বিশ্বের বহু দেশে এখনো কুমারীত্ব পরীক্ষা একটি রীতি। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। লিখছেন ক্যারিন স্খায়ার।
বিজ্ঞাপন
মরক্কোর একটি মানবাধিকার সংস্থা এই বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছে। ভার্জিনিটি টেস্টের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ হিসেবে।
ধপধপে সাদা চাদর পাতা খাটে। তার উপর ছড়িয়ে আছে সূর্যের আলো। একটি খুব সুন্দর বাক্স খোলা হলো। তার ভিতর আরো একটি সাদা কাপড়। স্ক্রিনে লেখা ফুটে ওঠে-- 'ঐতিহ্যবাহী কুমারীত্ব পরীক্ষার সরঞ্জাম'। এরপর সেই কাপড়ের ভিতর থেকে বের হতে শুরু করে তুলো, রুমাল ইত্যাদি। সব শেষে স্ক্রিনে ফুটে ওঠে আরো একটি বাক্য-- 'রক্তের নমুনা পাওয়ার গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে'। কারণ, প্রথাগত ভাবে মনে করা হয়, প্রথম যৌন মিলনের সময় নারীর ভ্যাজাইনা থেকে রক্তপাত হবে। যদিও এই ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
মরক্কোয় নারীর অধিকার নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ করতে শুরু করেছে একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের নাম মরক্কোস অল্টারনেটিভ মুভমেন্ট ফর দ্য ডিফেন্স অফ দ্য ইনডিভিজুয়াল ফ্রিডম (মালি)। তারাই ওই প্রোমোশনাল ভিডিওটি বানিয়েছে। বেট্টি লাছগার ওই সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা। ডিডাব্লিউকে তিনি জানিয়েছেন, মরক্কো সহ পৃথিবীর বহু দেশে কুমারীত্ব পরীক্ষা এখনো রীতিমতো রীতি হিসেবে পালিত হয়। বিয়ের রাতে বেডশিটে রক্ত নারীদের অগ্নিপরীক্ষার মতো। মনে করা হয়, তার মানে নারীর কুমারীত্ব অক্ষুণ্ণ। ওই রীতির বিরুদ্ধেই তাঁরা প্রোমোশনাল ভিডিওটি বানিয়েছেন। লাছগারের বক্তব্য, ওই রীতি আসলে পুরুষতান্ত্রিকতার ধারক। দীর্ঘদিন ধরে সমাজ যা বয়ে বেড়াচ্ছে।
‘মি-টু’ ঝড়ে বেকায়দায় যারা
ভারতে ‘মি-টু’ আন্দোলনের জোয়ার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে৷ ইতিমধ্যে অভিযুক্তের তালিকায় উঠে এসেছে অন্তত ৩৭ জন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির নাম৷ তেমন কয়েকজনের কথাই থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: Facebook/S. Mukherji
যেখান থেকে শুরু: নানা পাটেকর
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাবেক মিস ইন্ডিয়া ও অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত তুলে আনেন ২০০৮ সালের ঘটনা, যার ভিত্তিতে বর্তমানে ভারতব্যাপী ঝড় তুলেছে ‘মি-টু’ আন্দোলন৷ তনুশ্রী জানান, সে বছর ‘হর্ণ ওকে প্লিজ’ ছবির সেটে অভিনেতা নানা পাটেকার তাঁকে যৌনহেনস্থা করেছিলেন৷ তবে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন পাটেকর৷ আপাতত দুজনেই আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP
অভিযোগের তির বিকাশের দিকে
প্রযোজনা সংস্থা ফ্যান্টম ফিল্মসের এক প্রাক্তন কর্মচারী গত বছর পরিচালক বিকাশ বেহেলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন৷ বেহেলের দুই সহযোগী পরিচালক, অনুরাগ কাশ্যপ ও বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে অভিযোগকারী মহিলাকে সমর্থন করে ফ্যান্টম ফিল্মস ভেঙে দেন৷ পরবর্তীতে অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতও বেহেলের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেন৷ বিকাশের মতে, পুরো বিষয়টি পেশাগত ঈর্ষার কারনে কাশ্যপ ও মোতওয়ানের সাজানো৷
