গ্যাস ক্ষেত্র খুঁজে পেল বাপেক্স
১৩ জুলাই ২০১২আগামী নভেম্বর মাস থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পেট্রোবাংলা৷ এটি বাংলাদেশের ২৫তম গ্যাস ক্ষেত্র৷
কুমিল্লার শ্রীকাইলে এই গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের কৃতিত্ব ‘বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড' বা বাপেক্স-এর৷ আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে তারা পরীক্ষামূলক উৎপাদন এবং চাপ পরীক্ষা শুরু করে সফল হয়৷ বাপেক্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মুর্তজা ফারুক ডয়চে ভেলেকে জানান, ৩২১৮ মিটার গভীরে এই গ্যাস পাওয়া যায়৷ গ্যাসের চাপ যথেষ্ঠ ভাল৷ এই কূপে ৩০০ বিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস আছে বলে তাদের ধারণা৷
শ্রীকাইলে এই গ্যাস ক্ষেত্রটি বাংলাদেশের ২৫ তম গ্যাস ক্ষেত্র এবং ৮২ তম কূপ৷ চলতি বছরের ৫ মে খনন কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ৩০ জুন৷ বাংলাদেশের তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন বা পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর ডয়চে ভেলেকে জানান, বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস তোলার আগে আরো কিছু কাজ বাকি আছে৷ গ্যাস তোলার পদ্ধতি নিয়েও কিছু সিদ্ধান্তের বিষয় আছে৷ তিনি আশা করেন এসব কাজ শেষ করে আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে শ্রীকাইল থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস দেয়া সম্ভব হবে৷
এর আগে ২০০৪ সালে প্রথম শ্রীকাইলে গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হলেও ত্রুটিপূর্ণ খনন কাজের কারণে সেবার গ্যাস মেলেনি৷ এবার দ্বিমাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে গ্যাস পাওয়া গেল৷
২০১১ সালের অক্টোবরে নোয়াখালীর সুন্দলপুরেও গ্যাস পায় বাপেক্স৷ সেখান থেকে এখন প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন গ্যাস যোগ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে৷ এই নিয়ে বাপেক্স মোট চারটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করল৷ বাপেক্স শিগগিরই সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনায় আরো গ্যাসকূপ অনুসন্ধান শুরু করবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক