প্রশ্নটা অন্যভাবে করা যায়৷ কেন সবাই ক্ষমতায় যেতে চায়? আরে এটা কোনো প্রশ্ন হলো? ক্ষমতা মানে বোঝ না? ইচ্ছেমতো সব করা যায়! সবাই-ই যেতে চায় ক্ষমতায়!
বিজ্ঞাপন
তবুও আমার মন মানে না৷ আমি বারবার এই প্রশ্ন করতে থাকি৷ নানাভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একই প্রশ্ন৷ সঙ্গী লোকটা বার বার একই কথা বলে যাচ্ছেন৷ এ যেন ‘রান লোলা রান'!
প্রশ্নটা খুব সোজা৷ উত্তরটা আরো৷ তারপরও আমার মন থেকে একটা ‘কিন্তু' কিছুতেই যায় না৷
প্রথমে আসি, ‘ক্ষমতায়' যাওয়া প্রসঙ্গে৷ এই শব্দটির প্রতি আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে৷ গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় ক্ষমতার মালিক জনগণ৷ তাই যদি হয়, তাহলে যারা ক্ষমতায় যান, তারা কারা? এর উত্তরও সোজা৷ এরা জনগণের প্রতিনিধি৷ অর্থাৎ, ক্ষমতাধর জনগণ ভোট দিয়ে কাউকে বা কতগুলো লোককে সেবা দেয়ার দায়িত্বে পাঠান কতগুলো সরকারি অফিসে৷ তার মানে, এরা ক্ষমতায় নয়, দায়িত্ব পালনে যান৷ তাই এই প্রক্রিয়াকে দায়িত্ব পালনে যাওয়া বললে সুবিধা হয়৷
দশম সংসদের চার বছর পূর্তি
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সমালোচিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠন হয় দশম জাতীয় সংসদ৷ ২৯ জানুয়ারি এর চার বছর পূর্ণ হলো৷ ছবিঘরে দেখুন দশম সংসদে উল্লেখযোগ্য কী কী হলো৷
ছবি: imago/Xinhua
নির্বাচনের বছরে দশম সংসদ
২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে দশম সংসদ৷ সে হিসেবে এর মেয়াদ চার বছর পূর্ণ হলো৷ অর্থাৎ পাঁচ বছর মেয়াদি সংসদের জন্য এটি নির্বাচনি বছর৷ আগামী বছর ২৯ জানুয়ারির আগের তিন মাসের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে ‘আলোচিত’ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত হয়েছিল দশম জাতীয় সংসদ৷ বিএনপিসহ অনেক দল ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল৷ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন সাংসদ নির্বাচিত হন৷ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন এইচ এম এরশাদও৷ পরে তাঁর দল জাতীয় পার্টি (জাপা) সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে৷
ছবি: bdnews24.com
বন্ধুত্বপূর্ণ সংসদ
ঠিক যেন একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সংসদ, দশম জাতীয় সংসদ৷ সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে বিতণ্ডা নেই তেমন৷ সরকারের অধিকাংশ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তে সমর্থন দিচ্ছে বিরোধী দল৷ থেকে থেকে বিরোধী দলও সরকারি দলের প্রশংসা কুড়াচ্ছে৷
ছবি: imago/Xinhua
কার্যকর সংসদ
তবে প্রশ্ন থাকছে সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে৷ অন্যান্য সংসদের তুলনায় এ সংসদে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ বেশি৷ তারপরও এ সংসদ আদতে কতটা কার্যকর তা নিয়ে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে৷ একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘‘গুণগত বিশ্লেষণে যাচ্ছি না৷ তবে দশম সংসদে সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ সংসদকে কার্যকর করেছে৷’’
ছবি: bdnews24.com
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
মোট ১৯টি অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ৩৪২ দিন৷ চার বছরে এই সংসদে ১৩০টি আইন পাস হয়েছে৷ ১৪টি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে৷
ছবি: DW
বিরোধী নেতার ভাষণ
গত বছর সংসদের অধিবেশন বসেছে পাঁচটি৷ মোট কার্যদিবস ছিল ৭৬টি৷ গণমাধ্যমের বিশ্লেষণ বলছে, অধিবেশনগুলোতে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের দেওয়া সমাপনী ভাষণগুলোতে কোনো নীতিনির্ধারণী বিষয়ে তাঁর শক্ত সমালোচনা, বিতর্ক বা অবস্থান ছিল না৷
ছবি: AP
বাজেট নিয়ে উত্তাপ
চলতি সংসদে সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে বাজেট নিয়ে৷ বিরোধী দলও এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছে৷ সরকারি দলের সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ বিশেষ করে সমাপ্ত বছরের বাজেট অধিবেশনে ব্যাংকের আমানতকারীদের ওপরে আবগারি শুল্ক ধার্য করে বেশি সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি৷ এমনকি ব্যাংক খাতে লুটপাটের কারণে বিরোধী দলের সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করেছিলেন৷
ছবি: bdnews24.com
বিএনপি নিয়ে সমালোচনা
