সপ্তাহ দু'য়েক আগে বিরোধী নেতা রাইলা ওডিঙ্গার হেলিকপ্টারের ল্যান্ডিং স্কিডগুলো আঁকড়ে আকাশে ওঠেন ২৮ বছর বয়সি এক বেকার যুবক৷ তাঁর স্বপ্ন ছিল, ওডিঙ্গা তাকে একটি চাকরি দেবেন৷
ছবি: Reuters/G. Blevins
বিজ্ঞাপন
ইগেম্বে সেন্ট্রাল এলাকার মাইলি টাটু স্টেডিয়াম থেকে আকাশে উঠছিল ওডিএম নেতা রাইলা ওডিঙ্গার হেলিকপ্টার৷ চতুর্দিকে মানুষের ভিড়, তার মধ্যে কেউ খেয়ালই করেনি যে, হেলিকপ্টার মাটি ছেড়ে আকাশে ওঠার আগেই এক ব্যক্তি তলার স্কেটের মতো ল্যান্ডিং স্কিডগুলো আঁকড়ে ধরে হেলিকপ্টারের সাথে আকাশে ওঠার ব্যবস্থা করে নিয়েছে৷
সেটা বোঝা যায়, হেলিকপ্টার যখন বেশ খানিকটা উপরে উঠে মুখ ঘুরিয়ে দিক পরিবর্তন করতে শুরু করেছে৷ জুলিয়াস মুইথালি যেন নীচে জনতার দিকে হাতও নাড়েন৷
পরে যখন মুইথালিকে মাউয়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তখনও তাঁকে বিশেষ দুঃখিত বা অনুতপ্ত দেখা যায়নি৷ তিনি জানান যে, তিনি বেকার এবং ওডিঙ্গার সমর্থক৷ তিনি নাকি বহুদিন ধরে এই পরিকল্পনা করছিলেন৷
আকাশে ওঠার পর বাতাসের জোর দেখে মুইথালির প্রথমবার সত্যিই ভয় করে ও তিনি বাইরে থেকে হেলিকপ্টারের ভিতরে ঢুকে ওডিঙ্গার সঙ্গে কথা বলার আশা পরিত্যাগ করেন৷ নয়তো তিনি নাকি ওডিঙ্গার কাছে একটি চাকরি চাইতেন৷
চাকরির বদলে জুলিয়াস মুইথালিকে মাউয়ার আদালতে মামলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন৷ মুইথালি আদালতের কাছে তাঁর ব্যক্তিগত মুচলেকায় মুক্তির আবেদন করেন, কেননা তিনি অত্যন্ত গরীব৷
তাঁর বাবা নাকি তাঁর দুই বোনের পা কেটে ফেলার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে চলেছেন৷ ফলে পরিবারে অর্থোপার্জনের জন্য জুলিয়াস ছাড়া আর কেউ নেই৷ জুলিয়াস মাটির নীচে ‘মোল' বা ছুঁচো মেরে সংসার চালিয়ে থাকেন৷
মজাই বোধহয় এই, ওপরে আকাশ থাকলেও, নীচে আফ্রিকার মাটি ও তার কঠিন বাস্তব৷
এসি/এসিবি
সিঙ্গাপুর এয়ার শো’তে যা থাকছে
সামগ্রিকভাবে ব্যবসায় মন্দা চললেও সিঙ্গাপুর এয়ার শো দেখে তা বোঝার উপায় নেই৷ আকাশে শ্বাসরুদ্ধকর মহড়া থেকে চিনুক হেলিকপ্টার পর্যন্ত, এভিয়েশন শিল্পের সবকিছুই বিক্রির জন্য হাজির সেখানে৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Rahman
মহড়া
সিঙ্গাপুর এয়ার শো উপলক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘ব্লাক ইগলস’ এরোব্যাটিকসের মহড়া দেখা যাচ্ছে ছবিতে৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Rahman
বিশেষ ব্যবস্থা
সিঙ্গাপুর এয়ার শো’তে এক হাজার কোম্পানি অংশ নিচ্ছে৷ ধারণা করা হচ্ছে ৪৫ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে ছবিতে৷ ছবিতে বিশেষ সানগ্লাস ব্যবহার করে এয়ার শো দেখছেন দুই দর্শনার্থী৷
ছবি: R. Rahman/AFP/Getty Images
যা আশা করা হচ্ছে
বোয়িং ইতোমধ্যে চীনের ওকে ওয়ারওয়েজের সঙ্গে এক দশমিক তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ১২টি বিমান বিক্রির চুক্তি করে ফেলেছে৷ মার্কিন বিমান কোম্পানিটি আশা করছে আগামী বিশ বছরে গোটা বিশ্বের ৩৮,০৫০টি বিমানের দরকার হবে৷ এই সংখ্যার ৩৮ শতাংশই লাগবে এশিয়ার৷ আর ২১ শতাংশ উত্তর অ্যামেরিকার এবং ১৯ শতাংশ ইউরোপের৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Fyrol
নতুন নতুন অর্ডার
সিঙ্গাপুর এয়ার শো’তে প্রদর্শিত হচ্ছে এয়ারবাস এ৩৫০ এক্সডাব্লিউবি৷ এয়ারবাস এবং বোয়িং জানিয়েছে চলতি বছর সন্তোষজনক নতুন অর্ডার পেয়েছে তারা৷ ফিলিপাইন্স এয়ারলাইন্সের কাছে এক দশমিক আট বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ছয়টি বিমান বিক্রির অর্ডার পেয়েছে এয়ারবাস৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Rahman
এশিয়ার উচ্চাভিলাস
এয়ার শো’তে একটি এয়ারবাস এ৩৮০ বিমান দেখা যাচ্ছে৷ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমান এটি৷ এয়ারবাস প্রধান মনে করেন, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল হচ্ছে এয়ারবাস এ৩৮০-র জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী বাজার৷
ছবি: R. Rahman/AFP/Getty Images
কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত
এদিকে, ক্যানাডার বোম্বারডিয়ার তাদের সাত হাজার কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তবে তারাও এশিয়ায় তাদের বিলাসী বিমানের চাহিদা বাড়ার কথা জানিয়েছে৷
ছবি: Reuters/E. Su
সামরিক প্রতাপ
বোয়িং-এর একটি চিনুক সিএইচ-৪৭ হেলিকপ্টার দেখছেন কয়েকজন দর্শনার্থী৷ এটির মালিক সিঙ্গাপুর এয়ারফোর্স৷ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনীও প্রদর্শনীয়তে তাদের সামরিক বিমান দেখাচ্ছে৷