1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কো-পাইলটের ‘মানসিক সুস্থতা' নিয়ে বিতর্ক

৩১ মার্চ ২০১৫

ইচ্ছে করেই বিমান বিধ্বস্ত করেছিলেন জার্মান কো-পাইলট? একসময় তিনি ‘আত্মহত্যাপ্রবণ' ছিলেন- এ তথ্য বেরিয়ে আসার পর প্রশ্নটা আরো বড় হয়েছে৷ বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুমানভিত্তিক তথ্যকে গুরুত্ব দেয়া অনুচিত৷

Germanwings Frankreich Absturz Helfer Bergung
ছবি: Reuters/French Interior Ministry/DICOM/F. Pellier

ফ্রেঞ্চ আল্পসে বিধ্বস্ত জার্মানউইংসের বিমানের কো-পাইলট আন্দ্রেয়াস লুবিৎস শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিমান চালানোর উপযুক্ত ছিলেন না- কিছু তথ্যের ভিত্তিতে এমনটি প্রমাণ করার চেষ্টা শুরু হলেও এমন সিদ্ধান্তকে অনুমানভিত্তিক মনে করার পক্ষে জার্মান বিমান কর্তৃপক্ষ যুক্তিও দেখিয়েছে৷ ড্যুসেলডর্ফের প্রসিকিউটর অফিসের কর্মকর্তা হেয়ারেনব্রুক জানিয়েছেন, আন্দ্রেয়াস লুবিৎসের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা সম্পর্কে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তার সবই তাঁর জার্মানউইংসে কর্মজীবন শুরুর আগের৷ তিনি জানান, লুবিৎস একসময় মনস্তাত্ত্বিকের পরামর্শ নিতেন এবং তখন তাঁর মাঝে ‘আত্মহত্যার প্রবণতা' ছিল, এটা হয়তো ঠিক৷ তবে তাঁর সেই অবস্থাটা ছিল বৈমানিক হিসেবে কাজ শুরুর আগে৷ হেয়ারেনব্রুক জানান, ২০১৩ সালে বৈমানিকের সনদ পাওয়ার পর থেকে একবারও তাঁর মধ্যে সেরকম কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি৷ অথচ নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিতই তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন এবং সেই প্রক্রিয়ায় মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হতে হয়েছে তাঁকে৷ সুতরাং চাকরিতে যোগ দেয়ার পর থেকে দুর্ঘটনার দিন পর্যন্ত লুবিৎসকে অসুস্থ বা অনুপযুক্ত ভাবার কোনো কারণ ছিলনা- এমন মত প্রকাশ করে হেয়ারেনব্রুক জানান, জার্মান কর্তৃপক্ষ কোনো রকমের অনুমানভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেবেনা৷

তাতেও অবশ্য বিতর্কের অবসান হয়নি৷ সংবাদ মাধ্যমে এমন খবরও এসেছে যে, লুবিৎস এক সময় মানসিক বিষাদ কাটাতে নিয়মিত ওষুধ খেতেন, চোখেও নাকি সমস্যা ছিল তাঁর৷ তাই প্রশ্ন উঠেছে- এমন একজনকে বিমান চালনার সুযোগ দেয়া হলো কীভাবে?

জার্মানির কেন্দ্রীয় বিমান কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র কর্নেলিয়া ক্রামার জানান, বিমান চালকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি সরাসরি তাঁদের হাতে নেই৷ বৈমানিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন প্রশিক্ষিত চিকিৎসকরা৷ তাঁদের প্রতিবেদন যায় সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার কাছে৷ বিমান সংস্থা পরে সেই প্রতিবেদন পাঠায় কেন্ত্রীয় বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে৷ তবে মনস্তত্ববিদ হান্স-ভ্যার্নার টাইশম্যুলার তুলে ধরেছেন অন্য একটি দিক৷ তিনি জানান, চিকিৎসকদের একটা পর্যায়ে রোগীর কথার ওপরে বিশ্বাস করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷ রোগী যদি তাঁর সাম্প্রতিক মানসিক অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য গোপন করেন তাহলে চিকিৎসকের কিছু করার থাকেনা৷ প্রশ্ন হলো, আন্দ্রেয়াস লুবিৎসও কি শেষ দিকে কোনো কারণে আবার বিষাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং সেই তথ্য কি তিনি গোপন করেছেন?

এসিবি/ জেডএইচ (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