কেক কেটে জন্মদিন পালন তো এখন ক্লিশে হয়ে গেছে! তাই নতুন কিছু করতে হবে৷ এই ভেবে এক যুবক কেকে গুলিই করে দিলেন৷ ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেছে৷
বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখ যায়, রাস্তার ধারে এক যুবক পিস্তল বের করে একটি জন্মদিনের কেকে গুলি করছেন৷ প্রথমবার না লাগলেও পরের বার ঠিকই লাগে তা কেকের গায়ে৷ এ সময় আরো কয়েকজন যুবক ছিলেন তাঁর সঙ্গে৷
যুবকেরা হিন্দি ভাষায় কথা বলছিলেন৷ ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর প্রদেশের মিরাটে ঘটেছে ঘটনাটি৷ তবে স্থানীয় পুলিশ তা অস্বীকার করছে৷ কেকের গায়ে ‘গুজ্জার' লেখা ছিল৷
ছোট ভিডিও তৈরির অ্যাপ টিকটক-এ ভিডিওটি বানানো হয়৷ পরে পিয়ুষ রয় নামের উত্তর প্রদেশের এক সাংবাদিক তা টুইটারে পোস্ট করেন৷ সেখানে তিনি লেখেন,‘‘ছুরি দিয়ে কেক কাটা এখন ক্লিশে ব্যাপার৷ এই ভিডিওতে এক যুবক একের পর এক গুলি করে কেক কাটছিলেন এবং অন্যরা আনন্দ পাচ্ছিলন৷''
এমন ভয়ঙ্কর ভিডিওটি দেখে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷
জেডএ/এসিবি
জার্মানদের জন্মদিন পালন
জার্মানিতে প্রতিটি মানুষেরই ‘জন্ম নিবন্ধন সনদ’ থাকে৷ তাই জার্মান নাগরিক বা জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করা কোনো মানুষের জন্মের দিন-তারিখ নিয়ে কোনো দ্বিমত থাকেনা৷ জন্মদিন পালন করা জার্মান সংস্কৃতিরই একটি অংশ
ছবি: Bilderbox
‘জন্ম নিবন্ধন সনদ’
একজন শিশু পৃথিবীর আলো দেখার সাথে সাথে জন্মের দিন, তারিখ, বছর, বার, জায়গা, ওজন, উচ্চতা সবই নিবন্ধন করা হয়৷ আর সেজন্যই জার্মানিতে প্রতিটি মানুষেরই ‘জন্ম নিবন্ধন সনদ’ থাকে৷ তাই জার্মান নাগরিক বা জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করা কোনো মানুষের জন্মের দিন-তারিখ নিয়ে কোনো দ্বিমত থাকেনা৷
ছবি: Fotolia/don57
শিশু বয়স থেকেই জন্মদিন পালন
প্রথম দু’বছর শিশুরা নিজের জন্মদিন সেভাবে বুঝতে না পারলেও সাধারণত তিন বছর বয়স থেকে বুঝতে পারে এবং নিজের জন্মদিন পালনে আগ্রহী হয়৷
ছবি: Getty Images
কিন্ডারগার্টেনে জন্মদিন পালন
শিশুর জন্মদিনের দিন মা-বাবাকে সব বাচ্চাদের জন্য কেক বা এ ধরনের কিছু খাবার কিন্ডারগার্টেনে নিয়ে যেতে হয়৷ শিশুর বাবা-মা চলে যাওয়ার পর শুধু বাচ্চাদের নিয়ে টিচাররা কেক কাটেন, আনন্দ করেন৷ যে শিশুর জন্মদিন, তাকে কোলে নিয়ে আদর করে ভালোভাবেই বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে দিনটি তার জন্য একটি বিশেষ দিন অর্থাৎ ‘জন্মদিন’৷
ছবি: DW/R. Breuer
হোমওয়ার্ক নেই
প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চারাও অনেক আনন্দ করে মজা করে জন্মদিনে৷ তাদের স্কুলে কেকে নিয়ে যেতে হয়না৷ কিন্তু যার জন্মদিন, তাকে সেদিন স্কুল থেকে হোমওয়ার্ক করতে দেওয়া হয়না৷ তবে তারা স্কুলের প্রিয় বন্ধুদের বাড়িতে ডেকে জন্মদিন পালন করে৷ বাচ্চাদের জন্মদিনে জার্মানিতে কিন্তু শুধু বাচ্চারাই নিমন্ত্রিত৷ জন্মদিনের পুরো আনন্দটা শুধুই ‘ওদেরই জন্য’৷
