কোটা সংস্কার আন্দোলন : পরিস্থিতি বুঝে কারফিউ প্রত্যাহার
২৫ জুলাই ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতময় অবস্থার কারণে ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্টের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করেছে সরকার৷ শুক্রবারের পর কারফিউ তুলে নেয়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ভাবছে সরকার৷
বিজ্ঞাপন
তুলে নেয়া হতে পারে কারফিউ
শুক্রবার কী হয়, তা পর্যবেক্ষণ করবে সরকার৷ ওই দিন ঢাকায় বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ‘হাইপ্রোফাইল' বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, শুক্রবার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলে কারফিউ তুলে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার৷
গত শুক্রবার অর্থাৎ ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর ভয়াবহ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা৷ দ্য ডেইলি স্টারের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, এই সংঘর্ষে কেবল ঢাকাতেই ৫৫ জন নিহত হন৷ এ ছাড়া, দেশের বিভিন্ন জেলায় নিহত হন আরও ১১ জন৷ আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন, আগামীকাল সহিংসতার ঝুঁকি রয়েছে এবং এ বিষয়ে দলটির নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকবে বলে দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে৷
শুক্রবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন দলটি৷
খুলে দেয়া হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুধাবারের বৈঠকে সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের তৈরি করা প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকা ছাড়া সব জেলায় পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলে মত দেন বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা৷
অন্যান্য জেলায় শুক্রবারের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার পরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়া হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে৷
বৈঠকে উপস্থিত একজন মন্ত্রী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘‘আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনতে চাই৷কারণ, নতুন পাঠ্যক্রমের জন্য তাদের শ্রেণীকক্ষে উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন৷ চারটি জেলা ছাড়া বাকি সব জায়গায় আমরা স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছি৷ আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবো৷''
ব্যাপক সংঘর্ষের মধ্যে গত ১৬ জুলাই থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার৷ শিক্ষা বোর্ডগুলো ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে৷
আগামী ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করেছে শিক্ষা বোর্ড৷ বৃহস্পতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ফের জানিয়েছে, ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্টের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে৷
বুধবার বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালুর জন্য অনুকূল নয়৷ তিনি জানান, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ করাই এখন অগ্রাধিকার পাবে৷
কোটা আন্দোলনের প্রতি সংহতি, আর সহিংসতার প্রতিবাদ ইউরোপে
বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি সহিংসতার প্রতিবাদে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন প্রবাসীরা৷ ছবিঘরে থাকছে এরকম কিছু কর্মসূচির কথা৷
ছবি: Nahid Hasan
দ্য হেগ-এ মিছিল
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মিছিল করেছেন একদল বাংলাদেশি৷ এসময় তাদের একজনের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘‘আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি- নাতনি৷’’ আরেকজন বহন করছিলেন, ‘‘বাংলাদেশের জন্য মুক্তির মিছিল’’ লেখা প্ল্যাকার্ড৷
ছবি: Ayaz Ur Rahman
ভেনিসে প্রতিবাদ
ইটালির ভেনিস শহরে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী, অধ্যাপক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী ও মানবাধিকার কর্মীরা৷ তারা বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী হত্যা এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদ করেছেন৷
লাইপসিশ পৌরসভার সামনে প্রতিবাদ
কোটা সংস্কার ঘিরে সহিংসতার প্রতিবাদে লাইপসিশের রাথহাউসের সামনে সমবেত হন একদল বাংলাদেশি৷ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে যেসব প্রাণহানি হয়েছে, সেসবের বিচারের পাশাপাশি দেশটিতে বাকস্বাধীনতার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জার্মানির সহায়তা চেয়েছেন প্রতিবাদকারীরা৷
ছবি: Md Mahabur Rahman
পুলিশি বর্বরতা বন্ধের দাবি ড্যুসেলডর্ফে
জার্মানির ড্যুসেলডর্ফে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশে পুলিশি বর্বরতা বন্ধের এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বাঁচানোর আহ্বান জানানো হয়েছে৷ জার্মানির নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন অনেক বাংলাদেশি৷
ছবি: Musfiq Al Arafa
স্টুর্টগাটে প্রতিবাদ
স্টুর্টগাটে বাংলাদেশিদের প্রতিবাদ সভা থেকে কোটা সংস্কারে হতাহতদের জন্য ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ সেখানে একজনের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘‘আমরা বিচার চাই, আমরা পরিবর্তন চাই৷’’
ছবি: Minhaz Dipon
