1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোথায় আঘাত হানতে পরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা'?

২৩ অক্টোবর ২০২৪

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানা-র প্রভাব পড়তে পারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা খুলনা ও বরিশালের বিভিন্ন এলাকায়৷ বুধবার বাংলাদেশের চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে৷

ফাইল ছবি: সাইক্লোন ইয়াস
ঘূর্ণিঝড়টির অতিক্রম করার যে এলাকা, সেখান থেকে বাংলাদেশের উপকূল ডান দিকে৷ ডান দিকে থাকার কারণে বাংলাদেশের উপকূলে এর প্রভাব থাকবে অপেক্ষাকৃত বেশি, বলছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরছবি: AP Photo/picture alliance

আবহাওয়াবিদদের বরাতে বাংলাদেশের স্থানীয় পত্রপত্রিকাগুলো বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোথায় আঘাত হানতে পারে, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনো আসেনি৷

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা ঘূর্ণিঝড় দানা আরও পশ্চিম ও উত্তর–পশ্চিম দিকে এগিয়েছে৷

দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্বে অবস্থান করছিল৷ এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর–পশ্চিম দিকে এগোতে পারে এবং ঘণীভূত হতে পারে৷

আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটাররের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার৷ এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে৷ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে৷

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে৷ উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে৷

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি স্থানীয় সময় বেলা একটার দিকে ওডিশার প্যারাদ্বীপ থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দূরে ছিল৷ পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল৷ ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আছে৷

বৃহস্পতিবার রাত বা পরদিন শুক্রবার ভোরের কোন এক সময়ে এটি ওডিশার ভিতরকনিকা থেকে ধামারা বন্দর এলাকা অতিক্রম করতে পারে৷ অতিক্রম করার সময় এর বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার৷ এটি সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে৷

বিকেলে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার প্রথম আলোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় দানার যে গতিবিধি, তাতে এটি ভারতের ওডিশা উপকূলমুখী৷ ধামারা বন্দরের দিকেই এটি উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷''

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির অতিক্রম করার যে এলাকা, সেখান থেকে বাংলাদেশের উপকূল ডান দিকে৷ ডান দিকে থাকার কারণে বাংলাদেশের উপকূলে এর প্রভাব থাকবে অপেক্ষাকৃত বেশি৷ বাঁ দিকে থাকলে সাধারণত কম থাকে৷

জেডএ/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