কোলনের টিউমার অপারেশন হলেও কেমোথেরাপি নিতে হবে বিশ্বখ্যাত ফুটবলার পেলেকে।
বিজ্ঞাপন
কিছুদিন আগেই তার কোলনের টিউমার অপারেশন হয়েছে। সাও পাওলোর এক হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা তাকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। তবে এবার তাকে কেমোথেরাপি নিতে হবে। টিউমারটি ম্যালিগনেন্ট ছিল বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।
বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা
বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই উন্মাদনা৷ আর সেই উন্মাদনা ঐ গোলপোস্টকে ঘিরেই৷ তাই যারা গোল করেন তারাই হয়ে ওঠেন সবচেয়ে জনপ্রিয়৷ এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে যাঁরা প্রতিপক্ষের জালে অন্তত ১০ বার বল জড়িয়েছেন তাঁদের নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিরোস্লাফ ক্লোজে
ক্লোজে হলেন জার্মানির সৌভাগ্যের প্রতীক৷ যে ম্যাচেই তিনি দেশের হয়ে গোল করেছেন সে ম্যাচেই দল জিতেছে৷ তিনি জার্মানির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা৷ ১৬টি গোল নিয়ে বিশ্বকাপেরও সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি৷ ২০১৪ বিশ্বকাপে ২টি গোল করে তিনি ব্রাজিলের রোনালদোকে টপকে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন৷ অংশ নিয়েছেন ২০০২, ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে৷ জিতেছেন ২০১৪ বিশ্বকাপ৷
ছবি: Patrik Stollarz/AFP/Getty Images
রোনালডো
ব্রাজিলের এই কিংবদন্তীকে বলা হয় বিশ্বের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন৷ ‘দি ফেনোমেনোন’খ্যাত এই তারকা তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়, দু’বার ব্যালন ডি’অর ও একবার উয়েফার সেরা ক্লাব ফুটবলার এবং ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জেতেন৷ ব্রাজিলের হয়ে তিনি ৯৮ ম্যাচে ৬২টি গোল করেন, যার ১৫টিই বিশ্বকাপে৷ ১৯৯৮ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল ও ২০০২ আসরে জেতেন গোল্ডেন বুট৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Ugarte
গ্যার্ড ম্যুলার
পশ্চিম জার্মানির হয়ে খেলেছেন তিনি৷ প্রতিপক্ষের জালে বল ফেলার দক্ষতার জন্য তাঁকে সর্বকালের সেরাদের একজন হিসেবে মানা হয়৷ এই জার্মান কিংবদন্তীর ফিনিশিং ছিল অনবদ্য৷ দেশের হয়ে ৬২ ম্যাচে করেছেন ৬৮ গোল, যার ১৪টিই এসেছে বিশ্বকাপে তাঁর খেলা ১৩ ম্যাচে৷
ছবি: AP
জিস্ট ফুঁতেন
এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডটি তাঁর৷ একবারই বিশ্বকাপ খেলেছেন এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড, ১৯৫৮ সালে৷ সে বিশ্বকাপেই ৬ ম্যাচে করেছেন ১৩ গোল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পেলে
‘কালো মানিক’ নাম তাঁর৷ তাঁকে অনেকেই ফুটবলের সর্বকালের সেরা বলেই মানেন৷ ব্রাজিলিয়ান এই মহাতারকার বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচে ১২ গোল৷ এই তালিকায় একমাত্র তিনিই তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সান্দোর পিতার কচিশ
হাঙ্গেরির এই দুর্দান্ত ফিনিশার তাঁর সময়ে সেরাদের একজন ছিলেন৷ ১৯৫২ ও ৫৪ সালে তিনি যে কোনো ইউরোপিয়ান লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন৷ দেশের হয়ে ৬৮ ম্যাচে করেছেন ৭৫ গোল৷ ১৯৫৪ বিশ্বকাপে তিনি ১১ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন৷ একই বিশ্বকাপে দুইবার হ্যাট্রিক করার রেকর্ড তিনিই প্রথম গড়েন৷
ছবি: AP
ক্লিন্সমান
ক্লিন্সমান জার্মানির তারকা ফুটবলার ও কোচ৷ তিনি ২০০৬ বিশ্বকাপে জার্মানির কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ পশ্চিম জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন প্রথম ১৯৯০ সালে৷ এরপর ’৯৪ ও ’৯৮-এ খেলেছেন একীভূত জার্মানির হয়ে৷ বিশ্বকাপে তাঁরও মোট গোলসংখ্যা ১১৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O.Berg
হেলমুট রান
পশ্চিম জার্মানির এই কিংবদন্তীর নাম ছিল ‘দ্য বস’৷ ১৯৫৪-র বিশ্বকাপের ফাইনালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন তিনি৷ বিশ্বকাপে তাঁর মোট গোলসংখ্যা ১০৷
১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন তিনি৷ এরপর ৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ৮০ ম্যাচে গোল করেছেন ৪৮টি৷ ৮৬’র বিশ্বকাপে জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন বুট৷ বিশ্বকাপে তাঁর গোলসংখ্যা ১০টি৷
ছবি: Getty Images/AFP/STAFF
গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা
আর্জেন্টাইন এই গোল মায়েস্ত্রোর গোলগুলোকে বলা হতো ‘বাতিগোল’৷ বিশ্বকাপে তাঁরও গোলসংখ্যা ১০টি৷ ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/Allsport/C. Villa
আরো যাঁরা
বিশ্বকাপে দশ গোল করাদের তালিকায় আরো আছেন পেরুর কুবিলাস, জার্মানির টোমাস ম্যুলার ও পোল্যান্ডের লাটো৷ এর মধ্যে টোমাস ম্যুলার এখনো খেলছেন জার্মানির হয়ে৷ তাই তাঁর সামনে আছে গুরুদের টপকে যাবার সুযোগ৷
ছবি: Reuters/K. Pfaffenbach
11 ছবি1 | 11
পেলে অবশ্য খোশমেজাজেই আছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই তিনি লিখেছেন, 'বাড়ি ফিরতে পেরে আমি খুব খুশি।' একই সঙ্গে সাও পাওলোর অ্যলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের সমস্ত কর্মী এবং চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
সপ্তাহখানেক আগে নিয়মমাফিক পরীক্ষা করাতে গিয়ে কোলনে টিউমার ধরা পড়ে পেলের। চিকিৎসকরা তখনই তাকে ভর্তি করে অপারেশনের ব্যবস্থা করেন। টিউমার অপারেশনের পর শরীর ভালো ছিল না ৮০ বছরের ফুটবলারের। বেশ কিছুদিন তাকে আইসিইউ-তে থাকতে হয়। তবে বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। কেমোথেরাপি নিতে পারবেন তিনি।
ইনস্টাগ্রাম পেজে পেলে লিখেছেন, 'জানি আর লাফাতে পারব না। কিন্তু জীবন এমনই। সবকিছুই মেনে নিতে হয়। সামনে যখন সমস্যা আসে, তখন তা উপভোগ করতে হয়।'
বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের অন্যতম পেলে। ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ এনেছেন তিনি। ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৭০। ৯২ ম্যাচে ৭৭টি গোল দিয়ে এখনো রেকর্ড ধরে রেখেছেন এই ফুটবলার।