1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবৈধ অভিবাসন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ ডিসেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশের মানুষের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা মূলত উন্নত জীবনের আশায়৷ যাঁরা বিদেশ যেতে চান, তাঁদের একটা বড় অংশ অল্প বা অর্ধশিক্ষিত৷ তাই সহায় সম্পদ বিক্রি করে বাইরে যেতে চান তাঁরা৷ আর এই আগ্রহকেই পুঁজি করে মানব পাচারকারীরা৷

Griechenland Mazedonien Protest der Flüchtlinge
ছবি: Reuters/Y. Behrakis

[No title]

This browser does not support the audio element.

বিদেশে চাকরির লোভ দেখিয়ে অবৈধভাবে তারা এ সব মানুষকে পাচার করে৷ কিন্তু বিপদসংকুল সমুদ্রপথে যাত্রার ফলে অনেকেই প্রাণ হারান অথবা দূরের কোনো দেশে গিয়ে তাঁদের জায়গা হয় বন্দিশিবিরে৷ আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম)-এর বাংলাদেশের মুখপাত্র আসিফ মুনীর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা আছে৷ এর প্রধান কারণ অর্থনৈতিক দুর্ভোগ ও অসচেতনতা৷''

জাতিসংঘ বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি অবৈধভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ মে মাসের দিকে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার আর মালয়েশিয়ার উপকূল থেকে অন্তত তিন হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা উদ্ধার করা হয়৷ এছাড়া আরো ছয় থেকে আট হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ঐ সময়ে সাগরে নৌকায় ভেসেছিল বলে খবর৷

এ বছরের প্রথমদিকে মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের জঙ্গলে গণকবর আবিষ্কার হওয়ার পর, বাংলাদেশ থেকে অভৈধভাবে পাচার হয়ে যাওয়া মানুষের অবর্ণনীয় মানবেতর জীবনের কথা জানা যায়৷

এ সব তথ্য প্রকাশ পায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে৷ আইওএম বাংলাদেশের মুখপাত্র আসিফ মুনীর বলেন, ‘‘বাংলাদেশের, বিশেষ করে কক্সবাজার এলাকায় দালাল-চক্র দীর্ঘনি ধরেই এ সব মানুষকে পাচার করে আসছিল অবৈধভাবে৷ সাধারণত চাকরি এবং উন্নত জীবনের লোভের ফাঁদে ফেলে তাঁদের পাচার করা হয়৷''

আরো জানা যায় যে, ঐ সময়ে সাগর এবং জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বড় একটি অংশ এখনও দেশে ফিরতে পারেননি৷ আজও তাঁদের জীবন কাটছে বন্দিশিবিরে৷ আসিফ মুনীর বলেন, ‘‘আমরা এপ্রিল -মে মাসের পর থেকে প্রচুর আবেদন পাচ্ছি আটকে পড়াদের আত্মীয়-স্বজনের তরফ থেকে৷ কিন্তু তাঁদের ফেরত আনতে হলে বাংলাদেশ সরকারকেই মূল উদ্যোগটা নিতে হবে৷আমরা এই প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র সহযোগিতা করতে পারি৷''

অবৈধভাবে গিয়ে আদতেই কি লাভ হয়?ছবি: Reuters/R. Bintang

বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৬ লাখ নাগরিক বিশ্বের মোট ১৬০টি দেশে অবস্থান করছেন৷ এরা মূলত বৈধ পথে কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন৷ তবে যাঁরা অবৈধভাবে বিদেশে গেছেন, তাঁদের সঠিক কোনো হিসাব নেই৷ আইওএম-এর এই মুখপাত্র বলেন, ‘‘যখন তাঁরা আটক হন বা উদ্ধার হন তখনই কেবল তাঁদের খবর জানা যায়৷ কিন্তু এর বাইরে যাঁরা আছেন তাঁদের খবর জানা সম্ভব নয়৷''

আসিফ মুনীর জানান, ‘‘অবৈধ এবং বিপজ্জনক অভিবাসন বন্ধ করতে প্রয়োজন ব্যাপক জন সচেতনতা৷ মানুষকে বুঝাতে হবে যে, বৈধভাবেও বিদেশে যাওয়া যায়৷ আর অবৈধভাবে গেলে কী কী বিপদ – তাও তাঁদের জানাতে হবে৷ এরসঙ্গে কার্যকর করতে হবে আইনগত ব্যবস্থাকে৷ একই সঙ্গে তাঁদের বুঝতে হবে, যে টাকা খরচ করে তাঁরা বিদেশে যাবেন, সেই টাকা উঠবে কিনা৷ আদতেই লাভ হবে কিনা৷''

আপনিও কি স্বচ্ছল জীবনের খোঁজে আপনার দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে চান? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