পাডারবনে সমাবেশ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার প্রতিবাদে এবং প্রাণহানির বিচারের দাবিতে জার্মানির পাডারবন শহরে সমবেত হন একদল বাংলাদেশি৷ তাদের একজনের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ৷’’
ছবি: Joyonta Dey
হামবুর্গে প্রতিবাদ
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে হামবুর্গে মানবন্ধনে অংশ নেয়াদের প্ল্যাকার্ডে নানারকম বক্তব্য ছিল৷ তাদের একজনের বার্তা ছিল, ‘‘সংলাপ নয়, পদত্যাগ চাই৷’’
ছবি: Nahid Hasan
বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ
‘‘বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে হত্যা এবং হামলার প্রতিবাদে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে কয়েকশ বাংলাদেশি সমবেত হন’’ বলে জানিয়েছেন তাদের একজন মুহাম্মদ মুহিব্বুল হাসান৷ প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্মারকলিপি প্রদান করে হামলাকারীদের শাস্তি, কোটা সংস্কার এবং সরকারের পক্ষ থেকে এর দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়৷
ছবি: Muhib Hasan
প্যারিসে মানববন্ধন
বাংলাদেশের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ‘ন্যাশন’ চত্ত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার জন্য আসা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা৷ ‘‘দুই শতাধিক মানুষ বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সংহতি জানান,’’ বলে জানিয়েছেন প্যারিসে বসবাসরত সাংবাদিক মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ৷
ছবি: Mohammad Arif Ullah
নুরেমবার্গে প্রতিবাদ
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার প্রতিবাদে জার্মানির নুরেমবার্গ শহরে মানববন্ধন করেন একদল প্রবাসী বাংলাদেশি৷
ছবি: Samsuzzaman Uday
ড্রেসডেনে প্রতিবাদ
জার্মানির ড্রেসডেনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন একদল বাংলাদেশি৷ তাদের একজনের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘‘নিরীহ শিক্ষার্থীদের হত্যা বন্ধ করুন৷’’
ছবি: Md Imtiaz
নর্দান সাইপ্রাসে অবস্থান কর্মসূচি
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত, সংঘর্ষের প্রতিবাদে নর্দান সাইপ্রাসেও বাংলাদেশিদের সমবেত হতে দেখা গিয়েছে৷ সেখানকার ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন বলেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশিরা কোটা আন্দোলনে শহিদদের মাগফিরাত এবং আহত ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি৷ আমরা চাই ছাত্র হত্যা বন্ধ হোক, দেশে শান্তি ফিরে আসুক৷’’
ছবি: Emam Uddin
পোর্টসমাউথে প্রতিবাদ
যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা কোটা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন৷ সেখানে একজনের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘‘শিক্ষায় রাজনীতি নয়৷’’
ছবি: Md. Rubayeth Islam
মাগডের্বুগে শিক্ষার্থীদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় যে প্রাণহানি হয়েছি তার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে জার্মানির মাগডের্বুগের বাংলাদেশি কমিউনিটি৷
ছবি: Shehab Uddin
ব্রেমেনে একাত্মতা প্রকাশ
বাংলাদেশে চলমান কোটা আন্দোলনের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করে জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একাংশ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন৷ সেখানে একজনের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি৷’’
ছবি: Hasibul Hasan Shanto
এসেনে প্রতিবাদ
বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জার্মানির এসেন শহরে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি মানববন্ধন করেন৷ মানববন্ধনে অংশ নেয়াদের মধ্যে অন্যতম রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিয়া হাসান বলেন, ‘‘সবাই একমত হোন যে এটা আর কোটা সংস্কার নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সংস্কার দরকার৷ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্ভব নয় বলে [এখানে] সবাই শেখ হাসিনার পতন চান৷’’
ছবি: Niaz Muhit
বনে প্রতিবাদ
বাংলাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জার্মানির বন শহরে জাতিসংঘের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন একদল প্রবাসী বাংলাদেশি৷ সেখানে একজন বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো: কবির আহমেদ বলেন, ‘‘মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারের কাছ থেকে আর কি-ইবা পাওয়ার আছে৷ তারা তো সম্পূর্ণ দেশটাই পেয়েছে স্বাধীন হিসেবে৷’’
ছবি: Md Shafaat Ullah
ছাত্র হত্যার অবসান দাবি মিউনিখে
জার্মানির মিউনিখ শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একাংশ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন৷ এই কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত হোসাইন মোঃ তালিবুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা মিউনিখে বাংলাদেশে সংগঠিত সংঘাতের এবং ছাত্র হত্যার অবসান এবং বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছি৷’’
ছবি: Hossain Islam
ব্রান্ডেনবুর্গে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
জার্মানির কটবুস শহরে ব্রান্ডেনবুর্গ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত প্রায় ১০০ এর মতো শিক্ষার্থী চলমান কোটা সংস্কার ‘‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে’’ সমবেত হন৷ তাদের অনেকের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘‘সহিংসতা বন্ধ হোক৷’’
ছবি: Muhib Hasan
ম্যনশেনগ্লাডবাখে মানববন্ধন
জার্মানির ম্যনশেনগ্লাডবাখের হকশুলে নিধেরেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন৷
ছবি: Rayhan Jilani
ওয়ারশতে বাংলাদেশের দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ
পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একাংশ তাদের দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের ওপর ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলা এবং শিক্ষার্থীদের হত্যার প্রতিবাদে’’ বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন৷
শাহবাগ থানায় করা মামলাগুলোর কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, একটি মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আকতার হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ আকতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক৷ তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৭ জুলাই গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷
এই কর্মসূচিকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়৷ এই সংঘর্ষের আগেই আকতারকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয় ১৮ জুলাই। এ মামলায় নাম উল্লেখ করা একমাত্র আসামি তিনি৷ অন্য আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি৷ মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘‘অজ্ঞাতনামা বহুসংখ্যক কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে আন্দোলনকারীরা৷''
পুলিশের করা ৯টি মামলার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তার জানামতে কোনো শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়নি৷ আইন অনুযায়ী, মামলাগুলো তদন্ত করে আইনভঙ্গকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে৷
বিএনপির নীলনকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে কোথায় কে হামলা চালাবে—বিএনপি সেই নীলনকশা আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন৷
বিএনপি বেছে বেছে নতুন নেতৃত্বের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পদায়ন করেছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘‘(কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে) এই হামলা পরিচালনার জন্য তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ করা হয়েছে; কোথায় কে হামলা চালাবে, কোথায় কারা পেছন থেকে সহযোগিতা করবে—সব কিছু আগেভাগে নীলনকশা প্রস্তুত ছিল৷''
তিনি বলেন, ‘‘মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলনে করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবারও উসকানি দিচ্ছেন৷ কেউ আগুন নিয়ে খেলবেন না, দায়িত্বশীল আচরণ করুন৷''
দেশবাসীকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, ‘‘গুজব একটি সন্ত্রাস৷ মাদকের মতো গুজব আপনার সন্তানকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিতে পারে৷ কাজেই এই গুজব-গুঞ্জন প্রতিরোধ করতে হবে৷''
টিএম/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো)
কোটাসংস্কার আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ
কোটা সংস্কার নিয়ে দ্বিতীয় দফা টানা আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১ জুলাই৷ আন্দোলন সংঘর্ষে রূপ নেয় ১৫ জুলাই৷ প্রথম আলোর বরাত দিয়ে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ২০২ জন হওয়ার কথা জানিয়েছে এপি৷ ছবিঘরে থাকছে ঘটনা পরিক্রমা৷
ছবি: Rajib Dhar/AP/picture alliance
৯ জুলাই, মঙ্গলবার
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থীর আবেদন৷ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা চার ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন৷ আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে পরদিন সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়৷
ছবি: Zabed Hasnain Chowdhury/IMAGO/SOPA Images
১২ জুলাই, শুক্রবার
কোটা সংস্কারের দাবিতে শুক্রবার ছুটির দিনেও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন৷ রেলপথ অবরোধ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP
১৩ জুলাই, শনিবার
সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা৷ পরের দিন রোববার গণপদযাত্রা করে রাষ্ট্রপতি বরাবর এ স্মারকলিপি দেবেন আন্দোলনকারীরা৷ তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিচারাধীন বিষয়ে সরকারের এখন কিছু করার নেই৷
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
১৪ জুলাই, রোববার
গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে?’ এ মন্তব্যের মাধ্যমে তাদের অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পরে চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়৷
ছবি: Mamunur Rashid/NurPhoto/picture alliance
১৪ জুলাই, রোববার
একই দিনে পদযাত্রা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়ে আন্দোলনকারীরা জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডের কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন৷
ছবি: Press Information Depart of Bangladesh
১৫ জুলাই, সোমবার
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন থেকে আত্মস্বীকৃত রাজাকার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ মানসিকতা বা আচরণের প্রকাশ ঘটেছে৷ এর জবাব দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ প্রস্তুত৷ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে৷ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে৷
ছবি: Habibur Rahman/IMAGO/ABACAPRESS
১৬ জুলাই, মঙ্গলবার
