1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমা তরুণীরা যে কারণে আইএস-এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে

গ্রেহেম লুকাস/জেডএইচ২৯ মে ২০১৫

অস্ট্রেলিয়ার কমপক্ষে ১২ জন তরুণী সম্প্রতি ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়ার চেষ্টা করেছিল৷ এই খবর এটাই প্রমাণ করে যে, পশ্চিমা বিশ্বের তরুণীরা আইএস এর প্রতি একধরনের আকর্ষণ বোধ করছে৷

Syrien Kämpfer der Al-Nusra Front
ছবি: AFP/Getty Images/F. al-Halabi

শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স সহ পশ্চিমা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো থেকে শত শত নারী ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস-এর সঙ্গে জড়িত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷

পশ্চিমা বিশ্বের সরকারগুলো এখন পর্যন্ত তরুণীদের আইএস-এর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার প্রবণতা থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে৷ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে আইএস তরুণীদের যে ভবিষ্যৎ জীবনের ছবি দেখাচ্ছে তা এতটাই রঙিন যে, তার প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে তরুণীরা৷ অর্থাৎ শব্দের যুদ্ধে বিজয়ী হচ্ছে ইসলামি জঙ্গিরা৷ কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর সম্প্রতি খুঁজেছে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ব়্যাডিকালাইজেশন'৷

আইএস গত একবছরে তাদের হাতে বন্দি প্রায় দেড় হাজার মানুষকে শিরশ্ছেদ সহ অন্যান্য অমানবিক পদ্ধতিতে হত্যা করেছে৷ পশ্চিমা বিশ্বে বড় হওয়া একজনের জন্য আইএস-এর প্রতি বিমুখ হতে এই একটি তথ্যই যথেষ্ট হওয়ার কথা৷ কিন্তু পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, সেটা হচ্ছে না৷

বন্দি প্রায় দেড় হাজার মানুষের শিরশ্ছেদসহ নানাভাবে প্রচুর মানুষকে হত্যা করেছে আইএসছবি: Reuters/A. Abdullah

আইএস-এ যোগ দেয়া নারীরা গোপন তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে আহত জঙ্গিদের সেবা দেয়া ও অন্যান্য কাজ করছে৷ এমনও প্রতিবেদন বেরিয়েছে যে, নারীরা নাকি অবিশ্বাসীদের আরও বেশি করে হত্যা করতে আইএস নেতাদের উপর চাপ দিচ্ছে৷

নতুন নারী সদস্য সংগ্রহের কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ইতিমধ্যে আইএস-এ যোগ দেয়া নারীরা৷ আইএস যে ধরনের রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখছে সেখানে নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়টি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা হবে – এমন তথ্য দিয়ে নতুনদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে৷ অনেক ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের তরুণীরা অনুভব করে যে, বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়া দরকার৷ প্রকৃত ইসলামিক আদর্শের উপর ভিত্তি করে যে রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলে আইএস, সেখানে হয়ত আরও বেশি অর্থবহ ও পরিপূর্ণ জীবন পাওয়া যাবে, এমন প্রত্যাশা থাকে আইএস-এর প্রতি আগ্রহী তরুণীদের৷

গ্রেহেম লুকাস, ডয়চে ভেলেছবি: DW/M. Müller

পশ্চিমা বিশ্বের সরকারগুলোর ধারণা, নিজেদের পরিবারে কড়াকড়ি থেকে মুক্তি পেতে এবং জিহাদিদের বিয়ে করার আগ্রহ থেকেই এসব অল্পবয়সি, নিরীহ ও সাদাসিধা তরুণীরা আইএস এ যোগ দিচ্ছে৷

এদিকে, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস এর হয়ে যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরে যাওয়া পশ্চিমা বিশ্বের পুরুষ নাগরিকদের সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করছে ঐ দেশগুলোর সরকার৷ কিন্তু যেসব নারী ফিরে আসছে তাদেরকে ততটা বিপজ্জনক মনে করা হচ্ছে না৷ পশ্চিমা সরকারগুলোকে এই বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করে দেখতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