সম্ভবত ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে শত শত বছর ধরে চালু আছে জৈব চাষ৷ মাঝখানে এ পদ্ধতিকে পুরোনো বলা হলেও সারা বিশ্বেই এখন জৈব পদ্ধতির জয়জয়কার৷ অবশ্য জার্মানিতে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু হয় ৯০ বছর আগে৷
বিজ্ঞাপন
মূলত দু'টো কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের আকোলা জেলার নাম সুপরিচিত৷ একটি তুলা চাষ, অন্যটি কৃষকের আত্মহত্যা৷ ঋণের বোঝা, দারিদ্রের দুষ্টচক্র, খরা ও স্বল্প ফলন এ এলাকার কৃষকদের প্রায়ই ঠেলে দেয় আত্মহত্যার দিকে৷ ২৯ বছর বয়সি নাসারি চাভান এ এলাকারই একজন আদিবাসী কৃষক৷ নাসারি যখন চাষের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন, এ এলাকার অন্যান্যদের মতো তাঁদের পরিবারও ধুঁকছিল ঋণের চাপে৷
কমলা বেগমের জৈব খামার
রাসায়নিক সার ও কীটনাশকে বাড়ে ফসলের উৎপাদন৷ কিন্তু এতে জমির যেমন দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়, বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিও৷ ফলে বিশ্বজুড়েই গড়ে উঠছে জৈবকৃষি আন্দোলন৷ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত ফসলের চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশেও৷
ছবি: DW/M. Rahman
সার উৎপাদনে কেঁচো!
দেশজুড়ে যখন রাসায়নিক সার ও জিনগতভাবে পরিবর্তন করা বীজ ছড়িয়ে পড়ছে, তখন স্রোতের উলটো দিকে যাচ্ছেন মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের কিষানি কমলা বেগম৷ নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন জৈব খামার৷ কমলা বেগম কেঁচোকে ব্যবহার করেন জৈবসার উৎপাদনে৷ ইংরেজীতে এই পদ্ধতিতে উৎপন্ন সারকে বলা হয় ‘ভার্মি কম্পোস্ট’৷ এই পদ্ধতিতে গাছের পাতা, খড়, গোবর, লতাপাতা, পচনশীল আবর্জনা খেয়ে কেঁচো মল ত্যাগ করে৷ সেই মল থেকেই তৈরি হয় কেঁচো সার৷
ছবি: DW/M. Rahman
ফলমূল, সবজি থেকে সার
বাড়ি বাড়ি ঘুরে সবজি, ফলমূলের উচ্ছিষ্ট জোগাড় করেন কমলা৷ সব একসাথে মিশিয়ে জমানো হয় একটি পাত্রে৷ একসময় সেই সবজি-ফলমূল পঁচে তৈরি হয় জৈব কম্পোস্ট৷ এসব উপাদানে প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান থাকে বলে তা জমির জন্য ক্ষতিকর হয় না৷
ছবি: DW/M. Rahman
খোপ সার
স্থানীয়ভাবে ‘খোপ সার’ বলে পরিচিত হলেও দেশের অন্যান্য জায়গায় সাধারণভাবে এই সারকে গোবর সার হিসেবেই চেনেন কৃষকরা৷ গরুর গোবর, হাঁস-মুরগি ও ছাগলের বিষ্ঠা দিয়ে তৈরি হয় এই সার৷ জমির উর্বরতা বাড়াতে বিশেষ খ্যাতি আছে এই সারের৷
ছবি: DW/M. Rahman
জৈব বীজ
যেসব বীজ প্রাকৃতিক উপায়ে গাছ থেকেই সংগ্রহ করা হয়, সেগুলোকে বলা হয় জৈব বীজ৷ তবে এখন বিভিন্ন উপায়ে জিনগতভাবে পরিবর্তন করে বীজ ছাড়া হয় বাজারে৷ এসব বীজ থেকে জন্মানো গাছ আগাছাপ্রতিরোধী এবং বিভিন্ন রোগ থেকে ফসলকে দূরে রাখে৷ কিন্তু এই বীজে উৎপাদিত ফসল স্বাস্থ্য এবং জমির জন্য ক্ষতিকর বলে উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়৷ কমলা বেগম সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে বীজ সংগ্রহ করে ফসল ফলান৷
ছবি: DW/M. Rahman
জৈব ক্ষেত
শুধু সার ও বীজ থাকলেই হবে না৷ এর সঠিক প্রয়োগও জানতে হবে৷ কমলা বেগম জৈব সারের প্রয়োগ যাতে ঠিকমতো হয়, তা-ও নিশ্চিত করেন৷ শুধু জৈব সার ব্যবহার করে প্রায় দুই একর জমিতে গড়ে তুলেছেন আখ খেত৷ এছাড়াও ঢেঁড়শ, লাউসহ নানা ধরনের সবজির চাষ করেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Rahman
