম৷
কুড়ানকুলাম পরমাণু কেন্দ্রের সঙ্কট নিরসনে ড. কালাম তাঁর এক রিপোর্টে ১০-দফা এক সমাধানসূত্র দেন৷এই ১০-দফা উন্নয়ন কর্মসূচি ২০১৫ সালের মধ্যে কার্যকর করার কথা বলা হয়৷ এতে উপকৃত হবে কুড়ানকুলামের আশপাশের ৬০টি গ্রাম৷ কর্মসূচি রূপায়ণের খরচ প্রায় ২০০ কোটি টাকা৷
আন্দোলনারীরা ড. কালামের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে৷ কালামের রিপোর্টের সমালোচনা করে সিপিআই বলেছে, ড. কালাম যেহেতু নিজে পরমাণু বিজ্ঞানী, তাই পরমাণু কেন্দ্রকে তিনি সমর্থন করেছেন৷ আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র বলেছেন, বাজপেয়ীর আমলে পোখরান পরমাণু পরীক্ষার গুরু ছিলেন তিনি৷ তাঁর রায় পরমাণু বিদ্যুতের পক্ষেই যাবে৷
কুড়ানকুলাম কেন্দ্রের কর্মকর্তার মতে, ঐ এলাকা সুনামি বা ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় পড়েনা৷ তাই স্থানীয় লোকেদের ভয় অমূলক৷ সস্তা প্রচার বা অন্য কারণে এর বিরোধিতা করা হচ্ছে৷ জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রামনিয়াম স্বামী বলেছেন, রাজ্য সরকারের উচিত প্রতিবাদকারীদের অবিলম্বে ঐ জায়গা থেকে হটিয়ে দেওয়া৷ ঐ সমাবেশ বেআইনি৷
ড. কালামের ১০-দফা উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্যে আছে, কুড়ানকুলাম এলাকায় শিল্প স্থাপন যাতে স্থানীয় ১০ হাজার যুবক কাজ পায়৷ ঐ এলাকায় গ্রীন হাউস গড়ে তোলা, মৎসজীবীদের জন্য হিমঘর ও মৎস প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন, ৫০০ শয্যার হাসপাতাল, স্কুল কলেজ স্থাপন ইত্যাদি৷
রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত কুড়ানকুলাম পরমাণু কেন্দ্রে আছে এক হাজার মেগাওয়াটের দুটি পরমাণু চুল্লি৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক