1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুলভূষণ জীবিত, দেখা হলো মা ও স্ত্রীর সঙ্গে

২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

পাকিস্তানের হাতে বন্দি ভারতীয় নৌ-বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছেন তার মা এবং স্ত্রী৷ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এ বছরের এপ্রিলে যাদবকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক আদালত৷

ছবি: Ministry of foreign affairs Pakistan

সোমবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদে তার স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ৷ যাদব আর তার পরিবারের মধ্যে ছিল একটা কাঁচের ব্যবধান৷ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ছবি প্রকাশ করেছে৷ এছাড়া পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যাদব বলছেন, ‘‘পাকিস্তানের এই মহানুভবতার জন্য ধন্যবাদ৷'' পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে যাদবের সাক্ষাতের সময় ছিল ৪০ মিনিট৷ ‘‘তারা একে অপরের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন৷ ভারতের সঙ্গে আমাদের যে কথা হয়েছিল, আমরা সেই কথা রেখেছি৷ আমরা একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, তা হলো, ভারতের অনুরোধে মানবিক দিক বিবেচনা করে এবং ইসলামের আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছে, তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা এই কাজটি করেছি৷ কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম৷''

ভারতীয় নৌ-সেনায় কর্মরত ছিলেন কুলভূষণ৷ অবসরগ্রহণের পর ইরানে ব্যবসা করতেন৷ বৈধ পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘‌র'‌-এর এজেন্ট সন্দেহে তাঁকে আটক করা হয় ২০১৬ সালের মার্চে৷ পাকিস্তানের দাবি, সামরিক আদালতে যাদব স্বীকার করেছেন তিনি ‘র'-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন৷ চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ভারতীয় নৌ-সেনার এই প্রাক্তন অফিসারকে গুপ্তচরের তকমা দিয়ে কার্যত বিনা বিচারে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় পাকিস্তানের সামরিক আদালত৷ ভারত আন্তর্জাতিক আদালতে আর্জি জানালে মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত৷

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক বিরাজ পাটনায়েক বলেছেন, ‘‘কুলভূষণের এই শাস্তির নিন্দা জানিয়েছে৷ তারা বলছে, পাকিস্তানের সামরিক আদালত যে আন্তর্জাতিক আদালতের মানদণ্ড মেনে চলে না৷''

কুলভূষণ যাদবের মা ও স্ত্রীছবি: Reuters/F. Mahmood

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘ইসলামাবাদে আমাদের হাইকমিশন আন্তর্জাতিক আইন মেনে যাদবের জন্য একজন কনস্যুলার নিয়োগের আবেদন জানিয়ে আসছে কিন্তু পাকিস্তান কখনো সেটার অনুমোদন দেয়নি৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ‘‘২০১৬ সালের ২৫ শে মার্চ থেকে ২০১৭ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত অন্তত ১৩ বার এই আবেদন জানানো হয়েছে৷ কিন্তু যাদবের বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে কোনোরকম তথ্য পাওয়া যায়নি পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে৷''

ভারত এবং পাকিস্তান বরাবরই একে অপরের বিরুদ্ধে নজরদারি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করে থাকে৷

শামিল শামস, মুরালি কৃষ্ণান/এপিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