বাগানের কাজ করতে গিয়ে বছরে দুই লাখেরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে জার্মানিতে৷ এই তথ্য দিয়েছে জার্মানির কর্মসুরক্ষা বিষয়ক একটি সংগঠন৷ তবে বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটে থাকে সাধারণত বাগানে কাজ করার ধারালো যন্ত্রপাতি এবং ঘাস কাটার ইলেকট্রিক মেশিন কিংবা মই থেকে পড়ে গিয়ে৷ তবে এ সব দুর্ঘটনা সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির ওপর হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে৷

জার্মানরা বেড়াতে গিয়ে বেশি হাঁটাহাঁটি করা পছন্দ করেন, যা নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর৷ কিন্তু অন্যদিকে আবার ছুটিতে রেস্তোঁরার অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেয়ে থাকেন তাঁরা৷ তার ওপর বাড়িতে থাকার তুলনায় ছুটিতে গেলে মদ্যপানও বেশি করেন জার্মানরা৷ ছুটিতে গেলে জার্মানরা কী খান – ডিকেভি কোম্পানির করা সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য৷

দৈনন্দিন জীবনের মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে শতকরা ৪৭ ভাগ জার্মান প্রকৃতির সংস্পর্শে গিয়ে সময় কাটান৷ জার্মানিতে হাঁটা বা বেড়ানোর জন্য রয়েছে দৃষ্টিনন্দন অসংখ্য পার্ক এবং জঙ্গল৷ কেউ একা, আবার কেউ কেউ পরিবারের সকলকে নিয়ে সেসব জায়গায় হাঁটেন বা সাইকেল চালাতে চলে যান৷ এই তথ্যটি জানা গেছে জার্মানির জিএফকে কোম্পানির করা একটি ‘মার্কেট রিসার্চ’ থেকে৷

জার্মানিতে পরাগ বা রেণুর অ্যালার্জিতে আক্রান্ত অনেকেই৷ তবে যাঁদের এই অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৫০ ভাগ মানুষেরই বিশেষ কিছু ফল ও সবজিতেও অ্যালার্জি দেখা যায়৷ এই তথ্যটি প্রকাশ হয়েছে জার্মানির অ্যালার্জি ও অ্যাজমা সমিতি ‘ডিএএবি’ থেকে৷

জার্মানরা যে ভ্রমণবিলাসী সে কথা মনে হয় কম-বেশি অনেকেই জানেন৷ তবে যাঁরা ভ্রমণ করেন, তাঁদের মধ্যে শতকরা ৪২ জনই নিজেদের মাসিক আয় থেকে সে খরচ করেন৷ তবে শতকরা ৪২ জনকে ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য জমানো অর্থ খরচ করতে হয়৷ অন্যদিকে অর্থের অভাবে শতকরা সাতজন জার্মান ছুটি কাটাতে যেতে পারেন না৷ খবরটি পাওয়া গেছে জার্মানির সম্পদ বিষয়ক পরামর্শদাতা কোম্পানির করা জরিপ থেকে৷

পরিবেশ, স্বাস্থ্য, পেশা কিংবা ব্যক্তিগত জীবন – সব ক্ষেত্রেই শতকরা ৮৯ ভাগ জার্মান যথেষ্ট সচেতন ও ‘দায়িত্বজ্ঞান’ সম্পন্ন৷ জার্মান গবেষণা কেন্দ্র ‘ফর্সা’-র করা এক জরিপের ফলাফল থেকে এই তথ্য জানা গেছে৷ এতে এ সব বিষয়ে জার্মানির বেশিরভাগ মানুষের ইতিবাচক মনোভাবের কথাও তুলে ধরা হয়েছে৷ তবে সাত শতাংশ জার্মানের মধ্যে যে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে – সে কথাও বেরিয়ে এসেছে জরিপে৷