ছবি: Imago/Hindustan Times
বলিউডের ‘বাবুজী’ আলোক নাথ
লেখক-প্রযোজক বিনতা নন্দ’র দাবি, ১৯ বছর আগে অভিনেতা আলোক নাথ তাঁর সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করেন৷ বিনতা ছাড়াও অভিনেত্রী সন্ধ্যা মৃদুল, আমাইরা দস্তুর, নবনীত নিশান ও কন্ঠশিল্পী সোনা মহাপাত্র’র মতো সুপরিচিত ব্যক্তিত্বরাও তাঁদের হয়রানির অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন৷ ‘আদর্শ’ পিতার চরিত্রে খ্যাত আলোক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘‘আজকের জগতে, যা-ই হোক না কেন, একজন মহিলার কথাতেই সবাই কান দেয়৷’’
ছবি: Getty Images/AFP
সুভাষ ঘাইয়ের কীর্তি
সম্প্রতি, টিভি অভিনেত্রী ও ভারতীয় মডেল কেট শর্মা বিশিষ্ট পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের বিরুদ্ধে জোর করে চুম্বন করার অভিযোগ তুলেছেন৷ যদিও সুভাষ ঘাই তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷কেট শর্মা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
কেচ্ছায় জর্জরিত সাজিদ খান
বলিউডের আরেক পরিচালক, সাজিদ খানের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী সালোনি চোপড়া, সিমরান সুরি ও সাংবাদিক করিশমা উপাধ্যায়সহ একাধিক নারীর যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে৷ সামনে এসেছে ‘কাস্টিং কাউচ’-এর নোংরা চিত্র৷ সাজিদের বোন চিত্র পরিচালক ফারাহ খান মনে করেন, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগের খবরে তিনি দুঃখিত এবং অভিযোগগুলি সত্য প্রমাণিত হলে সাজিদের উচিত আত্মসমর্পণ করা৷
ছবি: Imago/Hindustan Times
‘অ-শালীন’ রজত কাপূর
দু’জন নারী যৌন হয়রানি ও বেসামাল আচরণের অভিযোগ তুলেছেন এই বিখ্যাত মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতার বিরুদ্ধে৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে টুইটারে পোস্ট করে ক্ষমা চেয়ে কাপূর দাবি করেন, তিনি সারা জীবন একজন ভদ্র ও শালীন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করে এসেছেন৷
ছবি: imago/Hindustan Times/S. Bate
গানের জগতে ‘মি-টু’, অভিযুক্ত কৈলাশ খের
একটি সাক্ষাৎকার চলাকালীন এক নারী সাংবাদিকের সাথে আপত্তিকর আচরণ করার অভিযোগ ওঠে এই খ্যাতনামা কন্ঠশিল্পীর বিরুদ্ধে৷ এই অভিযোগ জানাজানি হবার পর আরেক গায়িকা সোনা মহাপাত্রও দাবি করেন, কৈলাশ তাঁর সাথেও আপত্তিকর আচরণ করেছেন৷ কৈলাশের অবশ্য দাবি, এমন কোনো ঘটনা তাঁর স্মরণে নেই৷ তবে তিনি এ-ও বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু ভুল হয়ে থাকলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী৷
ছবি: AP
আবার বিতর্কে অভিজিৎ ভট্টাচার্য
‘মি-টু’র দাপটে উঠে এলো আরেক গায়ক অভিজিতের নাম৷ বলিউডের এই গায়কের বিরুদ্ধে রয়েছে একটি পাবে একজন বিমানবালাকে হয়রানির অভিযোগ৷ অভিজিৎ ভট্টাচার্য তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে মন্তব্য করেছেন, ‘‘শুধুমাত্র ‘মোটা ও কুশ্রী’ মেয়েরাই পুরুষদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করছে৷’’ তাঁর এই মন্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে৷ বিতর্কে জড়ানো অবশ্য অভিজিতের জন্য নতুন কোনো ঘটনা নয়৷
ছবি: Imago/Indiapicture
নগ্ন ছবি পাঠানোর অভিযোগ
