জয়ললিতা প্রয়াত হবার পর তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন- এ নিয়ে রাজ্যের শাসক দলে চলছে চরম উত্তেজনা৷ শশিকলা, নাকি পনীরসেলভম? এই প্রশ্নে এআইএডিএমকে দ্বিধাবিভক্ত৷
বিজ্ঞাপন
তামিলনাড়ুর শাসক দল আইএডিএমকে-এর জেনারেল সেক্রেটারি শশিকলা, নাকি বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভম- কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? এ নিয়ে দুই শিবিরে চলছে শক্তি পরীক্ষা৷ সবার নজর এখন রাজ্যপালের দিকে৷
ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক নাটক এ মুহূর্তে দুই প্রধান চরিত্রকে নিয়ে বেশ জমে উঠেছে৷ একদিকে আছেন জয়ললিতার দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী, তথা দলের জেনারেল সেক্রেটারি শশিকলা নটরাজন এবং অন্যদিকে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভম৷ জয়ললিতার মৃত্যুর পর একটা সময় জানিয়ে দেওয়া হয়, শশিকলাই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন৷ সেইমতো বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভমকে ইস্তফা দিতে বলা হয়৷ কিন্তু রাজ্যের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাও চলে আসেন দিল্লিতে কেন্দ্রের সঙ্গে সাংবিধানিক ইস্যু নিয়ে পরামর্শ করতে৷ তিনি মুম্বাইতেও যান৷ কারণ, তিনি মহারাষ্ট্রেরও রাজ্যপাল৷ বৃহস্পতিবার তাঁর চেন্নাই ফেরার কথা৷ কাজেই শপথ গ্রহণ আটকে থাকে৷ এখান থেকেই শুরু হয় জল্পনা৷ তৈরি হয়, একটা অনিশ্চয়তার বাতাবরণ৷ দেখা দেয় শশিকলাকে নিয়ে আইনি জটিলতা, কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলা সুপ্রীম কোর্টের বিচারাধীন৷ রায় হবার কথা আগামী সপ্তাহে৷ তার আগে শপথ নিলে মামলায় রায় যদি শশিকলার বিরুদ্ধে যায়, তাহলে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে৷
অন্যদিকে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড় মুনাত্রা কাড়াগাম (এআইএডিএমকে)-র একাংশ আওয়াজ তুলেছে জয়ললিতার পছন্দের প্রার্থী পনীরসেলভমকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হলো কেন? অভিযোগ, শশিকলা নাকি ২০১১ সালে জয়ললিতাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন৷ সেজন্য তাঁকে দল থেকে সরিয়েও দেওয়া হয় এবং রাজনীতি থেকে দূরে থাকতেু বলা হয়৷ কিন্তু জয়ললিতার মৃত্যুর পর শশিকলা তড়িঘড়ি দলের এবং সরকারের কর্তৃত্ব নিজের হাতে নিতে চাইছেন কেন? আগামী সপ্তাহে শীর্ষ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার রায় জানা পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতে পারছেন না কেন? জয়ললিতার মৃত্যু-রহস্য নিয়েও শশিকলার দিকে আঙুল উঠেছে৷
গুঞ্জন যে, জয়ললিতার মৃত্যু জন্য দায়ী শশিকলা৷ হাসপাতালে থাকাকালীন নিকটজন বা আত্মীয়-পরিজনকে জয়ললিতার কাছে ঘেঁষতে দেননি শশিকলা, যেহেতু শশিকলা ৩৩ বছর জয়ললিতার বাসভবনে একই সঙ্গে থাকতেন৷ অভিযোগকারীদের মধ্যে আছেন জয়ললিতার ব্যক্তিগত চিকিত্সক এবং তামিলনাড়ু বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার৷ বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভম বলেছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে আবার শপথ নেবার পর জয়ললিতার মৃত্যু -বিতর্ক নিরসনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের আদেশ দেবেন৷
হারিয়ে যেতে বসেছে সাপুড়ে আর সাপের খেলা
এক সময় গ্রামে-গঞ্জে শোনা যেত বীণ৷ বীণ বাজিয়ে সাপুড়েরা সাপের খেলা দেখাতেন৷ সেই সাপুড়ে, সেই সাপের খেলা ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
