কোকোর মেয়েরা কি হরতালের আওতামুক্ত?
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫![Bangladesch Wahlen 2014 Unruhen](https://static.dw.com/image/17342558_800.webp)
গত বছরের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের বছর পূর্তিতে শুরু হওয়া বিএনপি জোটের আন্দোলন এখনো চলছে৷ নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করতে অবরোধের পাশাপাশি হরতালও করছে এই জোট৷ আর তাদের আন্দোলনের কারণে পিছিয়ে গেছে এসএসসি পরীক্ষা৷ অথচ একই সময়ে মালয়েশিয়ার স্কুলে পরীক্ষা থাকায় সোমবার হরতালের মাঝেই দেশত্যাগ করেন সদ্য প্রয়াত কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে৷
সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে অনেকে বিষয়টির সমালোচনা করেছেন৷ ক্যানাডা প্রবাসী সাংবাদিক সওগাত আলী সাগর লিখেছেন, ‘‘১৫ লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বেগম খালেদা জিয়ার কাছে গুরুত্ব পায় না৷ কারণ তাদের সন্তানরা পরীক্ষার জন্য মালয়েশিয়া উড়ে যায়৷ সেখানে পেট্টোল বোমার আতঙ্ক নেই৷ পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা নেই৷ নিজের সন্তানদের নিরাপদে দূরে রেখে তারা দেশের সন্তানদের জীবনকে, ভবিষ্যৎকে আগুনে পুড়িয়ে দগ্ধ করেন৷ এই তো রাজনীতি!''
প্রথম আলো পত্রিকা মঙ্গলবার এসংক্রান্ত এক খবর প্রকাশ করেছে৷ পত্রিকাটি লিখেছে, ‘‘জাহিয়া ও জাফিয়া মালয়েশিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত৷ সেখানে পরীক্ষা থাকায় তাঁরা ফিরে গেছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে৷ গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোকো ইন্তেকাল করেন৷'' অ্যাক্টিভিস্ট শারমিন জাহান পল্লবী এই বিষয়টি তুলে এনেছেন তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘নিজের মেয়েদের পরীক্ষার জন্য চলে গেছে মালয়েশিয়া! আর বাংলাদেশে যারা এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের বেলায়, ‘‘কিসের পরীক্ষা কিসের কি, আগে আইনের শাসন৷'' আসলেই তো, যারা জনগণ কে পেট্রোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে জনগনের অধিকার আদায় করে তাদের কাছে তো আইনের শাসনই তো বড় হবে! আমরা ম্যাংগো পিপল কেন যে কিছু বুঝি না!!!''
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মারা যান আরাফাত রহমান কোকো৷ এরপর তাঁকে ঢাকায় এনে দাফন করা হয়৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