1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেরিয়ার চাই

স্টেফানি হ্যোপনার/আরবি২৫ মার্চ ২০১৩

জার্মানিতে আজকের তরুণরা পড়াশোনা শেষ করে মোটামুটি একটি ভাল চাকরি চান৷ যাতে খেয়ে-পরে ভালভাবে থাকা যায়৷ কিন্তু তাতে মন-প্রাণ সঁপে দিতে রাজি নন তারা৷ পরিবার ও অবসর সময় কাটানোও তাদের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ নয়৷

schöne junge Frau arbeitet mit ihrem Laptop sitzt im Freien Copyright:Fotolia/Franz Pfluegl
ছবি: Fotolia/Franz Pfluegl

বাবা আগে বেশির ভাগ সময়ই অফিসে থাকতেন৷ বাড়িতে খুব কমই দেখা যেত তাঁকে৷ প্রায় একই ধরনের উত্তর পাওয়া যায় আজকের ৩০ বছরের যুবকদের কাছ থেকে৷ কেরিয়ার ও পরিবারের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হলে সন্তানদের কীরকম অবস্থা হয়, তা তারা ভালভাবেই জানেন৷

এখনকার তরুণদের চাহিদাটা কোনো কোনো দিক দিয়ে একটু বেশি৷ বাবা-মা কিংবা আগের প্রজন্মের চাইতে তারা বেশ আদর যত্নে বড় হয়েছেন৷ তবে সব কিছুই যে অনায়াসে তাদের হাতের মুঠোয় এসে যাচ্ছে, তা কিন্তু নয়৷ তরুণদের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গবেষণা করছেন হুরেলমান৷ তাঁর মতে, এই সব তরুণরা এমন এক সময় বড় হয়েছেন, যেখানে নিরাপত্তাহীনতা একটা বড় সমস্যা৷ ৮০-এর দশকের প্রথম দিকে যাদের জন্ম, তারা কমিউনিস্ট দুনিয়ার ভেঙে পড়া দেখেছেন৷ দেখেছেন দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরণ৷ ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারের ধ্বংস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তাদের চোখের সামনে৷

ক্লাউস হুরেলমানছবি: picture alliance/ZB

চাকরির বাজারে পরিবর্তন

অন্যদিকে চাকরির বাজারেও দেখা দিয়েছে আমূল পরিবর্তন৷ আগের প্রজন্মের মত পেনশন পর্যন্ত কোনো এক জায়গায় চাকরি করে যাওয়ার মত অবস্থা আর নেই৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করতে হয় বিভিন্ন ধরনের কাজ৷ কোথাও কোনো প্র্যাকটিকাল, কোথাও সীমিত চুক্তির কাজ, কিছুদিন বেকার থাকা এইসব মিলিয়েই জীবন কাটাতে হয় আজকের তরুণদের৷

হুরেলমানের এই বিশ্লেষণের বিপরীতে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, আজকের তরুণদের মত আরাম-আয়াসে বড় হয়ে ওঠার মত সৌভাগ্য আগের কোনো প্রজন্মের হয়নি৷ অনেক কিছু তারা অনায়াসে পেয়ে যাচ্ছেন৷

২০১০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এখনকার তরুণরা ভবিষ্যতের দিকে আশাবাদী দৃষ্টি দিতে পারেন৷ আজকের ৩০ বছর বয়সিরা একদিকে অধ্যবসায়ী অন্যদিকে সামাজিকও৷ জীবদরদী এবং পরিবেশ সচেতন৷ পরিবার ও বন্ধুবান্ধব তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ৷ তারা কাজ করতে পছন্দ করেন কিন্তু যে কোনো মূল্যে নয়৷ অর্থ বা বেতন তাদের কাছে মুখ্য নয়৷

তরুণদের আশা আকাঙ্ক্ষা

হুরেলমান বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘আজকের তরুণরা নিজের কাছে স্বচ্ছ থাকতে চান৷ পেশাগত ক্ষেত্রে এমন কাজ করতে আগ্রহী নন, যেখানে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়৷ প্রতিষ্ঠানগুলিরও এদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে৷''

২০১০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এখনকার তরুণরা ভবিষ্যতের দিকে আশাবাদী দৃষ্টি দিতে পারেনছবি: REUTERS

অন্য দিকে বিভিন্ন কর্মদাতা প্রতিষ্ঠানও থেমে থাকেনি৷ সমীক্ষার মাধ্যমে তরুণদের মনোভাব জানার চেষ্টা করেছে তারা৷ ৩০ বছর বয়সি ৪৪০০০ তরুণকে প্রশ্নাবলীর মাধ্যমে চাকরি সম্পর্কে তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছার কথা জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ ৪০ শতাংশ জানিয়েছেন, নয় বছরের মধ্যে তারা বর্তমান চাকরিটা ছেড়ে ‘অন্য কোথাও অন্য কোনো খানে' যেতে চান৷ এছাড়া কর্মক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য চান তারা৷

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিষ্ঠানগুলির নিজেদের স্বার্থেই কর্মীদের চাওয়া পাওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ তৈরি করতে হবে এক মুক্ত পরিবেশ৷ কর্মীদের সৃজনশীলতার সুযোগ করে দিলে উত্পাদনের গুণগত মান বৃদ্ধি হবে, বইবে নতুন হাওয়া৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