নতুন প্রজন্মের আলোচিত অভিনেতা ও কমেডিয়ান উৎসব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উঠেছে মহিলাদের কাছে নিজের নগ্ন ছবি পাঠানো ও বিনিময়ে নগ্ন ছবি চাওয়ার অভিযোগ৷ জনপ্রিয় কমেডি দল এআইবি’র নিয়মিত অভিনেতা উৎসব তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে টুইটারে ক্ষমা চেয়েছেন৷ ইতিমধ্যে উত্সবের সব ভিডিও এআইবি তাদের চ্যানেল থেকে মুছে দিয়েছে৷
ছবি: Twitter/U. Chakraborty
এবার ফাঁসলেন বিনোদ দুয়া
চিত্রনির্মাতা নিষ্ঠা জৈন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক, বিনোদ দুয়াকে অভব্য ব্যবহার ও কর্মক্ষেত্রে হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত করেছেন৷ এ বিষয়ে দুয়া কোনো মন্তব্য না করলেও তাঁর কন্যা কমেডিয়ান মল্লিকা দুয়া বাবার পাশে দাঁড়ান৷ বিনোদ দুয়া অনলাইন পোর্টাল ওয়্যার-এর সাংবাদিক৷ওয়্যার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘‘আমাদের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (আইসিসি) অভিযোগগুলি সম্পর্কে সচেতন৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/P. Singh
অভিযুক্ত সাবেক মন্ত্রী এম জে আকবর
সাংবাদিক প্রিয়া রামানি, গজলা ওয়াহাব, সুতপা পল ও তুষিতা প্যাটেলসহ বেশ কয়েকজন যৌনহেনস্থার অভিযোগ করেন সাংবাদিক ও সম্প্রতি পদত্যাগ করা মন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে৷ ইতিমধ্যে তিনি প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন৷ আকবরের হয়ে ভারতের ৯৭জন আইনজীবী লড়ছেন বলে জানা গেছে৷ তবে ২০ জন নারী সাংবাদিক জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের সহকর্মীদের হয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেবেন৷
ছবি: IANS
নারীও অভিযুক্ত
সম্মতি ছাড়াই কমেডিয়ান কানিজ সুরকা-কে মঞ্চে চুম্বনের চেষ্টা করেছিলেন আরেক কমেডিয়ান অদিতি মিত্তল৷ এমনই অভিযোগ কানিজের৷ যদিও অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর অদিতি কানিজের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, আসলে তিনি আঘাত দিতে চাননি৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Cassanelli
বলিউডের পর টলিউডেও ‘মি-টু’: সৃজিত মুখার্জী
অভিযোগ উঠেছে জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জির বিরুদ্ধে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক নারী লিখেছেন সৃজিতের বিরুদ্ধে৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেই এসবের জবাব দিয়েছেন সৃজিত৷
ছবি: Facebook/S. Mukherji
13 ছবি1 | 13
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই
মরক্কো সহ বিশ্বের বহু দেশে কুমারীত্ব পরীক্ষা নিয়মিত হয়ে থাকে। নারীদের প্রমাণ করতে হয় যে তাঁরা ভার্জিন। নইলে নানারকম সামাজিক এবং পারিবারিক সমস্যার মুখে তাঁদের পড়তে হয়। এমনকী, কোনো কোনো দেশে রাষ্ট্রীয় শাস্তির মুখেও পড়তে হয়। সৌদি আরবে একটি খবর হয়েছিল। এক ব্যক্তি বিয়ের রাতে স্ত্রী এবং গোটা পরিবার নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসককে সকলের সামনে স্ত্রীর ভারজিনিটি পরীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। বহু পারিবারিক অশান্তির ঘটনাও ঘটেছে এই ভারজিনিটি টেস্টকে ঘিরে।
