1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুড়ামকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অচলাবস্থা কাটেনি

৭ নভেম্বর ২০১১

তামিলনাড়ু রাজ্যের কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরাপদ বলে রায় দিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি পরমাণু বিজ্ঞানি ড. এপিজে আবদুল কালাম৷ আন্দোলনকারীরা এই আশ্বাসবাণী প্রত্যাখ্যান করায় অচলাবস্থা কাটেনি৷

ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং পরমাণু বিশেষজ্ঞ ড. আবদুল কালামছবি: UNI

কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয় লোকজন গত ২২দিন ধরে অনশন-অবরোধ চালিয়ে আসছে৷ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা পরমাণু বিশেষজ্ঞ ড. আবদুল কালাম ঐ কেন্দ্র পরিদর্শন এবং কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করার পর রায় দিয়েছেন কুড়ানকুলাম পরমাণু কেন্দ্রে যে থ্রি-সিস্টেম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তা নিরাপদ৷ তবে তিনি কোন মধ্যস্থতা করতে চান না৷ যেখানে এক লিটার পেট্রোল পুড়লে উৎপন্ন হয় দুকেজি কার্বন-ডায়ক্সাইড সেখানে ভবিষ্যতের দূষণমুক্ত বিদ্যুতের উৎস পরমাণু শক্তি, সৌরশক্তি, বায়ু ও জলবিদ্যুৎ, বলেন ড. কালাম৷

কুড়ানকুলাম পরমাণু কেন্দ্রের সঙ্কট নিরসনে ড. কালাম তাঁর এক রিপোর্টে ১০-দফা এক সমাধানসূত্র দেন৷এই ১০-দফা উন্নয়ন কর্মসূচি ২০১৫ সালের মধ্যে কার্যকর করার কথা বলা হয়৷ এতে উপকৃত হবে কুড়ানকুলামের আশপাশের ৬০টি গ্রাম৷ কর্মসূচি রূপায়ণের খরচ প্রায় ২০০ কোটি টাকা৷

আন্দোলনারীরা ড. কালামের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে৷ কালামের রিপোর্টের সমালোচনা করে সিপিআই বলেছে, ড. কালাম যেহেতু নিজে পরমাণু বিজ্ঞানী, তাই পরমাণু কেন্দ্রকে তিনি সমর্থন করেছেন৷ আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র বলেছেন, বাজপেয়ীর আমলে পোখরান পরমাণু পরীক্ষার গুরু ছিলেন তিনি৷ তাঁর রায় পরমাণু বিদ্যুতের পক্ষেই যাবে৷

কুড়ানকুলাম কেন্দ্রের কর্মকর্তার মতে, ঐ এলাকা সুনামি বা ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় পড়েনা৷ তাই স্থানীয় লোকেদের ভয় অমূলক৷ সস্তা প্রচার বা অন্য কারণে এর বিরোধিতা করা হচ্ছে৷ জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রামনিয়াম স্বামী বলেছেন, রাজ্য সরকারের উচিত প্রতিবাদকারীদের অবিলম্বে ঐ জায়গা থেকে হটিয়ে দেওয়া৷ ঐ সমাবেশ বেআইনি৷

ড. কালামের ১০-দফা উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্যে আছে, কুড়ানকুলাম এলাকায় শিল্প স্থাপন যাতে স্থানীয় ১০ হাজার যুবক কাজ পায়৷ ঐ এলাকায় গ্রীন হাউস গড়ে তোলা, মৎসজীবীদের জন্য হিমঘর ও মৎস প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন, ৫০০ শয্যার হাসপাতাল, স্কুল কলেজ স্থাপন ইত্যাদি৷

রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত কুড়ানকুলাম পরমাণু কেন্দ্রে আছে এক হাজার মেগাওয়াটের দুটি পরমাণু চুল্লি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