ছবি: Robert Neumann / Fotolia
প্রাপ্তবয়স্কের স্বাধীনতা
জার্মানিতে ১৮ বছর বয়স হলে তাকে প্রাপ্তবয়স্ক বলে ধরা হয়৷ ১৮তে স্বাধীনভাবে গাড়ি চালানোর অনুমতি পায়, ভোট দিতে পারে৷ ১৮ হলে অন্যান্য অনেক সিদ্ধান্তই নিজে নেওয়ার অধিকার হয়ে যায়, মা-বাবার অনুমতি ছাড়াই৷ তবে গাড়ি চালানো এবং অন্য কোথাও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা – এই দুটোর জন্যই মনে হয় বেশি অপেক্ষা করে থাকে ১৮ বয়সের নীচের তরুণরা৷ তাই স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করার আগ্রহে ১৮ বছর পালন করা হয় বেশ জাঁকজমকভাবে৷
ছবি: DW/S. Quaiser
রাউন্ড ফিগার
ছোটবেলায় তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও পরের দিকে অর্থাৎ ৩০, ৪০, ৫০ অর্থাৎ যত বয়স বাড়ে, ততটাই গুরুত্ব পায় জন্মদিনের অনুষ্ঠান৷
ছবি: Fotolia/Lucky Dragon
পরিবারের ১০০তম জন্মদিন
ছেলে-মেয়ে এবং মা-বাবা, অর্থাৎ পুরো পরিবার মিলে যখন ১০০ বছর বা ১১০, ১২০ বছর পূর্ণ করে, তখনও অনেক সময় খুব জাঁকজমকভাবে সেটা পালন করা হয়৷ তবে এরকম জন্মদিনে নিমন্ত্রিতদের খানিকটা সমস্যা হয়ে যায় উপহার খুঁজে পেতে৷ জার্মানরা কখনো জন্মদিনের আগে জন্মদিনের উৎসব পালন করেননা, তবে পরে পছন্দমতো কোনো ছুটির দিনে পালন করেন৷
বন্ধু, আত্মীয়, অনাত্মীয় ছাড়াও এখানে বিভিন্ন ব্যাংক, বিমা কোম্পানি বা বড় বড় দোকানগুলো থেকেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়ে থাকে কার্ডের মাধ্যমে৷ আর আজকের এই ইন্টারনেট আর ফেসবুকের যুগে তো শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তেমন বন্ধুত্বও হতে হয়না৷
ছবি: DW/V.Weitz
পুরোনো বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নেওয়া
অনেকের সাথে হয়তো বহুদিন যোগাযোগ নেই৷ সেই পুরোনো বন্ধুত্ব আবার ঝালিয়ে নিতে জন্মদিনের তারিখটি আগে থেকে ক্যালেন্ডারে লিখে রেখে সেদিন টেলিফোন করে বা কার্ড পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানায় অনেক জার্মান৷ প্রিয়জনদের জন্মদিন লিখে রাখার জন্য বিশেষ ক্যালেন্ডারও পাওয়া যায় জার্মানিতে৷
ছবি: Fotolia/Harald07
মেয়রের ফুলের শুভেচ্ছা
জার্মানিতে কারো ১০০ বছর পূর্ণ হলে তাঁকে শহরের মেয়র ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন৷
ছবি: AP/PRNewsFoto/Teleflora
জন্মদিনের উপহার
নানাজনে নানাকিছু উপহার দেয় জন্মদিনে৷ তবে ফুল, চকলেট আর মদ দিতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বড়দের ক্ষেত্রে৷ আজকের দিনে ছোটদের বেলায় তো উপহারের শেষ নেই৷ তবে জার্মানিতে আরেকটা রীতি রয়েছে৷ যার জন্মদিন, তার কাছ জানতে চাওয়া হয়, সে কী পেতে চায় বা তার কী জিনিস দরকার৷