গোটা পৃথিবীতে কত পরিমাণ কুমারীত্ব পরীক্ষা হয়, তার কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি। এর রেকর্ড রাখা হয় না। কিন্তু গোটা বিশ্বেই এই টেস্টের জন্য নারীদের শারীরিক সমস্যা যে হচ্ছে, তা স্পষ্ট। সে কারমেই ২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিবৃতি দিয়ে জানায়, যে প্রক্রিয়ায় কুমারিত্ব পরীক্ষা হয়, তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। কুমারীত্ব পরীক্ষা বাস্তবে সম্ভব নয়।
বেডশিটে রক্ত কুমারীত্ব পরীক্ষার একটি চিরাচরিত সামাজিক রীতি। এ ছাড়াও টু ফিঙ্গার টেস্ট আছে। চিকিৎসকরা যে পরীক্ষা করে থাকেন। বিশ্বের বহু দেশের নারীরা বিয়ের আগে চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে এই পরীক্ষা করান এবং সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন।
টু ফিঙ্গার টেস্টও ভয়াবহ। চিকিৎসক নারীর ভ্যাজাইনায় দুইটি আঙুল ঢুকিয়ে এই পরীক্ষা করেন। আধুনিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে, টু ফিঙ্গার টেস্টও যথেষ্ট বিজ্ঞানসমম্ত নয়। নারী ভার্জিন হলেও তাঁর রক্তপাত না হতে পারে।
এ তো গেল বিজ্ঞানের কথা। যে কোনো কুমারীত্ব পরীক্ষা নারীকে মানসিক ভাবেও ভেঙে দেয়। শারীরিক কষ্ট হতে পারে। নারীর অমতে ভার্জিনিটি টেস্ট যৌন নিগ্রহ হিসেবে ধরা হয় বিশ্বের বহু দেশে।
ফ্রান্স, ভারত, মিশর, আফগানিস্তানের মতো বহু দেশে কুমারীত্ব পরীক্ষা নিষিদ্ধ হয়েছে। এক সময় মিশরে কুমারীত্ব পরীক্ষা সরকারি ভাবে স্বীকৃত ছিল। প্রতিবাদী নারীদের মিশরের প্রশাসন ধরে ধরে ভার্জিনিটি টেস্টে পাঠিয়েছিল। নারী অধিকার কর্মীদের বক্তব্য, এই ধরনের কাজ সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মানবাধিকারের পরিপন্থী।
পুরুষতন্ত্রের প্রকাশ
মালি সংস্থাটির তৈরি করা ভিডিওটিতে মরক্কোর বহু নারী কথা বলেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, কুমারীত্ব পরীক্ষা অন্যায়। এতে নারীর সম্মান নষ্ট হয়। ২৭ বছরের আমিরা জানিয়েছেন, ''বিয়ের আগে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে আসা অন্যতম জরুরি কাজ।'' তবে তাও যথেষ্ট নয়। আমিরার বক্তব্য, আসল পরীক্ষা হয় বিয়ের রাতে। বেডশিটে রক্ত থাকা সব চেয়ে জরুরি।
ভয় এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, বহু নারী নানা ধরনের রাসায়নিক পণ্য কিনতে শুরু করেছেন। ভার্জিন নারীরাও এ ধরনের জিনিস কিনছেন। এক ধরনের জেলির মতো ক্যাপসুল পাওয়া যায় বাজারে। যার ভিতরে রক্তের মতো উপাদান থাকে। লাছগার ওই ধরনের পণ্য বিক্রি বন্ধের আন্দোলন শুরু করেছেন। কিন্তু তাঁরা জানেন, সমাজের মানসিকতা না বদলালে ওই ধরনের পণ্য বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব নয়।
একটি জার্মান কোম্পানি ওই ধরনের জিনিস বিক্রি করে। তার ডিরেক্টর ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, শুধু ব্লাড ক্যাপসুল নয়, ভূয়া সার্টিফিকেটও তাঁর সংস্থা বিক্রি করে। এবং এই ব্যবসাটিকে তাঁরা জনকল্যাণমূলক বলে মনে করেন।
তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই ধরনের পণ্য শরীরের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকারক। মালির কর্মীদের বক্তব্য, এই মুহূর্তের সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো, ভার্জিনিটি পরীক্ষা যে বিজ্ঞানসম্মত নয়, তা প্রচার করা। এর জন্য, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক সকলকে সামনে আসতে হবে। যে চিকিৎসকরা এখনো কুমারীত্ব পরীক্ষার সার্টিফিকেট দিচ্ছেন, তাঁদের তা বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে সমাজের সমস্ত স্তরে যৌন শিক্ষা চালু করতে হবে।