বাবুরাম সাপুড়ে
সাপুড়েদের নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য গল্প, ছড়া, কবিতা৷ সুকুমার রায়ের ‘বাবুরাম সাপুড়ে’ পড়েননি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুস্কর৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
সাপই তাঁদের জীবিকার উৎস
গ্রাম-গঞ্জের সাপুড়েদের মূল কাজ সাপ ধরা আর সাপের নাচ বা খেলা দেখিয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়া৷ খেলা দেখানো ছাড়া সাপের বিষ এবং চামড়া বিক্রি করেন তাঁরা৷ এভাবে যে অর্থ আসে তা দিয়েই চলে সাপুড়েদের সংসার৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে
সাপুড়েদের সন্তানরাও সাধারণত সাপুড়েই হয়৷ জন্মের পর থেকেই ঘরে-বাইরে সাপ আর সাপের খেলা দেখে দেখে বড় হয় তারা৷ তাই একটু বড় হলে তারাও হাতে তুলে নেয় বীণ, দিনে দিনে তারাও হয়ে ওঠে পাকা সাপুড়ে৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
সাপে কাটলে সাপুড়ে
কয়েক বছর আগেও কাউকে সাপে কামড়ালে সাধারণ মানুষ ডাক্তারের কাছে না গিয়ে সাপুড়ে খুঁজতো৷ আজকাল বনাঞ্চল কমছে, সাপ কমছে, কমছে সাপুড়ে৷ পাশাপাশি চিকিৎসা বিজ্ঞানের দ্রুত অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাধারণের মাঝে সচেতনতাও বাড়ছে৷ ফলে সাপে কাটলে সাপুড়ে খোঁজার প্রবণতাও কমেছে অনেক৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
সাপ কি নাচে?
সাপুড়েরা দাবি করেন, তাঁরা বীণ বাজালে বীণের সুরে মোহিত হয়ে সাপ নাচতে শুরু করে৷ কিন্তু বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, সাপের কান নেই৷ তাহলে? বীণ বাজালে বা চোখের সামনে হাত নাড়লেই সাপ দুলতে শুরু করে কেন? আসলে সাপের দৃষ্টিশক্তি প্রখর নয়৷ চোখের সামনে বীণ বা হাত যা-ই নাড়ানো হোক, তা ঝাপসাভাবে দেখে সে ভাবে, এই বুঝি শত্রু এলো৷ শত্রুর সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতেই তখন দুলতে শুরু করে সাপ৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
সাপের বন্ধু?
হিন্দুরা মনে করেন, সাপুড়েরা শিবের অনুসারী৷ ছবিতে শিবকে গলায় গোখরো সাপ জড়িয়ে বসে থাকতে দেখা যায়৷ সাপ যেন তাঁর সার্বক্ষণিক সঙ্গী৷ সাপুড়েদের বেলায়ও তাই৷ সাপ সত্যিকার অর্থেই তাঁদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
এখন দুঃসময়
দেশে দেশে বন্য প্রাণী রক্ষার উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে৷ পরিণামে সাপুড়েদের প্রতিকুলতা বাড়ছে৷ ১৯৯১ সালে ভারতে এমন এক আইন করা হয় যে আইন অনুযায়ী, সাপ ধরে খেলা দেখানো অন্যায়৷ যত দিন যাচ্ছে দুঃসময় আরো ঘণীভূত হচ্ছে সাপুড়েদের৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
অন্য পেশার খোঁজে
এখনো যাঁরা বংশগত এই আদি পেশায় আছেন, তাঁদের অনেকেই আর সন্তানদের সাপুড়ে হিসেবে দেখতে চান না৷ নতুন প্রজন্মের অনেকেই সাপুড়ে না হয়ে নির্মাণশ্রমিক হয়ে বা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছেন৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
8 ছবি1 | 8
