1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোলনে নব্য নাৎসিদের সমাবেশ, ব্যাপক হাঙ্গামা

গাব্রিয়েল বোরুদ/এসিবি২৮ অক্টোবর ২০১৪

সালাফিদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ কোলনের প্রতিবাদ সমাবেশটি হওয়ার কথা ছিল৷ শুরুটা সেরকম হলেও পরে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ থাকেনি৷ হামলার শিকার সাংবাদিক৷ এছাড়া ১৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন ‘প্রতিবাদকারী'ও আহত হন বলে খবর৷

Rund 2500 Hooligans bei Kundgebung gegen Islamisten in Köln 26.10.2014
ছবি: DW/G. Borrud

জার্মানিতে কট্টর ইসলামি সংগঠনগুলোর তৎপরতা বাড়ছে৷ বিশেষ করে সালাফিজমের অনুসারিদের তৎপরতা জণমনে আশঙ্কারও জন্ম দিয়েছে৷ রবিবার কোলন শহরের কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনের পেছনের একটি স্কোয়্যারে সালাফিদের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল কয়েকটি নব্য নাৎসি সংগঠন৷ জার্মান ফুটবলের উগ্র, দাঙ্গাবাজ সমর্থক বলে পরিচিত একটি অংশও তাঁদের সঙ্গে ছিল৷

আনুমানিক ২ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবেই শুরু হয় সমাবেশ৷ ডিডাব্লিউ-র গাব্রিয়েল বোরুদ জানান, সমাবেশের সামনের দিকে অনেকে জার্মান পতাকা হাতে সালাফিস্ট-বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন৷ ‘আমরা কোনো সালাফি শূকর চাইনা' বলেও চিৎকার করেছেন তাঁদের কেউ কেউ৷ প্রথম বক্তা তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বলতে থাকেন, ‘‘আমরাই জার্মানি৷'' সামনে উপস্থিতদের একে একে দেখিয়ে তিনি জানতে চান, ‘‘আমি, আপনি আর আপনি – আমরা সবাই কার বিরুদ্ধে?'' শ্রোতারা সমস্বরে জবাব দেন, ‘সালাফিস্টদের বিরুদ্ধে!'

গাব্রিয়েল বোরুদ জানতে চেয়েছিলেন সালাফিস্টদের বিরুদ্ধে কেন এই সমাবেশ? ছবি এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন তাঁকে বলেছেন, ‘‘কারণ, আমরা ভীত৷ খবরটা পত্রিকায় লিখে দিন৷ জঙ্গিরা অন্য দেশে যেভাবে নিরীহ মানুষের শিরশ্ছেদ করছে, এ দেশেও তেমন করা হবে – এ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে৷''

হামলাকারীদের হাত থেকে সাংবাদিকদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসেনি পুলিশছবি: Reuters/Wolfgang Rattay

জানতে চাওয়া হয়েছিল, সমাবেশটি কি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে? ডিডাব্লিউ-র সাংবাদিককে প্রতিবাদকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘মোটেই তা নয়৷ চারিদিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন৷ এটা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে, কিংবা আরবদের বিপক্ষে জার্মানদের লড়াই নয়৷ সালাফিস্টদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতেই আমরা এখানে সমবেত হয়েছি৷'' তবে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশ সত্যিই শুধু সালাফি-বিরোধীতার জন্য হয়েছিল কিনা তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার প্রতিবাদকারীদের কেউ কেউ, ‘বিদেশিরা যাও, বিদেশিরা যাও' – স্লোগানও দিয়েছেন৷

কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনে ৪৫ মিনিটের মতো থাকার পর সমাবেশকারীরা মিছিল করে কোলনের এবার্টপ্লাৎস নামের স্কোয়্যারের দিকে এগোতে থাকেন৷ মিছিল শুরুর পর হঠাৎ উত্তেজনা দেখা দেয়৷ মিছিলের সামনের দিক থেকে বিয়ারের বোতলা ছোড়া শুরু হলে দাঙ্গা পুলিশ ছুটে আসে৷ বিক্ষোভকারীদের সে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয় মেগাফোনে৷ তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় তিনটি গাড়ি থেকে জলকামান ছুড়তে শুরু করে পুলিশ৷ মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে দাঙ্গা পুলিশ স্কোয়্যারটি ঘিরে ফেললে বিক্ষোভকারীরা এদিক-ওদিক ছুটতে থাকে৷ ডিডাব্লিউ-র গাব্রিয়েল বোরুদ এ সময় মোট ছয়জনকে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখেছেন৷ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটকও করেছে পুলিশ৷

তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি৷ এবার্টপ্লাৎস ছেড়ে গেলেও কয়েকশ বিক্ষোভকারী একটু পরেই আবার কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনের কাছে সমবেত হয়৷ নব্য নাৎসিদের মতো নেড়ে মাথা আর কাপড়ে মুখ ঢাকা কিছু মানুষ তখন জার্মান সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে, ‘ডয়চে প্রেস, মুখ বন্ধ কর' – স্লোগান দিতে শুরু করে৷

সমাবেশের ওই অংশটি এক পর্যায়ে এক নারী ফটোসাংবাদিকের ওপর হামলা চালায়৷ তাঁকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখে ছবি তুলতে গিয়েছিলেন গাব্রিয়েল বোরুদ৷ বিক্ষোভকারীরা তাঁকেও পেটাতে শুরু করে৷ বাধ্য হয়ে দৌড়ে রেল স্টেশনের ভেতরে ঢুকে নিজেকে রক্ষা করেন গাব্রিয়েল বোরুদ৷ বিক্ষোভকারীদের পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ৷ হামলাকারীদের হাত থেকে সাংবাদিকদের রক্ষা করার জন্য তারা এগিয়ে আসেনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