কথায় বলে ‘জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ'৷ সাধারণত ‘উভয়সংট' বোঝাতেই এ কথার প্রয়োগ করা হয়৷ তবে আমি যে গল্প বলবো, তাতে জলে কুমির ছিল ঠিকই, কিন্তু ডাঙায় ছিল একটা বেড়াল৷ তবে বাঘের থেকে কোনো অংশে কম যায় না এই বাঘের মাসি!
বিজ্ঞাপন
কুমির দেখে কার না ভয় লাগে? তার ওপর সেটা যদি এমন একটা জায়গা হয়, যেখানে একটা নয়, দু'টো নয়, অগুন্তি কুমির কিলবিল করছে – তা হলে তো কথাই নেই৷ ভয় পাওয়ারই কথা৷
কিন্তু আমাদের খুদে বিড়ালটা ষণ্ডামার্কা কুমির দেখে ভয় তো পায়ই-নি, বরং এগিয়ে এসে একেবারে তার পিঠে চড়ে বসেছিল৷ সে এক দেখবার মতো ঘটনা...৷ তারপর কী হলো? না, আমি বলবো না৷ সেটা জানতে ক্লিক করুন ভিডিওটিতে৷ আর দেখুন কুমির আর বাঘের মাসির লড়াই৷
ডিজি/এসি
দেখলেন? বলুন তো শেষ পর্যন্ত কে জিতলো? বিড়াল না কুমির?
বিড়াল সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য
জার্মানিতে অনেকেই বিড়াল পোষে৷ প্রায় ৮২ লাখ পোষা বিড়াল আছে জার্মানিতে৷ অনেক ধরনের বিড়ালই আছে৷ তাদের স্বভাব-প্রকৃতিতেও আছে বৈচিত্র্য৷ অনেকেরই প্রিয় এই পোষা প্রাণী সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য থাকছে আজকের ছবিঘরে৷
ছবি: Fotolia/Forewer
মাপযন্ত্র গোঁফ
গোঁফহীন বিড়াল দেখেছেন কখনো? গোঁফহীন বিড়াল হয়ইনা, দেখবেন কি করে! গোঁফ দিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজও করে বিড়াল৷ ছোট্ট গর্ত দিয়ে যেতে চাইলে বিড়াল কিন্তু ওই গোঁফ দিয়েই মেপে নেয়, তারপর ঠিক করে যাওয়ার চেষ্টা করবে কিনা৷ একটা বিশেষ সুবিধাও আছে ওদের৷ কলারবোন নেই বলে মাথাটা গলিয়ে দিলেই হলো, তারপর অনায়াসে চলে যায় গর্তের ওপারে৷
ছবি: picture-alliance/Asian News Network
নাক করে জিভের কাজ
মানুষের জিভে ৯ হাজার এমন ধরনের ‘সেন্সর’ আছে যেসবের কাজই হলো খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করা৷ বিড়ালের জিভে সেরকম সেন্সর মাত্র ৪৭৩টি৷ ফলে স্বাদ বোঝার কাজে তাদের জিভ অনেক কম কার্যকর৷ বিড়াল তাই বাধ্য হয়ে খাবারে স্বাদ বোঝে নাক দিয়ে গন্ধ শুঁকে৷
ছবি: Fotolia/darkbird
বিড়ালের নাকের ছাপ....
বিড়াল নাকি গোঁফ দিয়ে চেনা যায়? যারা বলেন, ভুল বলেন৷ প্রতিটি মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ যেমন একেবারে আলাদা, সেরকমই বিড়ালের নাক৷ একেক বিড়ালের একেকরকম নাক৷ সুতরাং সব কিছু কাকতালীয়ভাবে যদি কখনো মিলেও যায়, তবু দুটো বিড়ালের নাক কখনো হুবহু একরকম হতে পারেনা৷ কিছু না কিছু পার্থক্য থাকবেই৷
ছবি: picture-alliance/chromorange/S. Metzner
মানুষের রক্তচাপ কমায় বিড়াল!
গায়ে হাত বোলালে বা কোলে নিয়ে আদর করলে বিড়াল যে আহ্লাদ করে ঘরঘর আওয়াজ করে, সেই আওয়াজ শুনলে নাকি মানুষের উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়৷ এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এটা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অন্ধকারে দেখে ভালো
অন্ধকারে খুব ভালো দেখে বিড়াল৷ কোনো কিছু পরিষ্কার দেখার জন্য মানুষের যতটা আলোর প্রয়োজন তার ছয় ভাগের একভাগ আলোতেই সেই বস্তুটি পরিষ্কার দেখতে পারে বিড়াল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সবচেয়ে বড় চোখ
পৃথিবীর সব প্রাণীর মধ্যে শরীরের অনুপাতে বিড়ালের চোখই সবচেয়ে বড়৷ হাতি খুব বড়, তিমি মাছও বিশাল, তাদের চোখ কিন্তু শরীরের অনুপাতে বিড়ালের তুলনায় অনেক ছোট৷
ছবি: Fotolia/R. Schramm
বিড়ালের যত ডাক
মানুষের মতো বিড়ালও কিন্তু একেক দেশে একেক ভাষায় কথা বলে, অর্থাৎ বিড়ালের ‘মিঁউ, মিঁউ’ নাকি সবদেশেই একরকম নয়৷ তাই কাটালুনিয়া বিড়ালরা ডাকলে সেই ডাক শোনায় ‘মিঁউ’-এর মতো, ক্যান্টনের বিড়াল ডাকে ‘মাও, মাও’, ডেনমার্কের ‘মিয়াভ’, নেদারল্যান্ডসের ‘মিয়াউ’, ইংল্যান্ডের ‘মিয়ো’, ফ্রান্সের ‘মিয়াও’, গ্রিসের ‘নাইউ’ এবং জাপানের বিড়ালের ডাক নাকি ‘ন্যায়ান, ন্যায়ান’-এর মতো শোনায়৷