বাজেটে বিরোধী দল নিয়ে যতটা না আলোচনা হয়েছে, তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি সমালোচনা হয়েছে বিএনপির কার্যকলাপ নিয়ে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকবার সুশীল সমাজের একটি অংশেরও কড়া সমালোচনা করেছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/F. K. Godhuly
সংসদীয় কূটনীতি
সংসদীয় কূটনীতির ক্ষেত্রে সফলতা দেখিয়েছে দশম জাতীয় সংসদ৷ বিচ্ছিন্নভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে উন্নত কয়েকটি দেশের অতি সতর্কতার মধ্য দিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশগুলোর সর্ববৃহৎ দু’টি সংস্থার সম্মেলনের আয়োজক হওয়া এবং তা সফল ও নিরাপদে আয়োজন করে সাফল্য দেখিয়েছে সংসদ৷
ছবি: imago/Xinhua
9 ছবি1 | 9
প্রায়ই সরকারি দলকে ‘শাসকগোষ্ঠী' বলে ডাকতে শোনা যায়৷ এই শাসকগোষ্ঠীর ধারণাটিও ভুল৷ কারো নিশ্চয়ই মাথা খারাপ না হলে নিজেকে শাসন করতে ভোট দিয়ে কাউকে পাঠাবেন না৷
এসব শব্দ বদলাবার সময় এসেছে৷ ঠিক বদলানো বলা যাবে না, বলা ভালো যে, শুধরে ঠিক শব্দগুলো বলার সময় এসেছে৷ কারণ, এ সব শব্দ বহুল চর্চিত হবার এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব রয়েছে সাধারণের মাঝে৷
এবার দ্বিতীয় প্রসঙ্গে আসি৷ সাধারণভাবে বিরোধী দলে কেউ যেতে চায় না, কারণ, বিরোধী দল মানে পরাজিত একটি দল, যার জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা জয়ী দলের চাইতে কম৷ এ পর্যন্ত ঠিকই আছে৷ কিন্তু এই দলটি বা দলগুলোও তো কিছু না কিছু ভোট পেয়েছে৷ অর্থাৎ, সমাজের একটি গোষ্ঠীর কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা আছে৷ তারা তাদের প্রতিনিধি৷ তাই বিরোধী দলে থাকলেও সমাজের একটি অংশের কণ্ঠস্বর তারা৷ তাদের যদি পাত্তা না দেয়া হয়, তাহলে সমাজের একটি অংশের জনগণকে পাত্তা দেয়া হয় না৷ অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট অংশের মানুষ নিজেদের বঞ্চিত, অবহেলিত মনে করেন৷
বাংলাদেশের বাস্তবতায় বিষয়টি আরো এক কাঠি সরেস৷ ঐতিহাসিকভাবেই এখানে বিরোধী দল কখনো তেমন সুবিধা করতে পারেনি৷ স্বাধীনতার পর সেই ন্যাপ ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি থেকে শুরু, এরপর জাসদ৷ পরবর্তীতে কালের পরিক্রমায় যা দাঁড়িয়েছে, তা কারো জন্যই সুখকর হয়নি৷ বরং ‘ক্ষমতায়' যাওয়া বা থাকার জন্য সবাই খেলেছে আগুন নিয়ে৷
বিরোধী দলের মানেটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যন তারা একটি নিপীড়িত দল, যাদের কোনো অধিকার নেই৷ তাদের নেতা-কর্মীরা মামলার পর মামলা খাবে৷ জেল খাটবে৷ অথবা কোণঠাসা হয়ে থাকবে৷ রাজপথে কর্মসূচি দিতে পারবে না৷
এই সংস্কৃতি একদিনের নয়৷ দিনের পর দিন ধরে এমনটিই চলে এসেছে, যার শিকার আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নয়, শিকার আসলে মানুষ৷
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়৷ পরবর্তীতে তাঁর খুনিদের বিচার না করে ইনডেমনিটি দেয়া হয়৷ এরপরের সরকারগুলো দীর্ঘসময় তাঁর নামটি পর্যন্ত নিতে দেয়নি৷
পরবর্তীতে ৯৬-তে যখন প্রথম আবার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, তখন থেকে তাদের একটাই লক্ষ্য যে, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে সমাজে, মননে পুণঃস্থাপন করা৷ কিন্তু তা করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের নেতা-কর্মীরা বাড়াবাড়ি করে ফেলেন৷
সে যা-ই হোক, বিরোধী দল মানে যখন এমন, তখন কে চাইবে বিরোধী দলে থাকতে? ফলে ঘাড় দিয়ে পর্বত ঠেলার মতো হয়ে যায় বিরোধী দলের আন্দোলন৷
সে আন্দোলন মানে ‘লগি বইঠা' কিংবা ‘পেট্রোল বোমা' ও ‘গ্রেনেড'৷ বিষয়টি শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ থাকলেও হতো৷
কেউ কেউ অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলেও ‘আপোষ' করেছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে৷ ফলে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি হয়েছে এবং হচ্ছে দেশের মানুষের৷
আজ পর্যন্ত যত রকমের সাম্প্রদায়িক ও কট্টর ধ্যান-ধারণার উন্মেষ হয়েছে এদেশে, ডালাপালা ছড়িয়েছে, তার প্রধান কারণ ‘ক্ষমতায় থাকা' গোষ্ঠীর তা আঁকড়ে ধরে রাখার ও ‘ক্ষমতাহীন' গোষ্ঠীর ক্ষমতায় যাওয়ার প্রবণতা, এবং সেই প্রবণতার কারণে বিষাক্ত শক্তিকে উসকে দেয়ার মানসিকতা৷
তবে এ সবের মূলে রয়েছে রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা ও প্রতিহিংসা৷ যে প্রতিহিংসা বা অসহিষ্ণুতা তৈরি হয়েছে বিরোধী দলে না যেতে চাওয়ার মানসিকতা থেকে৷ বিরোধী দলে না যেতে চাওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়েছে, সরকারের একচ্ছত্র ক্ষমতার সংস্কৃতির কারণে, নিপীড়িত হবার ভয়ে৷
কিন্তু ধরা যাক, যদি এমন হতো যে, সংসদে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দল যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে তুলনামূলক কম ভোট পাওয়া বিরোধী দলগুলো৷ সবার প্রতিনিধিরাই সরকারের ‘দায়িত্ব' পালন করছে৷ তাহলে সহিষ্ণুতা ও হার মেনে নেবার সংস্কৃতি বজায় থাকতো৷ কারণ পরাজয় মানেই তখন ব্রাত্য হয়ে পড়া নয়৷ বরং আরেকটি বড় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করাই হতো তাদের মূল লক্ষ্য৷ তাই থাকতো না কারো একচ্ছত্র ক্ষমতা৷ ক্ষমতা প্রকৃতই থাকতো জনগণের হাতে৷
প্রতিহিংসার রাজনীতি কীভাবে বন্ধ করা যায়?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘প্রতিহিংসা’ যেন অবিচ্ছেদ্য৷ কিন্তু এ থেকে তো মুক্তি দরকার৷ কীভাবে রাজনীতিকে প্রতিহিংসামুক্ত করা যায়? সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এ বিষয়েই কথা বলেছেন৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: picture-alliance/dpa
মাহবুবুল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগ
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ জানালেন, তিনি একেবারেই প্রতিহিংসার রাজনীতির পক্ষে নন৷ তিনি মনে করেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হলে দেশে আইনের কঠোর প্রয়োগ থাকতে হবে৷ আর সেটা হলেই কেউ প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার সাহস পাবে না৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
রুহুল কবীর রিজভী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি
একজন বিবেকমান মানুষ মাত্রই প্রতিহিংসার রাজনীতিকে হিংসা করবেন৷ প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হলে সবাইকে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ করতে হলে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে, কেননা, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে স্বাধীনতাবিরোধীরাই এদেশের রাজীতিতে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে বিভিন্ন সময়ে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
তোফাজ্জল হোসেন, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রাজনীতিতে প্রতিহিংসা বন্ধ করতে হলে দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে হবে৷ রাজনৈতিক স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখলে কেউ প্রতিহিংসাপরায়ন হতে পারবে না৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
মাসুম বিল্লাহ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রাজনীতিতে প্রতিহিংসা থাকা উচিত না৷ আর এটা বন্ধ করতে হলে মানুষের সাথে মানুষের সহমর্মিতা বাড়াতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
মোশতাক আহমেদ, ব্যবসায়ী
দেশের উন্নয়নের প্রধান বাধাই হলো প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি৷ তাই এটা বন্ধ করতে হলে এক দলের প্রতি আরেক দলের সমর্থকদের সম্মানবোধ বাড়াতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
আবুল কাশেম, ২১শে আগস্ট হামলার শিকার
২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছিলেন আবুল কাশেম৷ এখনও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেডের স্প্লিন্টার৷ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তাঁর জীবনের অনেক স্বপ্নই ভেঙে দিয়েছে৷ খুব হতাশা নিয়েই তিনি বললেন, ‘‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ না হলে এ দেশের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়৷’’
ছবি: DW/M. M. Rahman
আব্দুল কাদের, পরিবহন শ্রমিক
প্রতিহিংসার রাজনীতি কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না৷ আর এটা বন্ধ করতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
রবীন্দ্র ঘোষ, মানবাধিকার কর্মী
প্রতিহিংসার রাজনীতি এ দেশকে সম্পূর্ণরূপে খেয়ে ফেলেছে৷ এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সবাইকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একযোগে দেশের উন্নয়নের কাজে মনোনিবেশ করতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
সৈয়দ সাইফুল আলম, সমাজকর্মী
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা অবশ্যই বন্ধ করা উচিত৷ এটা করতে হলে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
10 ছবি1 | 10
জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেবার জন্য কী করা উচিত বলে আপনার মত? লিখুন নীচের ঘরে৷