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দলের মধ্যে দড়ি টানাটানি প্রসঙ্গে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক উদয়ন বন্দোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে যা বললেন, তার মর্মার্থ হলো, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভমই জয়ললিতার পছন্দের প্রার্থী৷ জয়ললিতা আয়বহির্ভূত মামলায় কিছুদিন যখন জেলে ছিলেন, তখন পনীরসেলমকেই তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেছিলন৷ অসুস্থ থাকার সময়েও পনীরসেলভমকেই তিনি দলের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন৷ কাজেই জয়ললিতার আস্থাভাজন প্রার্থী তাঁকেই বলা যায়৷ তবে এই যে ভুঁইফোড় হয়ে শশিকলা সর্বেসর্বা হতে চাইছেন, সেটা তামিল রাজনীতির পুরানো ঘরাণা৷ সেই আন্নাদুরাই-এর আমল থেকেই উত্তরাধিকারের দ্বন্দ্ব চলে আসছে৷ আন্নাদুরাই-এর রাজনৈতিক উত্তরারাধিকারী কে হবেন, তাই নিয়ে এম.জি রামচন্দ্রন এবং করুণানিধির মধ্যে টক্করের ফলে দল দু টুকরো হয়৷ সৃষ্টি হয় ডিএমকে আর এআইএডিএমকে৷
রাষ্ট্রবিজ্ঞানি অধ্যাপক উদয়ন বন্দোপাধ্যায় আরো বলেন, ‘‘ নৈতিকতার প্রশ্নে শশিকলার উচিত তাঁর বিরুদ্ধে মামলার রায় বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা৷’’ রাজ্যপালের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ডিএমকে বা এআইএডিএমকে কেউই বিজেপির কাছের নয়৷ দরকার মতো বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ অনুযায়ী যে কোনো পক্ষকে সমর্থন করতে পারে৷ আর যদি তা না হয়, তাহলে রাজ্যপালকে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনও চাইতে পারে কিংবা বিজেপির বিশ্বাসভাজন কাউকে প্রার্থী করতে পারেন৷
ভারতীয় বাজেটের ভালো-মন্দ
পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করল মোদী সরকার৷ জানালো, আগামী বছর থেকে বাজেটের নীতি হবে পরিবর্তন, সম্পদ সঞ্চয় ও স্বচ্ছতা৷ চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী প্রস্তাব দিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Singh
আয়করের ক্ষেত্রে ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ল
এবার থেকে আড়াই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের জন্য কর দিতে হবে ৫ শতাংশ৷ আগে এটা ছিল ১০ শতাংশ৷ আর আয় যদি ১৫ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি পর্যন্ত হয়, তবে কর দিতে হবে ১০ শতাংশ৷ এছাড়া ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত করের পাশাপাশি দিতে হবে ১০ শতাংশ ‘সারচার্জ’৷ ১ কোটি টাকার বেশি উপার্জনকারী, মহাধনীদের আগের মতোই ১৫ শতাংশ ‘সারচার্জ’ দিতে হবে৷
ছবি: Getty Images
রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য খারাপ খবর
এতদিন চাঁদার ওপর কোনো আয়কর দিতে হতো না৷ কিন্তু এবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলি একজনের কাছ থেকে ২ হাজার টাকার বেশি চাঁদা নিতে পারবে না৷ চাঁদার পরিমাণ দু’হাজারের বেশি হলেই ডিজিটাল লেনদেনে চাঁদা নিতে হবে৷ এছাড়া তিন লক্ষ টাকার বেশি নগদে লেনদেন করা যাবে না৷
ছবি: dapd
কর ফাঁকি চলছে
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সংসদে জানালেন, ২০১৬-১৭ সালে ভারতে কর আদায় বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ৷ দেশে ২৪ লক্ষ মানুষের আয় ১০ লক্ষের বেশি আর ৭৫ লক্ষের আয় প্রায় ৫ লাখের বেশি৷ অথচ বহু লোক এখনও কর ফাঁকি দেন৷
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/P. Saikat
প্রতিরক্ষা ও সামাজিক খাতে বরাদ্দ
এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ১৪১ কোটি টাকা৷ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৪ লক্ষ ১১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে৷ পেনশনের জন্য বিশেষ ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবস্থা তৈরি করবে সরকার৷ প্রতিটি গ্রামে তৈরি করা হবে মহিলা শক্তিকেন্দ্র৷ দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ করা হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Adhikary
প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে যাবে বিদ্যুৎ
২০১৮ সালের মধ্যে দেড় লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হবে হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড সার্ভিস৷ মিলবে হটস্পট পরিষেবাও৷ তাই এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Paranjpe
পরিকাঠামো উন্নয়ন
জাতীয় সড়কের জন্য মোট ৬৪ হাজার কোটি টাকা দেবে সরকার৷ গত বছর প্রতিদিন ১৩৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে সারা দেশে৷ স্টার্ট আপ প্রোগ্রামে নতুন ১৬ হাজার উদ্যোগপতি যুক্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ সব মিলিয়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে পরিকাঠামো উন্নয়নে৷ পিপিপি মডেলে ছোট শহরে বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে৷ রেলেও বাড়ছে পিপিপি মডেলের কাজ৷
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/P. Saikat
স্বাস্থ্য পরিষেবায় নতুন চমক
চালু হচ্ছে আধার নির্ভর হেলথ কার্ড৷ প্রবীণদের জন্য জীবনবিমায় ৮ শতাংশ হারে সুদ৷ ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা কালাজ্বর দূর করতে কাজ করবে সরকার৷ যুব সমাজের উন্নতির জন্য স্কিল ইন্ডিয়া প্রকল্প রয়েছে ৬০ জেলায়, সেটা পৌঁছে যাবে ৬০০ জেলায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
২০১৯ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত দেশ?
১ কোটি পরিবারকে দারিদ্র্যসীমার ওপরে নিয়ে আসা হবে ভারতে৷ এর জন্য ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ বৃদ্ধি হচ্ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অতিরিক্ত ২২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে৷ এছাড়া দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণে ৮ হাজার কোটি টাকা, ফসল বিমায় ৯ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে৷ পাকা বাড়িও দেওয়া হবে ১ কোটি৷ আর ১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে কৃষকদের৷
ছবি: DW/M. Krishnan
8 ছবি1 | 8
মুখ্যমন্ত্রী পদে ১৩৪ জন বিধায়কের সমর্থন আছে বলে দাবি করেছেন শশিকলা৷ পাছে ‘ঘোড়া বেচাকেনা’ না হয়, তার জন্য বিধায়কদের এক রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়৷ আর চেন্নাইতে তাঁর সমর্থকদের মিছিল বের করা হয়৷ বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভাম ইস্তফা দেবার পর হঠাত বিদ্রোহ করলেন কেন? শশিকলার বক্তব্য, তাঁকে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার ইন্ধন জুগিয়েছে বিরোধিদল ডিএমকে৷
গত মঙ্গলবার মেরিনা সৈকতে জয়ললিতার সমাধিস্থলে ধ্যানমগ্ন হলেন, পরে বললেন, বিবেকের দংশনেই তিনি সমাধিস্থলে ধ্যান করেন৷ জয়ললিতার আত্মাই তাঁকে আবার মুখ্যমন্ত্রী হবার নির্দেশ দেয়৷ পনীরসেলভামের দাবি, তিনি বিধানসভাতেই তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন৷ তাঁর মতে, শশিকলা রাজনৈতিক সুবিধাবাদী৷ দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কখনো জড়িত ছিলেন না বা প্রশাসনিক কোনো অভিজ্ঞতাও তাঁর নেই৷ একমাত্র যোগ্যতা, তিনি জয়ললিতার সঙ্গে ঘর করতেন৷
মোটকথা, এখন সবার চোখ রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাওয়ের দিকে৷ দেখা যাক, তিনি তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব কিভাবে পালন করেন৷