1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুমারীত্ব পরীক্ষা বাদ দেয়ার আহ্বান

সাক্ষাৎকার: গাব্রিয়েল ডমিনগেজ/জেডএইচ১ ডিসেম্বর ২০১৪

ইন্দোনেশিয়ায় নারী পুলিশ কর্মী বাছাইয়ের সময় যে কুমারীত্ব পরীক্ষা নেয়া হয়, তার সমালোচনা করেছে এইচআরডাব্লিউ৷ সংস্থায় কর্মরত আন্দ্রেয়াস হার্সোনো বলেন, আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ‘যৌনকর্মীদের’ বাদ দিতেই এ পরীক্ষা৷

Symbolbild Frauen mit Kopftuch
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa

সম্প্রতি এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ-র নারী অধিকার বিষয়ক সহযোগী পরিচালক নিশা ভারিয়া কুমারীত্ব পরীক্ষাকে নারীদের জন্য ‘বৈষম্যমূলক, ক্ষতিকর ও অবমাননাকর' বলে মন্তব্য করেছেন৷ অবিলম্বে এই পরীক্ষা নেয়া বন্ধ করতে ইন্দোনেশীয় পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি৷

এ ব্যাপারে কয়েকজন ইন্দোনেশীয় তরুণীর সাক্ষাৎকার গ্রহণের পর বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে৷

এরপর বিষয়টি নিয়ে এইচআরডাব্লিউ-র ইন্দোনেশিয়া গবেষক আন্দ্রেয়াস হার্সোনো-র সঙ্গে কথা বলেছে ডয়চে ভেলে৷ তিনি জানান, ‘নিয়োগপ্রাপ্তদের নৈতিকতা নিশ্চিত করতে' এই পরীক্ষা প্রয়োজন বলে মনে করেন পুলিশের কয়েকজক চিকিৎসক ও কর্মকর্তা৷

ডয়চে ভেলে: ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ এখনও কেন কুমারীত্ব পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে?

আন্দ্রেয়াস হার্সোনো: অনেক বছর ধরেই কুমারীত্ব পরীক্ষা চলে আসছে৷ আমরা একজন সাবেক নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি৷ ১৯৬৫ সালে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদেরও এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল৷ গত শতকের ৮০ ও ৯০-এর দশকেও অনেক নারী পুলিশ সদস্য এই পরীক্ষার বিরোধিতা করেছিলেন৷ এরপর ২০০৯ সালে জাতীয় পুলিশের প্রধান একটি নতুন ব্যবস্থার প্রচলন করেন৷ এর আওতায় প্রার্থীদের ‘ধাত্রীবিদ্যা ও প্রসূতিবিদ্যা' বিষয়ক পরীক্ষার কথা বলা হয়৷ সেখানে ‘কুমারীত্ব পরীক্ষার' কথা উল্লেখ করা নেই৷

কিন্তু পুরনো অভ্যাস যেন বাদ পড়ছে না৷ পুলিশ পরিচালিত হাসপাতালগুলোতে এখনও এটা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ আমরা এমন কয়েকজন পুলিশ চিকিৎসক ও কর্মকর্তার দেখা পেয়েছি, যাঁরা বলেছেন যে, এর মাধ্যমে তাঁরা আবেদনকারীদের মধ্য থেকে সম্ভাব্য ‘যৌনকর্মীদের' বাদ দিতে চান৷ এজন্য তাঁরা ‘দুই আঙুলের পরীক্ষা' চালিয়ে দেখতে চান, আবেদনকারীদের সতীচ্ছদ আসলে অক্ষত আছে নাকি ছিঁড়ে গেছে৷

নারী আবেদনকারীদের মধ্যে এই পরীক্ষা কী ধরণের প্রভাব ফেলে?

আবেদনকারীদের মধ্যে যাঁরা ‘ব্যর্থ' হয়েছেন, তাঁদের বাদ দেয়া হয়নি৷ তবে সব নারীই বলেছেন, এই পরীক্ষা ছিল ব্যথাযুক্ত ও দুঃখজনক৷ পশ্চিম সুমাত্রার পাডাং-এর নারী পুলিশ সদস্যার অবশ্য এই পরীক্ষা গ্রহণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ তবে আমরা এমন নারী পুলিশ সদস্যও পেয়েছি, যাঁরা মনে করেন এটা ঠিক৷

যে আবেদনকারীরা এই পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাঁদের কী হয়?

আমরা এমন কোনো আবেদনকারী পাইনি, যিনি এই পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন৷ তবে বেশিরভাগ আবেদনকারীই এটা শুনে আশ্চর্য হয়েছিলেন যে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তাঁদের ‘ভেতরটাও' পরীক্ষা করে দেখা হবে, এমনকি যোনিপথও৷ একজন আবেদনকারী জানিয়েছেন, তিনি যদি কুমারীত্ব পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানাতেন তাহলে তিনি নির্বাচন পরীক্ষা থেকে বাদ পড়ে যেতেন৷

যাঁরা পরীক্ষায় পাস করতে পারেন না তাঁদের কি হয়?

সেটা কখনই বলা হয় না৷ বাছাই পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী, রক্ত পরীক্ষা থেকে শুরু করে এক্স-রে, সতীচ্ছদ থেকে চোখ পরীক্ষা – সবকিছুই একত্র করে একটা ‘স্কোর' দেয়া হয়৷ এই স্কোর একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ের মধ্যে না থাকলে সেটা গ্রহণযোগ্য হয় না৷

আন্দ্রেয়াস হার্সোনোছবি: privat

তবে জাতীয় পুলিশের আইন বিভাগের প্রধান বলেছেন, আবেদনকারীদের কুমারীত্ব পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নৈতিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন৷ ‘‘একজন প্রার্থী যদি যৌনকর্মী হয়ে থাকে তাহলে আমরা কীভাবে তাঁকে চাকরিতে নেব?'' ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তার বক্তব্য থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, কুমারীত্ব এখনও একটা বড় বিষয়৷

কুমারীত্ব পরীক্ষা বাতিলের কোনো পরিকল্পনা কি আছে?

পুলিশ প্রধান জেনারেল সুতারমান দাবি করেছেন যে, আর কোনো কুমারীত্ব পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না৷ এই কথাটা তিনি লিখিতভাবে দিলে ভালো হতো৷

ইন্দোনেশীয় সরকারের প্রতি আপনার আহ্বান কী?

জাকার্তার পুলিশ বিভাগের প্রতি আহ্বান তারা যেন অবিলম্বে কুমারীত্ব পরীক্ষা বাতিল করে৷ এরপর সেটা যেন পুরো ইন্দোনেশিয়ায় কার্যকর হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে৷

(আন্দ্রেয়াস হার্সোনো ২০০৮ সাল থেকে এইচআরডাব্লিউ-র ইন্দোনেশিয়া গবেষক হিসেবে কাজ করছেন৷)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