সারা দেশে দিনভর ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়৷ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকার সমর্থকেরা৷ এতে নিহত হন ছয়জন৷ রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের বুলেটে নিহত হন৷
ছবি: Zabed Hasnain Chowdhury/NurPhoto/IMAGO
১৭ জুলাই, বুধবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন অব্যাহত৷
ছবি: Zabed Hasnain Chowdhury/NurPhoto/IMAGO
১৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার
দেশব্যাপী প্রতিরোধ, সহিংসতা, সংঘর্ষ ও গুলি৷ মোট নিহত ২৭ জন৷ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারা দেশ ছিল প্রায় অচল৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
১৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার
রাজধানী ছাড়াও দেশের ৪৭টি জেলায় দিনভর বিক্ষোভ, অবরোধ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, পুলিশের হামলা-গুলি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে৷ এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার৷ সারা দেশে বিজিবি মোতায়েন৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP
১৯ জুলাই, শুক্রবার
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা সর্বাত্মক অবরোধের কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর, গুলি, অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে৷ রাজধানী ঢাকা ছিল কার্যত অচল, পরিস্থিতি ছিল থমথমে৷
ছবি: AFP
১৯ জুলাই, শুক্রবার
দেশের বিভিন্ন জেলাতেও ব্যাপক বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও সহিংসতা হয়৷ রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি, সেনাবাহিনী মোতায়েন৷ টেলিয়োগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণ বন্ধ৷ একদিনেই নিহত ৮৪৷
ছবি: Rajib Dhar/AP/picture alliance
২০ জুলাই, শনিবার
দেশজুড়ে কারফিউ ও সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি সাধারণ ছুটি ঘোষণা৷ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ধাওয়া ও গুলি৷ উল্লেখযোগ্য স্থান হচ্ছে, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, বাড্ডা ও মিরপুর৷ এ ছাড়া মোহাম্মদপুরেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ শনিবার নিহত ২৬ জন৷এদিন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
২১ জুলাই, রোববার
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহাল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় সামগ্রিকভাবে বাতিল করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়, কোটাপ্রথা হিসেবে মেধাভিত্তিক ৯৩%; মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ %; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ % এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ % নির্ধারণ করা হলো৷ রোববার নিহত ১৯ জন৷ সমন্বয়ক নাহিদকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP
২২ জুলাই, সোমবার
কোটাপ্রথা সংস্কার করে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তৈরি করা প্রজ্ঞাপন অনুমোদন প্রধানমন্ত্রীর৷ সব মিলিয়ে ছয় দিনে মোট ১৮৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়৷
ছবি: Zabed Hasnain Chowdhury/NurPhoto/IMAGO
২৩ জুলাই, মঙ্গলবার
কোটাপ্রথা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি৷ মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে ১৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া বলে জানিয়েছে দৈনিক প্রথম আলো৷ সব হাসপাতালের চিত্র পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে তারা৷
ছবি: Rajib Dhar/AP/picture alliance
২৩ জুলাই, হাসপাতালের তথ্য
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু-কিশোর এবং নারীও রয়েছেন৷৷ আহতদের অনেকে চোখে রাবার বুলেট ও ছররা গুলি এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় গুলির ক্ষতচিহ্ন নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
ছবি: Rajib Dhar/AP/picture alliance
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষে তিনজন পুলিশ সদস্য এবং একজন আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন৷ ১ হাজার ১১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন৷ এর মধ্যে গুরুতর আহত ১৩২ জন৷ তিনজন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন৷
ছবি: Anik Rahman/AP/picture alliance
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির বর্ণনা
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভির সদর দপ্তরে হামলা চালানো হয়েছে৷ এছাড়া ঢাকার ফ্লাইওভারে দু’টি টোল প্লাজা, এক্সপ্রেসওয়েতে এবং দুইটি মেট্রোরেল স্টেশনে আগুন দেয়া হয়েছে৷ কয়েকশ’ সরকারি ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আইনমন্ত্রী৷
ছবি: K M ASAD/AFP
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এপিকে জানিয়েছেন, ছয় দিন বন্ধ থাকার পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় আংশিকভাবে চালু করা হয়েছে৷ তার অভিযোগ, আন্দোলনকারীরা প্রধান তথ্য কেন্দ্রে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ফলে ফাইবার অপটিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে৷
ছবি: AFP
গ্রেপ্তার
সারা দেশ থেকে এখন পর্যন্ত আড়াই হাজারেও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি৷ সারাদেশে অন্তত ২৭ হাজার সেনা মোতায়েন আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ ২৪ জুলাই কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো তা বহাল আছে৷