কীটনাশকেও বিষ নেই
রাসায়ানিক কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া গেলেও, তাতে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিও থেকেই যায়৷ ফলে কমলা বেগমের মতো অনেকেই ঝুঁকছেন জৈব কীটনাশকের দিকে৷ বিভিন্ন রকম গাছের পাতা, ছাল এবং বুনো ফল দিয়ে তৈরি হয় এই কীটনাশক৷ এই কীটনাশক ব্যবহার করে বেশ ফলও পাচ্ছেন সিঙ্গাইরের কৃষকরা৷
ছবি: DW/M. Rahman
ফেরোমোন ফাঁদ
ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে কৃষক এখন নিজেই তৈরি করতে পারছেন ফেরোমোন ফাঁদ৷ এই পদ্ধতিতে একটি কৌটায় ফেরোমোন নামের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়৷ এর গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় এসে পড়ে কৌটার মধ্যে৷ জৈব পদ্ধতি না হলেও এতে ক্ষতি হয় একেবারেই কম৷ পুরো ক্ষেতে রাসায়নিক ছড়িয়ে না দিয়ে মাঝেমধ্যে শুধু ফেরোমোনের কৌটা পালটে দিলেই সম্ভব হয় পোকা দমন৷ এই পদ্ধতি এখন বাংলাদেশের কৃষকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷
ছবি: DW/M. Rahman
7 ছবি1 | 7
এসএআরজি বিকাশ সমিতি নামের একটি বেসরকারি সংস্থা, যারা ভারতে বায়োডায়নামিক চাষাবাদ প্রবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের একটি ওয়ার্কশপে সাত বছর আগে প্রশিক্ষণ নেন নাসারি৷ এরপরই কীটনাশক ও ক্ষতিকর সার ব্যবহার বন্ধ করে দেন তিনি৷ বছরের পর বছর ধরে অপরিকল্পিত কীটনাশক ও ক্ষতিকারক সারের ব্যবহার জমির যে ক্ষতি করেছিল, জৈব সারের ব্যবহারের ফলে তা পুষিয়ে নিয়ে আবারো উর্বর হয়ে উঠতে শুরু করেছে জমি৷ পরিবারকে ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত করে লাভের মুখ দেখেছেন নাসারি৷ এখন ঐ এলাকায় তিনি আর একা নন৷ আরো প্রায় ৫০০ জন চাষী এখন জমিতে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন৷
২৯ বছর বয়সি এই চাষী সেই অভিজ্ঞতার কথায় শোনালেন অরগ্যানিক ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে৷ এ বছরের নভেম্বরে নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় অরগ্যানিক ফার্মিংয়ের উপর আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন৷ ‘‘বায়োডায়নামিক চাষাবাদ আমাদের খরচ বাঁচায়, যেহেতু বাইরে থেকে আমাদের কিছুই কিনতে হয় না৷ সেই সঙ্গে এতে করে স্বাস্থ্যকর খাবারও খেতে পারি আমরা৷'' সম্মেলনে আসা বায়োডায়নামিক ও অরগ্যানিক কৃষক ও গবেষকদের সাথে নিজের ভাবনা ভাগাভাগি করে নেন নাসারি৷
Organic food catching on in India
02:53
বায়োডায়নামিক চাষ পদ্ধতি আলাদা করে সার দেয়ার উপর নির্ভর না করে জমির নিজস্ব বাস্তুসংস্থানের উপর নির্ভর করে৷ ফলে বাড়তি কিছু কেনার প্রয়োজন হয় না৷ এসএআরজি বিকাশ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা বিনিতা শাহ বলেন, ‘‘ঋণের দায়ে জর্জরিত কৃষকদের জন্য এটা এক অনন্য সমাধান৷''
নিউজিল্যান্ডের বায়োডায়নামিক পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষাবাদ করতেন পিটার প্রোক্টর, যাঁর হাত ধরে বিনিতা শাহ ১৯৯০ সালে ভারতে আবারো নতুন করে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেন৷ বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠানের অধীনে সারা ভারতে ৫ হাজারেরও বেশি কৃষক এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন৷
সম্মেলনে অংশ নেয়া বেসরকারি সংস্থা ডেমেটার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী আলেকজান্ডার গার্বার বলেন,‘‘জার্মানিতে আমাদের প্রায় সতের'শ সনদপ্রাপ্ত চাষিরয়েছেন, ভারতে আছেন প্রায় লক্ষাধিক৷ তবে জমির পরিমাণে পার্থক্য রয়েছে, কারণ ভারতীয়দের ক্ষেত্রে চাষীরা কম জমির মালিক৷ তারপরও এ এক অসাধারণ বিপ্লব এবং ডেমেটার এক্ষেত্রে ‘ব্র্যান্ড' হিসেবে ভারতে কাজ করতে চায়৷''
কৃষিবিদ সার্ভদামান পাটেল বলেন, ‘‘ভারতে চাঁদ-তারার উপর ভিত্তি করে আগেকার দিনে যে চাষাবাদ হতো, এই বায়োডায়নামিক চাষাবাদ তার চেয়ে খুব বেশি আলাদা কিছু নয়৷ কেবল একে আরেকটু যথাযথ ও সময়ের সঙ্গে উপযুক্ত করা হয়েছে বর্তমানে৷'' সার্ভদামান পাটেলের অধীনেই এ চাষাবাদ পদ্ধতি শেখেন জার্মানির সোফিয়া ক্নোবেল্সডর্ফ৷ এই বিদ্যা কাজে লাগিয়ে তিনিসফল ওয়াইন ফার্মার হতে চান৷
প্রাচীন ভারতের চাষাবাদ পদ্ধতির সাথে এর মিল রয়েছে প্রচুর৷ যেমন এ পদ্ধতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে গরু৷ গরুর বর্জ্য ব্যবহার করেই ভারতে বায়োডায়নামিক পদ্ধতিতে চাষ দেখেছে সফলতার মুখ৷ তবে কিছু নতুন জিনিসও রয়েছে৷ যেমন শীতের সময় গরুর বর্জ্য ব্যবহার করে যে সার হয়, সেটাই গরুর শিং-এর সাহায্যে মাটিতে পুঁতে দলে জমি পুনরুজ্জীবন লাভ করে৷
সম্মেলনে ভারতের নানা অঞ্চলের কৃষকরা বায়োডায়নামিক পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষাবাদের ফলে তাঁদের ভাগ্যের যে পরিবর্তন হয়েছে, সেই গল্প ভাগাভাগি করে নেন সবার সাথে৷ ভারতের তামিলনাড়ুর ধর্মযাজক ফাদার ক্লেমেন্ট জোসেফ জার্মান সরকারের সহায়তায় একটি প্রকল্পে কাজ করছেন৷ তামিলনাড়ুর দক্ষিণ ভাগে খরাক্রান্ত এলাকায় এই বায়োডায়নামিক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের অভিজ্ঞত সম্মেলনে অংশ নেয়া অন্যান্যদের সাথে ভাগ করে নেন তিনি৷
যদিও কেবল এ পদ্ধতির ব্যবহার করেই ভারতের কৃষি সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, তবুও এর মাধ্যমে ক্ষতিকর কীটনাশকের অতিব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব৷ তাছাড়া কেবল গ্রামের কৃষকরাই নন, বায়োডায়নামিক পদ্ধতিতে চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে শহুরে কৃষকদের কাছেও৷
রাজধানীর অদূরে শিল্প শহর হিসেবে খ্যাত নয়ডায় একটি বায়োডায়নামিক ফার্ম রয়েছে, যারা যৌথ খামারের ধারণাকে কাজে লাগিয়ে চাষাবাদ করছে৷ এ প্রকল্পের অংশীদার আমির আহমেদ বলেন, ‘‘খারাপ খাবার খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে গেছি আমরা৷ তাই ঠিক করলাম কিছু করি৷ তবে এই প্রজেক্টির সঙ্গে আমি আরো অনেক মানুষকে যুক্ত করতে চাই আমরা৷''
সুনয়না কুমার/আরএন
পাহাড়ে জুম চাষ
পাহাড়ের ঢালে বন উজাড় করে ও তা আগুনে পুড়িয়ে জমিকে চাষের উপযোগী করার মাধ্যমে যে চাষাবাদ করা হয় তারই নাম জুম চাষ৷ পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় শ্রেণিভুক্ত নয় এমন প্রায় ৫,৪৮০ বর্গকিলোমিটার বনভূমির সিংহভাগেই জুম চাষ করা হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
জুম চাষে জড়িত যাঁরা
বান্দরবানে জুমঘেরা পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটি বসতি৷ তিন পার্বত্য জেলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি জুমিয়া পরিবার এই জুম চাষের সঙ্গে জড়িত৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভিন্ন নাম
খাগড়াছড়ির মহালছড়ির এক পাহাড়ের গাছপালা পোড়ানো হচ্ছে জুম চাষের জন্য৷ চাষ পদ্ধতি এক হলেও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে জুম চাষ আলাদা নামে পরিচিত৷ জুম চাষকে চাকমা ভাষায় জুম, মারমা ভাষায় ইয়াঁ, ত্রিপুরা ভাষায় হুগ, ম্রো ভাষায় উঃঅ, খিয়াং ভাষায় লাই, বম ভাষায় লাও বলা হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
যেসব ফসল জন্মায়
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে পাহাড়ের গায়ে জুম চাষ করছেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ৷ ভারী বৃষ্টির পর পাহাড়ের মাটি খুঁড়ে রোপণ করা হয় বিভিন্ন ফসল৷ জুমের ফসলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নানাজাতের ধান, কুমড়া, অড়হড়, শিম, শশা, করলা, ঢেঁড়শ, তিল, ভুট্টা, আদা, যব, তুলা, হলুদ, পাহাড়ি আলু, কচু, ইত্যাদি৷
ছবি: DW/M. Mamun
বন উজাড়
বান্দরবানে জুম চাষের ফলে গাছপালা শূন্য পাহাড়৷
ছবি: DW/M. Mamun
ফসল কাটার সময়
রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের পাহাড় থেকে জুমের ফসল তুলছেন চাকমা সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ৷ জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জুমের ফসল কাটার মৌসুম৷
ছবি: DW/M. Mamun
ফসল ঘরে তোলা
রাঙ্গামাটির সাজেকে পাহাড় থেকে জুমের ফসল নিয়ে ফিরছেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধ৷
ছবি: DW/M. Mamun
কর্মব্যস্ততা
রাঙ্গামাটির সাজেকের কংলাক পাহাড়ে জুমের চাল ঝাড়ছেন এক ত্রিপুরা নারী৷
ছবি: DW/M. Mamun
নতুন বনাঞ্চল
জুম চাষে পাহাড়ের বন উজাড় হলেও অনেক পাহাড়েই নতুন নতুন বনাঞ্চল গড়ে তুলেছে বাংলাদেশের বন বিভাগ৷ রাঙ্গামাটির মানিকছড়ির এই বনাঞ্চল এরকমই একটি উদাহরণ৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিকল্প কর্মসংস্থান
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে কাপড় বুনছেন ত্রিপুরা নারীরা৷ পাহাড়ে বসবাসরত সব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীই কাপড় বুননসহ নানান শৈল্পিক কাজে অভিজ্ঞ৷ এসব জনগোষ্ঠীকে আরো প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে৷
ছবি: DW/M. Mamun
হস্তশিল্প
বান্দরবানের শৈলপ্রপাত এলাকায় নিজেদের তৈরি কাপড় ও হস্তশিল্প সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছেন স্থানীয় বম সম্প্রদায়ের নারীরা৷ পাহাড়ে তৈরি এসব পণ্যের দেশে ও বিদেশে বেশ সমাদর রয়েছে৷ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ পেলে এইসব সম্প্রদায় তাদের কাজের বিস্তৃতি ঘটাতে সক্ষম হবেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
জলকেলি উৎসব
রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় পানি খেলায় ব্যস্ত মারমা তরুণীরা৷ এই পানি খেলা বা জলকেলি উৎসব মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব, যা পালন করা হয় নববর্ষে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বাঁশ নৃত্য
বান্দরবানের রুমা উপজেলার বেথেলপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী বাঁশ নৃত্য পরিবেশনে বম তরুণীরা৷